‘বিশ্বকাপ ফুটবল স্বপ্নের’ ফেরিওয়ালা রবিউল
৬ জুন ২০১৯ ২১:০১
ঢাকা: টাইম মেশিনে এই বছরের একটু পেছনে ফিরতে হবে। ৯ মার্চ। কম্বোডিয়ার অলিম্পিক স্টেডিয়াম। সুফিলের দুর্দান্ত পাস থেকে বল জালে জড়িয়েছিলেন এক ফুটবলার। নামটা মনে আসছে? ঠিকই ধরেছেন। রবিউল হাসান। সেই ম্যাচটা ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল কম্বোডিয়া।
তিন মাস পর ঠিক সেই রবিউলই আবার জেতালেন বাংলাদেশকে। এবার অবশ্য চ্যালেঞ্জটা আরও বড়। আরও চাপের। এবার লক্ষ্য বিশ্বকাপ মূল বাছাইপর্ব। মূল মঞ্চে যেতে পেরুতে হবে প্রাক বাছাইয়ে লাওস বাধা।
কঠিন চাপের মধ্যে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের মাধ্যমে ভিয়েনতিয়েনে অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতে আসলো বাংলাদেশ। গোলদাতার নামটা একই রবিউল হাসান।
অলিম্পিক স্টেডিয়াম থেকে টানা গোলের রেকর্ড ধরে রাখলেন লাওসের ভিয়েনতিয়েনের জাতীয় স্টেডিয়াম পর্যন্ত।
দলের সবচেয়ে দরকারের সময় ত্রাতা হয়ে আসলেন আরামবাগের এই অধিনায়ক। বদলি হিসেবে ৫৪ মিনিটে নেমে মাত্র ১৮ মিনিটের মাথায় লাল-সবুজ শিবিরে আনন্দের বন্যা বইয়ে দিলেন দুর্দান্ত এক গোল করে। সেটার জন্যই হয়তো ১৬ কোটি মানুষ অপেক্ষায় ছিল। কেউ গোল করবেন। ঈদের উদযাপনটা পূর্ণ হলো রবিউলের গোলেই।
ডি বক্সের বাইরে জামাল ভূঁইয়ার লম্বা পাস পাওয়ার পরেও ভাবা যায়নি বলটা কী সুন্দর করেই না জালে জড়াবে! দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ৭২ মিনিটে বলটা গতির শটে বারের একেবারে নিচে দিয়ে জালে জড়িয়েছেন রবিউল। চোখের জুড়ানো গোল।
বদলি নেমে ত্রাতা হয়ে আরও একবার দাঁড়ালেন রবিউল। সেই গোলেই জয় বাংলাদেশের। তাও টানা দুই অ্যাওয়ে ম্যাচে বাংলাদেশের জয় তার দুটি গোলেই। এমন গোলের পর উল্লাসটাও বাঁধভাঙা হবে সেটাই স্বাভাবিক। জার্সি খুলে উদযাপন করতে ভুললেন না স্বপ্নের এই ফেরিওয়ালা। তার জন্য অবশ্য হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে রবিউলকে। এমন গোলের আনন্দে নাহয় একটা হলুদ কার্ডই তো!
এবার ১১ জুন ঢাকায় হোম ম্যাচে লাওসকে আতিথ্য দিবে বাংলাদেশ। সেই ধারা হয়তো ঢাকাতেও নিবেন রবিউল এটাই কাম্য ফুটবল প্রেমীদের।
সারাবাংলা/জেএইচ