বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা সঙ্গী করে আসছে রশিদের দল
২৯ আগস্ট ২০১৯ ১৬:২৯
বাংলাদেশের গরমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আরও বেশি গরম আবহাওয়ায় কন্ডিশনিং ক্যাম্প করছে আফগানিস্তান। নিজেদের হোম ভেন্যু বানানো ভারতের দেহদারুনের বদলে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ঘাঁটি গেড়েছে আফগানরা। টেস্ট পরিবারের নতুন সদস্যরা আগামী মাসে সাদা পোশাকের একমাত্র ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশকে মোকাবেলা করবে।
বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচেই জিততে পারেনি আফগানরা। ইংল্যান্ডে দলের ব্যর্থতার পর টি–টোয়েন্টির সঙ্গে টেস্ট আর ওয়ানডেতেও দলের অধিনায়ক করা হয়েছে রশিদকে। নতুন দায়িত্বের প্রথম পরীক্ষাটা তিনি দেবেন বাংলাদেশেই। টেস্ট ক্রিকেটের নবীন দল হলেও ক্রিকেটের অভিজাত এই ফরম্যাটে ভালো করার প্রত্যয় নিয়েই বাংলাদেশ সফরে আসছে রশিদ খানের আফগানিস্তান।
আফগানদের নতুন দলপতি রশিদ খান এই সফর নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানান, আমরা ইংল্যান্ডে কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। ৫০ ওভারের ফরম্যাট আমাদের জন্য কঠিন ছিল। কিন্তু সেখানকার অভিজ্ঞতাকে ইতিবাচক হিসেবে নিতে হবে। আর এই অভিজ্ঞতাই হবে আমাদের এগিয়ে চলার মূলমন্ত্র। একটা দল হিসেবে আসন্ন সফরে খেলতে হলে বড় ইভেন্টের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। অবশ্যই আমাদের অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে। আগামীর জন্য আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে। আমি নিশ্চিত যখন বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাবো তখন আরও অনেক কিছুতেই উন্নতি করার সুযোগ পাবো।
২০১৭ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর গত বছর নিজেদের অভিষেক ম্যাচে আফগানরা প্রতিপক্ষ পেয়েছিল স্বাগতিক ভারতকে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ইনিংস ও ২৬২ রানে হারলেও নিজেদের দ্বিতীয় টেস্টেই ঘুরে দাঁড়ায় আফগানরা। গত মার্চে আয়ারল্যান্ডকে তারা হারায় ৭ উইকেটে।
টেস্ট ম্যাচের পর বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেবে আফগানরা। সেই সিরিজটি হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। যেখানে এরই মধ্যে নিজেদের মেলে ধরেছে দেশটি। সর্বশেষ তিনটি টি–টোয়েন্টিতে আফগানদের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে এশিয়ার অন্য দুই দল ভারত-পাকিস্তানকে জিততে হয়েছে ঘাম ঝরিয়ে। বাংলাদেশ জিতেছিল ৬২ রানের ব্যবধানে। আর শ্রীলঙ্কাও জিতেছিল অনেকটা ভাগ্যের সহায়তায়। ৩৬.৫ ওভারে লঙ্কানরা ২১০ রানে গুটিয়ে গেলে বৃষ্টি আইনে আফগানরা হেরেছিল ৩৪ রানে। ৩২.৪ ওভারে ব্যাটিং ব্যর্থতার ম্যাচে রশিদ খানরা তোলে মাত্র ১৫২ রান।
রশিদ খান আরও যোগ করেন, আমাদের কিছুটা ধারাবাহিকতার অভাব আছে, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। কিন্তু দেখুন বিশ্বকাপে আমরা অনেক জায়গায় ভালো করেছি। কিছু ম্যাচে বাজেভাবে হেরেছি ঠিকই কিন্তু কিছু কিছু ম্যাচ অনেক ক্লোজ ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩১১ রানের জবাবে আমরা ২৮৮ রান করেছিলাম। বিশ্বকাপের মতো আসর আপনাকে সেরা খেলোয়াড়দের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এগুলো আমাদের ইতিবাচক দিক। বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা সঙ্গী করে বাংলাদেশ সফরে আমরা ইতিবাচক দিকগুলোর দিকে ফোকাস রাখব।
নিজের বোলিং নিয়ে রশিদ খান জানান, ডেলিভারি সঠিক জায়গায় ফেলার জন্য কদিন ধরেই অনেক পরিশ্রম করেছি। গুড লাইন আর লেংথে বল ফেলতে চেষ্টা করব। পাশাপাশি ব্যাট হাতে কিছু রান করতে চাই। দলের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখতে চাই।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের একমাত্র টেস্ট। এর আগে ১ ও ২ সেপ্টেম্বর বিসিবি একাদশের বিপক্ষে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তান।