Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন মিরাজ


২৫ আগস্ট ২০১৯ ১৭:০০

দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান টেস্ট। স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ও ত্রিদেশীয় সিরজে অংশ নিতে আগামী শুক্রবার ঢাকার মাটিতে পা রাখবে রশিদ খান ও তার দল। ৫-৯ সেপ্টেম্বর সাকিব আল হাসানের দল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদে মোকাবেলা করবে কাবুলিওয়ালাদের। সাদা পোশাকের সেই লড়াইয়ে সফরকারীদের চেয়ে নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন টাইগার স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ।

তার এগিয়ে রাখার পেছনে অন্যতম প্রধান যুক্তি হলো অভিজ্ঞতা। যেখানে সব বিচেনাতেই এগিয়ে বাংলাদেশ। সাদা পোশাকে সাকিবরা যেখানে ১৯ বছরের অভিজ্ঞতায় পুষ্ট, সেখানে রশিদ খানরা শুরুই করেছে মাত্র তিন বছর হলো। টাইগার দলে পাঁচ সদস্য আছেন সাদা পোশাকে যারা নুন্যতম ১০ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। সেই বিবেচনায় সফরকারীরা একবারেই সদ্যজাত!

বিজ্ঞাপন

অভিজ্ঞতার মিশেলে থাকছে হোম কন্ডিশনের বাড়তি সুবিধাও। নিজেদের মাটিতে টিম বাংলাদেশ কতটা ক্ষুরধার সেটা মিরাজের চাইতে ভালো আর কে জানে? তাকে দিয়েই উদাহারণটা দেওয়া যাক। ২০১৬ সালে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে নিজ মাঠের স্পিন ট্র্যাকে সফরকারী ইংল্যান্ডকে বলতে গেলে একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তাতে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট কুলিনদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।

হোম কন্ডিশন আর স্পিন ট্র্যাকের সুযোগ শতভাগ কাজে লাগিয়ে চমকে দিয়েছিলেন বিশ্ব ক্রিকেটকে। পরের বছর অস্ট্রেলিয়া এলে তাদের বিপক্ষেও নিজের সক্ষমতা মাঠেই দেখেছেন এই অলরাউন্ডার। এবারও সেই প্রথমের স্বাদ। তাও শক্তিশালী অজিদের বিপক্ষে!

কিন্তু তারপরেও সতর্ক মিরাজ। যুদ্ধের মাঠে ছোট বলে কাউকে অবজ্ঞা করতে নেই শ্বাশ্বত সেই সত্যটি তিনি ভুলে যাননি। কাজেই আসন্ন ম্যাচে নিজেদের এগিয়ে রাখলেও আফগান বধে চ্যালেঞ্জ তিনি ঠিকিই দেখছেন।

বিজ্ঞাপন

মিরাজ

রোববার (২৫ আগস্ট) শের-ই-বাংলায় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজেদের সেই অগ্রগামিতার কথা বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানালেন মিরাজ, ‘আসলে প্রতিটি ম্যাচই চ্যালেঞ্জ। ছোট আর বড় ব্যাপার না। কারণ টেস্ট ক্রিকেটে যারাই ভালো খেলবে তারাই কিন্তু জিতবে। কিন্তু তারপরেও আমরা কিন্তু ওদের থেকে অনেক এগিয়ে আছি; অভিজ্ঞতার দিক থেকে, শেষ যে টেস্টটায় (নিউজিল্যান্ড টেস্ট) আমরা পারফর্ম করেছি সেই বিবেচনায় এবং হোম কন্ডিশনের বিবেচনায়। ওদের থেকে অনেক দিক থেকেই এগিয়ে আছি। তারপরেও যতই এগিয়ে থাকি, যতই অভিজ্ঞতা থাকুক আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, আমাদের সবাইকে পারফর্ম করতে হবে। যার যার জায়গায় ইন্ডিভিজুয়ালি পারফর্ম করতে হবে। আর আমরা যদি পার্টিকুলার এরিয়াতে পারফর্ম করি তাহলে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।’

কিন্তু উইকেট নিয়ে গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান যা বললেন তাতে বাংলাদেশের স্পিনারদের কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে থাকতে হচ্ছে। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীদের সক্ষমতার বিবেচনা করে টেস্ট ম্যাচটিতে স্পিনিং ট্র্যাক দেওয়া হচ্ছে না। ট্রু উইকেট বা স্পোর্টিং উইকেট দেওয়া হবে বলে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে কী হবে? আর সেই চ্যালেঞ্জ নিতেই বা বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?

না, উইকেট নিয়ে বাড়তি ভাবনায় কপালের চিন্তার ভাঁজ দেখা গেল না মিরাজের। বরং চ্যালেঞ্জটি নিতে তিনি মুখিয়ে আছেন, ‘স্পিনার হিসেবে আমরা সব কন্ডিশনেই খেলতে অভ্যস্ত। আমাদের যে উইকেটই দিক না কেন আমরা প্রস্তুত। যেটা আসলে দলের জন্য, আমাদের জন্য ভালো হয়। নট অনলি স্পিন বা পেস বা ব্যাটিং উইকেট। আসলে টেস্ট ক্রিকেট সবসময় চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে হয়। যে টাইপের উইকেটই হোক না কেন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আমরা।’

আফগানিস্তান টাইগার টেস্ট সিরিজ বাংলাদেশ মিরাজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর