সাত ম্যাচের সাতটিতে জিতে শীর্ষেই লিভারপুল
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:৪০
২০০৬ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শেফিল্ড উইনাইটেডের মাঠে গিয়ে জিততে পারেনি লিভারপুল। এরপর আর কখনও শেফিল্ডের মাঠে খেলা হয়নি। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) লিগের ম্যাচে শেফিল্ডের মাঠে আতিথ্য নিয়ে ১-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। ইংলিশ লিগে টানা ১৬ ম্যাচ জিতলো অলরেডসরা।
তাতে জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা নিজেদের সাত ম্যাচের সাতটিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো। জিওর্জিনিও উইজনালডামের একমাত্র গোলে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেয়েছে লিভারপুল। নেদারল্যান্ডসের এই মিডফিল্ডার ম্যাচের ৭০ মিনিটের মাথায় গোলটি করেন।
ডাচ তারকা উইজনালডামের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া টাইমিং মিসের শটটি আহামরি কিছু ছিল না। কিন্তু শেফিল্ডের গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসনের ভুলে হাত ফসকে বল তার পায়ের ফাঁক গলে জালে জড়ায়। অথচ গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপে শেফিল্ডের জার্সিতে টানা ২১ ম্যাচে ‘ক্লিন শিট’ ধরে রেখেছিলেন এই গোলরক্ষক। ১০ মৌসুম পর লিগে উঠে আসা শেফিল্ডের সমর্থকরা যখন এক পয়েন্ট নিয়ে বাড়ি ফেরার চিন্তা করছিলেন, তখন হেন্ডারসনের মারাত্মক ভুলে লিড নেয় লিভারপুল। পরে অবশ্য একাধিক দুর্দান্ত সেভ করেছেন হেন্ডারসন। নয়তো স্বাগতিক শেফিল্ডের পরাজয়ের ব্যবধানটা আরও বাড়তো।
সাত ম্যাচের সাতটিতে জেতা লিভারপুলের পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১। ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ম্যাচে ১১ পয়েন্ট করে নিয়ে যথাক্রমে তিন থেকে পাঁচে লিচেস্টার সিটি, আর্সেনাল এবং ওয়েস্টহ্যাম।
শেফিল্ডের মাঠ ব্রামল লেনে ২০০৬ সালের পর আজ মাঠে নেমেছিল লিভারপুল। স্বাগতিকদের বিপক্ষে শুরুর একাদশে নামেন আদ্রিয়ান, ভার্জিল ফন ডাইক, জর্ডান হেন্ডারসন, ফ্যাবিনহো, উইজনালডাম, মোহামেদ সালাহ, রবার্তো ফিরমিনো আর সাদিও মানেদের মতো তারকারা। বিরতির পর হেন্ডারসনের বদলি নেমেছিলেন ওরিগি, ফিরমিনোর বদলি নেমেছিলেন জেমস মিলনার আর সাদিও মানের বদলি নেমেছিলেন চেম্বারলেইন।
বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে ছিল লিভারপুল। ম্যাচের ৭০ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছিল লিগের শীর্ষে থাকা দলটি। এই ম্যাচ জেতার মধ্যদিয়ে ছোটো একটা রেকর্ডও করেছে লিভারপুল। ২০০৫-০৬ মৌসুমে লিগের শুরুর সাত ম্যাচে জিতেছিল চেলসি। এবার সেই কীর্তিতে নাম লেখালো জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা।