বিশ্বকাপ মিশনে সতর্ক বাংলাদেশ
২৫ মে ২০১৯ ২২:২০
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচকে সামনে রেখে টিম বাংলাদেশ যখন কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনসে অনুশীলনে নেমেছে, তখন স্থানীয় সময় দুপুর ২টা। ঝকঝকে রোদ, আর স্টেডিয়ামের অদূরে পাহাড়ের পাদদেশের ঘন সবুজ বনানীর হিমেল হাওয়ায় গোটা টাইগার শিবিরকেই চনমনেই দেখাচ্ছিল। ভাবখানা এমন, এমন আবহাওয়ায় সারাদিন অনুশীলন করলেই বা কী?
দিনের অনুশীলনের শুরুটা হলো ওয়ার্ম দিয়ে। প্রথমে রোপ টেনে পেশী শিথিলকরণ, এরপর ছোট ছোট হেডিংয়ের ফুটবল। ট্রেনার মারিও ভিল্লা ভারায়নের নজরদারিতে এভাবে চললো প্রায় আধা ঘণ্টা। এরপর গ্যালারি এন্ডে শুরু হলো ব্যাটিং, বোলিংয়ের মহরা।
লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটিংয়ে এলো মিরাজের পালা। কিন্তু তার আগে তাকে জানানো হলো, মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে হবে। শনিবার (২৫ মে) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় সোফিয়া গার্ডেনসের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে মিরাজের সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার কথা। কিন্তু এলেন আধা ঘণ্টা পরে। এসেই মোটামুটি তীর্যক প্রশ্নের সম্মুখিন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচে গা ছাড়া ভাব নেই তো?’
মিরাজের চোয়ালবদ্ধ উত্তর; মোটেই না।বরং মূল রণে যাওয়ার আগে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই তারা দারুণ সতর্ক। এ দুটি ম্যাচ দিয়েই নিজেদের শানিয়ে নেওয়ার সেরা সুযোগ দেখছেন লাল সবুজের এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডার।
মিরাজ জানালেন, ‘গা ছাড়া ভাব না। সব ম্যাচই সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো খেলতে পারি আর আমাদের প্রস্তুতিটা ভালো হয়, তাহলে আমাদের মূল ম্যাচ আরো সহজ মনে হবে। কারণ বিশ্বকাপে অনেক হাইভোল্টেজ ম্যাচ থাকবে। অনেক চাপ থাকবে। এখানে যদি আমরা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিতে পারি, তাহলে ওখানে আমাদের কাজটা সহজ হয়ে যাবে।’
রোবাবার (২৬ মে) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে মাশরাফিরা যে দলটির মুখোমুখি হবে তাদের সঙ্গে সবশেষ মোকাবেলায় অভাবনীয় এক জয়ে গেল এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল স্টিভ রোডস শিষ্যরা। দলটির নাম মনে আছে নিশ্চয়ই। সেই পাকিস্তান… ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে যে দলটির কাছে মাত্র ২ রানের যন্ত্রনায় কেঁদে মাঠ ছেড়েছিলেন সাকিব, মুশফিকরা।
চেনা সেই দলকেই আরেকবার মোকাবেলা করতে হবে। হোক না প্রস্তুতি ম্যাচ তাতে কী? দিন শেষে জয়ই যেখানে আত্মবিশ্বাসের মূল মন্ত্র সেখানে ছাড় দেওয়া আবশ্যকতা একেবারেই নেই। সেই লক্ষ্যে ম্যাচের রণকৌশলও ইতোমধ্যেই সাজানো হয়ে গেছে। এবার শুধু পাকিস্তান বধের আরেকটি অপেক্ষা। সেই কাজটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করতে পারলেই ব্যাস, পরের ম্যাচে শক্তিধর ভারতকেও তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া অসম্ভব হবে না। যা মূল মঞ্চে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্সে জ্বালানি যোগাবে বলে বিশ্বাস করেন মিরাজ।
মিরাজ যোগ করলেন, ‘আমার মনে হয় অবশ্যই ম্যাচ জিতলে আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়। কাল অনুশীলন ম্যাচ, এটা আমাদের মাথায় নেই। চিন্তা হলো এক একটা করে ম্যাচ আমাদের জিততে হবে। আর পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের নিজেদের জিততে হবে। তাহলে হয়তো আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। গেল ত্রিদেশীয় সিরিজে আমরা ভালো খেলেছি। ওই জিনিসটাই যদি করতে পারি হয়তো ভালো কিছুই হবে।’
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি