‘স্বার্থের সংঘাত’ অভিযোগের জবাব দিলেন দ্রাবিড়
১৩ আগস্ট ২০১৯ ১৮:০৮
কদিন আগেই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ এনে তাকে নোটিশ পাঠিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। তা নিয়ে ভারতের মিডিয়ায় তোলপাড় হয়েছে। সৌরভ গাঙ্গুলিসহ অনেক ক্রিকেট মহা তারকাই দ্রাবিড়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিসিসিআইয়ের বেঁধে দেয়া সময়সীমার আগেই সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন দ্রাবিড়।
জবাবে এই কিংবদন্তি স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে বোর্ডের এথিকস অফিসার ডিকে জৈনকে তার স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। ইন্ডিয়া সিমেন্টের সঙ্গে তার অবস্থানও স্পষ্ট করেছেন দ্রাবিড় চিঠির মাধ্যমে। চলতি মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত সময়সীমা ছিল জবাব দেয়ার।
দ্রাবিড় এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির অপারেশনস হেড হিসেবে যুক্ত রয়েছেন। টুইটারে ভারতীয় বোর্ডকে কার্যত এক হাত নিয়েছেন সৌরভ। ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট’কে নতুন ফ্যাশন বলেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
সিএবি প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘নতুন একটা ফ্যাশন এসেছে। কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট। খবরে থাকার সেরা উপায় এটাই। ভগবানই পারে ভারতীয় ক্রিকেটকে বাঁচাতে। দ্রাবিড়ও নাকি বিসিসিআই-এর এথিকস অফিসারের থেকে স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে নোটিস পেয়েছে!’ সৌরভের টুইট ধরেই হরভজন সিংও টুইট করেছেন। তাঁর মতে বিসিসিআই এই নোটিস দিয়ে দ্রাবিড়ের মতো মহান ক্রিকেটারের অপমান করেছে। পাঞ্জাব পুত্তর লিখেছেন, “জানি না এটা কোন দিকে যাচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য দ্রাবিড়ের থেকে ভাল কাউকে পাওয়া যাবে না। দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে নোটিস ধরানো মানে তাঁকে অপমান করা। ক্রিকেটের ভালোর জন্যই তাদের সার্ভিস প্রয়োজন। সত্যি, ভগবানই পারে ভারতীয় ক্রিকেটকে বাঁচাতে।’
যেভাবে দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে এলো ‘স্বার্থ সংঘাতের’ চিঠি:
মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমপিসিএ) লাইভ মেম্বার সঞ্জীব গুপ্তা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে। বিসিসিআই-এর অম্বুডসম্যান প্রাক্তন বিচারপতি ডিকে জৈনকে তা পাঠিয়েছেন। বোর্ডের এথিকস অফিসার হিসাবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন জৈন। গুপ্তার অভিযোগ, দ্রাবিড় একই সঙ্গে এনসিএ-র ডিরেক্টর ও ইন্ডিয়া সিমেন্টস গ্রুপের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। এই ইন্ডিয়া সিমেন্টসেরই আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস। গুপ্তা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ‘গত সপ্তাহে একটা অভিযোগের ভিত্তিতেই আমি রাহুল দ্রাবিড়কে নোটিস পাঠিয়েছি। স্বার্থের সংঘাতের বিষয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য ওনাকে দু’সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে। ওনার উত্তরের ভিত্তিতেই আমি ভেবে দেখব এটা নিয়ে এগিয়ে যাব কি যাব না!’
দ্রাবিড় একাই নন অতীতে বিসিসিআই-এর ক্রিকেট অ্য়াডভাইসরি কমিটির তিন সদস্য শচীন টেন্ডুলকার, ভিভিএস লক্ষ্মণ ও সৌরভের নামও স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল কী করে তারা বোর্ডের দায়িত্বে থেকেও আইপিএল ফ্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন!