আইপিএলে চতুর্থ শিরোপা মুম্বাইয়ের ঘরে
১৩ মে ২০১৯ ০০:২৩
দ্বাদশ আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন হলো রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শেষ বলের রোমাঞ্চে নাটকীয় জয় পায় মুম্বাই। মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে ১ রানে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো শিরোপা জিতলো মুম্বাই। এর আগে ২০১৩, ২০১৫ আর ২০১৭ সালে শিরোপা জিতেছিল মুম্বাই। ২০১০, ২০১১ আসরের পর গত আসরেও চ্যাম্পিয়ন হয় চেন্নাই। টানা দ্বিতীয় এবং চতুর্থবারের মতো শিরোপা নিজেদের ঘরে তোলা হলো না দলটির।
হায়দ্রাবাদের ফাইনালে আগে ব্যাট করে মুম্বাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৪৯ রান। জবাবে, ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে চেন্নাই তোলে ১৪৮ রান। ১ রানে হেরে যায় চেন্নাই।
মুম্বাইয়ের ওপেনার কুইন্টন ডি কক ১৭ বলে চার ছক্কায় করেন ২৯ রান। দলপতি রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে ১৪ বলে আসে ১৫ রান। সুরযকুমার যাদব করেন ১৫ রান। ইশান কিষানের ২৬ বলে সাজানো ইনিংসে যোগ হয় ২৩ রান। ক্রুনাল পান্ডিয়া ৭ রানে ফিরলেও হারদিক পান্ডিয়া ১০ বলে ১৬ রান করেন।
কাইরন পোলার্ড ২৫ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় করেন অপরাজিত ৪১ রান। এছাড়া, রাহুল চাহার, মিচেল ম্যাকক্লেনাঘ্যান, জাসপ্রিত বুমরাহ কোনো রান করতে পারেননি।
চেন্নাইয়ের দীপক চাহার ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় তুলে নেন তিনটি উইকেট। দুটি করে উইকেট পান সার্দুল ঠাকুর এবং ইমরান তাহির। হরভজন সিং, ডোয়াইন ব্রাভো, রবীন্দ্র জাদেজা কোনো উইকেট পাননি।
১৫০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে চেন্নাই ওপেনার ফাফ ডু প্লেসিস ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। তিন নম্বরে নামা সুরেশ রায়না ৮ রানে সাজঘরে ফেরেন। আম্বাতি রাইডু ১, দলপতি ধোনি ২ রান করেন।
আরেক ওপেনার শেন ওয়াটসন এক প্রান্ত ধরে রেখে এগুতে থাকেন। তাকে সঙ্গ দেন ব্রাভো। ১৮তম ওভারে ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে পর পর তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনবার জীবন পাওয়া ওয়াটসন। তাতেই নাগালের বাইরে চলে যেতে থাকা ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসে চেন্নাই। শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য দরকার হয় ১৮ রান। ১৯তম ওভারে বিদায় নেন ১৫ বলে ১৫ রান করা ব্রাভো। শেষ ওভারে দরকার হয় ৯ রান।
কিন্তু তখনও নাটকের বাকি ছিল। শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন লাসিথ মালিঙ্গা। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন ওয়াটসন। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল পান রবীন্দ্র জাদেজা। তৃতীয় বলে ডাবল পান ওয়াটসন। চতুর্থ বলে ডাবল নিতে গিয়ে রান আউট হন ৫৯ বলে ৮০ রান করা ওয়াটসন। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার আর চারটি ছক্কার মার। শেষ ২ বলে চেন্নাইয়ের দরকার তখন ৪ রান। স্ট্রাইকিংয়ে নতুন নামা শার্দুল ঠাকুর। মালিঙ্গার পঞ্চম বলে শার্দুল ঠাকুর ডাবল রান নেন। শেষ বলে দরকার হয় ২ রান। শার্দুল ঠাকুর শেষ ডেলিভারিতে এলবির ফাঁদে পড়েন। ১ রানে জয় তুলে নেয় মুম্বাই। জাদেজা ৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
মুম্বাইয়ের ম্যাকক্লেনাঘ্যান ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। ৪ ওভারে ১৪ রান খরচায় একটি উইকেট তুলে নেন রাহুল চাহার। জাসপ্রিত বুমরাহ ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে পান দুটি উইকেট। ১ ওভারে ৩ রান দিয়ে উইকেট পাননি হারদিক পান্ডিয়া। ক্রুনাল পান্ডিয়া ৩ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে পান একটি উইকেট। লাসিথ মালিঙ্গা ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে পান একটি উইকেট।
সারাবাংলা/এমআরপি/আরএসও