নিউজিল্যান্ডে সব থেকে ঘৃণিত পিতা স্টোকসের বাবা
১৫ জুলাই ২০১৯ ১১:১২
ইংল্যান্ডকে একা হাতে বিশ্বকাপ জিতিয়েছে বেন স্টোকস। কোনো সমর্থক যদি বলে ফেলে এই কথাটি তবে হয়তো একটুও বাড়িয়ে বলা হবে না। কারণ উইকেট যখন তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কোনো ব্যাটসম্যান ছিলেন না, তখনও একাই লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ২৪১ রান তুলেছিলেন। আর শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে বিশ্বকাপ জিতে নেয় ইংলিশরা।
তবে ইংলিশদের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বেন স্টোকসের বাবা-মা ঠিক খুশি হতে পারছেন না। কারণটা হলো তারা যে ছিলেন হেরে যাওয়া কিউইদের হয়ে প্রার্থনাকারী। অর্থাৎ জন্মসূত্রে বেন স্টোকস নিউজিল্যান্ডের নাগরিক। তবে ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বেছে নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডকেই।
স্টোকসের বাবা জেড স্টোকস এবং মা ডেব স্টোকস নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে নিজের ঘরে বসেই দেখেছেন সন্তানের কাছে নিজ দেশের হার। তারা কখনো সন্তানের জন্য খুশি হয়েছেন আর কখনো দেশের জন্য কষ্ট পেয়েছেন। গর্ববোধ করেছেন সন্তান একা হাতেই বিশ্বকাপের মঞ্চে জিতেছেন বিশ্বকাপ। আর কষ্ট পেয়েছেন প্রথমবারের মতো নিজে দেশ জিততে ব্যর্থ বিশ্বকাপ।
স্টোকসের বাবা বলেন, ‘আমার মনে হয় নিউজিল্যান্ডের সব থেকে ঘৃণিত বাবা এখন আমি। যখন আমি এবং আমার স্ত্রী খেলা দেখছিলাম আমরা একই সাথে আনন্দিত এবং দুঃখিত ছিলাম। কারণ আমাদের সন্তান নিজের জীবনের সেরা খেলা খেলছিল, আর সেটা আমার নিজ দেশের বিপক্ষেই।’
স্টোকসের মা বলেন, ‘ম্যাচ শেষে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। আমি অনেক হতাশ হয়েছি কারণ আমার দেশের ছেলেরা জিততে পারেনি। ম্যাচটি যদি ড্র হতো তাহলে আমি অনেক খুশি হতে পারতাম।’
নিজ জন্মভূমির বিপক্ষে ম্যাচের শেষ ওভারে মার্টিন গাপটিলের ছুঁড়ে দেওয়া বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে চার হয়ে যায়। এবং ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে যুক্ত হয় অতিরিক্ত ছয় রান। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি সুপার ওভারে পৌছায়। আর শেষ পর্যন্ত জয়ী হয় ইংল্যান্ড।
এ সম্পর্কে বেন স্টোকস বলেন, ‘এই ব্যাপারটার জন্য হয়তো সারাজীবন আমাকে নিউজিল্যান্ডের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট বিশ্বকাপ ঘরেই থেকে গেল। অর্থাৎ ক্রিকেটের জন্মস্থান ইংল্যান্ডেই রয়ে গেল বিশ্বকাপ। আর ইংলিশরা মাতলো প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের কিছু অংশ এলো উপমহাদেশে
সারাবাংলা/এসএস
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ নিউজিল্যান্ড ফাইনাল বেন স্টোকস লর্ডস স্টোকসের বাবা-মা