‘লাইন-লেংথ বজায় রেখে বল করতে হবে’
২৭ আগস্ট ২০১৯ ১৯:০৩
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে পেস সহায়ক উইকেট করতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ঘরের মাটিতে লম্বা সময় স্পিন ট্র্যাকে খেলে অভ্যস্ত দেশটির জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ বটে। কিন্তু যাদের কাঁধে ভর করে সাহসটা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট দেখাচ্ছে তারা এই উইকেটের সুবিধা তুলে নিতে কতটা সমর্থ্য? মোস্তাফিজ, শফিউল, তাসকিনরা কতটাই বা প্রস্তুত? প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিশ্চয়ই মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।
প্রশ্নগুলো উঠত না, যদি না বিগত বছরগুলোতে সাদা পোশাকে পেসাররা ধারাবাহিক শ্রীহীন পারফরম্যান্স উপহার দিতেন। দেশের বাইরে তো বটেই, দেশেও তথৈবচ বোলিংয়ে বিরক্তির উদ্রেক না ঘটাতেন। একেবারে নির্বিষ বল যাকে বলে। গতিময় বোলিং? সে তো তাদের স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা। ছিল না বৈচিত্র্যের বালাই। সঠিক লাইন-লেংথে বল ফেলতেও তাদের নাভিশ্বাস অবস্থা কারো নজর এড়িয়ে যায়নি।
তাহলে এই টেস্টে উপায়? হ্যাঁ,সেটা জানতেই সারাবাংলা.নেট একান্তে কথা বলেছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচের কোচ সারোয়ার ইমরানের সঙ্গে। তিনি বাতলে দিলেন ৫-৯ সেপ্টেম্বর সাগরিকার জহুর আহমেদে আফগান ব্যাটসম্যানদের বধের উপায়।
পেসারদের করণীয় সম্পর্কে তার পরামর্শ হলো, যেহেতু তাদের বলে গতি নেই সেহেতু লাইন-লেংথ বজায় রেখে সঠিক জায়গায় ধারাবাহিকভাবে বল করতে হবে। বৈচিত্র্যময়তাও থাকতে হবে। পাশাপাশি ফিল্ডিংটা ভালো হলেই ব্যাস।
সাবেক এই কোচ জানালেন, ‘পেসারদের লাইন-লেংথ বজায় রেখে সঠিক জায়গায় বল করতে হবে। বল সুইং করাতে হবে। আমাদের পেসারদের গড় গতি ১৩০-১৩৫ কিলোমিটার। এটা হাস্যকর, যেখানে অন্যরা ১৫০ কিমি গতিতে বল করছে সেখানে আমদের গতি এত কম। এত কম পেসে আর কি আশা করা যায়? তো আমাদের দরকার হবে সুইং, লাইন-লেংথ ও ভেরিয়েশন। সাথে ফিল্ডিংটা টাইট হলে আমাদের চিন্তার কিছুই থাকবে না।’
আর ব্যাটসম্যানদের তিনি পরামর্শ দিলেন শুধুই প্রতিপক্ষের স্পিন আক্রমণটা দেখে খেলতে। মুজিব উর রহমান, রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীর মতো ডাকসাইটে স্পিনাররা যে কোনো মুহূর্তেই ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন এ ব্যাপারে তিনি বেশ ওয়াকিবহাল। পক্ষান্তরে সফরকারী দলের পেসারদের নিয়ে ততটা না ভাবলেও চলবে বলে অভিমত এই কোচের।
আর এর পেছনে তার যুক্তি হলো, এদেশের ব্যাটসম্যানরা অতীতে আফগান পেসারদের চাইতেও দক্ষ পেসারদের খেলেছে। তিনি যোগ করেন, ‘আফগানিস্তানের দুইজন ভালো স্পিনার আছে। পেসারও আছে তবে ওই মানের আসলে নেই। আমরা কিন্তু আগে ভারত, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বলের বিপক্ষেও খেলেছি। তাই আফগানদের পেস বোলার নিয়ে আমাদের ভাবনার কোনো কারণ নেই। আমাদের ব্যাটসম্যানরা ওদের খেলতে সমর্থ্য। আমাদের প্রধান হুমকি হলো ওদের স্পিনাররা। তো এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের আমাদের ব্যাটসম্যানরা পরিকল্পনা সাজালেই হবে।’
** জাতীয় দলে ‘আসা যাওয়ায়’ অভ্যস্ত সোহান