ফাইনাল ম্যাচে রশিদের ‘মাথা ঠান্ডা’ টোটকা
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:৫০
তিন বছরেরও বেশি সময় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অপ্রতিরোধ্য আফগানিস্তান। ২০১৬’র ডিসেম্বর থেকে চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজে আসার আগ পর্যন্ত টানা জয়ের মধ্যেই ছিল দলটি। অবশেষে বাংলাদেশে এসে দলটির প্রায় তিন বছরের উড়ন্ত ছন্দের পতন ঘটেছে। তিন জাতির টুর্নামেন্টে শের-ই-বাংলায় হুঙ্কার ছাড়লেও জহুর আহমেদের পেস কন্ডিশনে গিয়ে পা হরকায়। টানা দুই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশের কাছে হারতে হয়েছে।
কিন্তু তাই বলে চুপসে যায়নি দুর্দান্ত আফগানরা। তাদের আত্মবিশ্বাসেও এতটুকু চিড় ধরেনি। বরং এই হারকে শক্তিতে পরিণত করে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে দলটি প্রবল বিক্রমে ঘুড়ে দাঁড়াতে চাইছে। আর এই ক্ষেত্রে দলপতি রশিদ খানকে প্রেরণা দিচ্ছে টানা তিন বছর অজেয় থাকার সমীকরণ। পাশাপাশি অনুসরণ করবেন একটি কৌশল। মাথা ঠান্ডা রেখে সতীর্থরা হাইভোল্টেজ ম্যাচটিতে নিজেদের সেরাটি খেললে আরেকবার বাংলাদেশ বধ কঠিন হবে না বলে বিশ্বাস তার।
রশিদ খান জানালেন, ‘গেল তিন বছর আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। যদি আমাদের ক্রিকেটাররা তাদের সেরা খেলাটা খেলে আমরা বিশ্বের যে কোনো দলকে হারাতে পারব। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দলে যারা আছে সবাই প্রতিভাবান। আমাদের শুধু মাথা ঠান্ডা রেখে পারফর্ম করতে হবে।’
তিনি আরও জানালেন, ‘আমি মনে করি না যে ওই দুই হারে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। আমরা কালকের ম্যাচটির দিকেই ফোকাস রাখতে চাই। প্রথম দুই ম্যাচে যা যা করেছি, এই ম্যাচটিতেও ঠিক তাই করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমরা ফাইনালে উঠেছি। এখানে আগের হার জিত কোনো ইস্যু নয়।’
ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় হ্যামিস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন রশিদ। কিন্তু চোট তাকে ওই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিতে পারেনি। মিনিট দশেক বাদে মাঠে ফিরে পা টেনে টেনে বল করে মাহমুদউল্লাহকে ক্রিজ ছাড়া করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। ম্যাচের বাকি সময়টা এভাবেই কেটেছে তার।
কিন্তু সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সেই রশিদকেই দেখা গেল, বেশ সাবলীলভাবে হেঁটে সংবাদ সম্মেলনে এলেন। উৎসকু সংবাদ মাধ্যম কর্মীরা তাই জানতে চাইলেন কালকের ম্যাচটিতে খেলবেন কী না?
এই মুহূর্তে নিশ্চয়তা দিলেন না এই আফগান দলপতি। রাখলেন অপেক্ষায়, ‘এই মুহূর্তে আমি কিছুই বলতে পারছি না। গতকাল ইনজুরি নিয়ে কাজ করেছিলাম। মনে হচ্ছে কাজ করছে। দেখি আজ রাত কেমন যায়। আগামীকাল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিব।’
যদি আপনি না খেলেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে ছাড়া দলের বোলিং পরিকল্পনা কি হবে? সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নে রশিদ খান জানালেন, ‘আমাদের ব্যাকআপ অপশন আছে। আমাদের মুজিব (মুজিব উর রহমান), নবী (মোহাম্মদ নবী) ও বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার শরফ (শরফুদ্দিন আশরাফ) আছে। আমার মনে হয় না এটা কোনো সমস্যার কারণ হবে।’