সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার এলিট ক্লাবে সার্জিও রামোস
১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:৪৪
উয়েফা ইউরো ২০২০ সালের মূল পর্ব নিশ্চিতে অপেক্ষা বেড়েছে স্পেনের। নরওয়ের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে মূল পর্বের টিকিটের জন্য অপেক্ষা বেড়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। অসলোতে আতিথ্য নেয় স্পেন। তারকা খচিত স্পেনকে শেষ মুহূর্তের গোলে রুখে দেয় স্বাগতিকরা।
এই ম্যাচের মধ্যদিয়ে সার্জিও রামোস স্প্যানিশ তারকা গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসকে পেছনে ফেলে বনে যান স্পেনের ইতিহাসের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ফুটবলার। ক্যাসিয়াস তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১৬৭টি ম্যাচ খেলেছেন। আর নরওয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সার্জিও রামোস খেললেন ১৬৮টি ম্যাচ। এর মধ্যে ৪৬ ম্যাচে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রামোস।
চারবার বিশ্বকাপ খেলা রামোস জাতীয় দলে খেলছেন ১৪ বছর ধরে। সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার তালিকায় রামোস, ক্যাসিয়াসের পর আছেন স্পেনের সাবেক কিংবদন্তি জাভি (১৩৩), আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (১৩১), আনদোনি জুবিজারেত্তা (১২৬)। এছাড়া, ডেভিড সিলভা খেলেছেন ১২৪ ম্যাচ, সার্জিও বুসকেটস খেলেছৈন ১১৫ ম্যাচ, জাবি অলোনসো খেলেছেন ১১৪ ম্যাচ, ফার্নান্দো তোরেস আর সেস ফ্যাব্রেগাস খেলেছেন ১১০ ম্যাচ, রাউল গঞ্জালেস খেলেছেন ১০২ ম্যাচ আর পুয়োল খেলেছেন ১০০ ম্যাচ।
জাতীয় দলের হয়ে ১০০ ম্যাচ খেলা ফুটবলার সবচেয়ে বেশি জার্মানদের (১২ জন)। জার্মানির হয়ে সর্বোচ্চ ১৫৫ ম্যাচ খেলেছেন লোথার ম্যাথুজ। টনি ক্রুস (৯৪) আর ম্যানুয়েল ন্যুয়ের (৯০) শততম ম্যাচ খেলার অপেক্ষায়। ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বোচ্চ ১৪২ ম্যাচ খেলেছেন সাবেক ডিফেন্ডার কাফু। রবার্তো কার্লোস খেলেছেন ১২৫ ম্যাচ, দানি আলভেজ খেলেছেন ১১৬ ম্যাচ আর মাত্রই ১০০ ম্যাচ খেলেছেন নেইমার।
এদিকে, পর্তুগালের জার্সিতে সর্বোচ্চ ১৬১ ম্যাচ আর সর্বোচ্চ ৯৪ গোলের মালিক ক্রিস্টিয়ানো রোনালতো। লুইস ফিগো খেলেছেন ১২৭ ম্যাচ, কোওতো খেলেছেন ১২২ ম্যাচ। পর্তুগিজদের ছয় ফুটবলার নিজেদের ক্যারিয়ারে শততম ম্যাচ খেলেছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ৯ ফুটবলার সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। ৮০ আর ৯০ এর দশকে খেলা পিটার শিলটন খেলেছেন ১২৫ ম্যাচ। ইতালির গোলরক্ষক বুফন খেলেছেন ১৭৬ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আজ্জুরিদের সাত খেলোয়াড় ১০০ ম্যাচ বা তার বেশি ম্যাচ খেলেছেন। দুইয়ে থাকা ফ্যাবিও ক্যানাভেরার থেকে ৪০ ম্যাচ বেশি খেলেছেন বুফন। শততম ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় আছে লিওনার্দো বনুচ্চি (৯১)।
বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সাবেক কিংবদন্তি লিলিয়ান থুরান দেশের জার্সিতে খেলেছেন সর্বোচ্চ ১৪২ ম্যাচ। দুইয়ে থাকা থিয়েরো অঁরি খেলেছেন ১২৩ ম্যাচ। ফরাসিদের সাতজন ক্যারিয়ারে শততম ম্যাচ খেলেছেন। হুগো লরিস খেলেছেন ১১৪ ম্যাচ। অলিভার জিরুদের নামের পাশে আছে ৯৪ ম্যাচ। এদিকে, আর্জেন্টিনার দলপতি লিওনেল মেসি খেলেছেন ১৩৬ ম্যাচ। তার থেকে বেশি ম্যাচ খেলেছেন জাভিয়ের জানেত্তি (১৪৫) এবং হাভিয়ের মাশচেরানো (১৪৭)। আর্জেন্টাইন ছয় ফুটবলার খেলেছেন ১০০ বা তার বেশি ম্যাচ।
উরুগুয়ের সাত ফুটবলার ম্যাচের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। দিয়েগো গডিন খেলেছেন সর্বোচ্চ ১৩৩ ম্যাচ। ম্যাক্সি পেরেইরা ১২৫ আর ফার্নান্দো মুসলেরা খেলেছেন ১১৫ ম্যাচ। নেদারল্যান্ডসের সাতজন খেলোয়াড় শততম ম্যাচের স্বাদ নিয়েছেন। ওয়েসলে স্নেইডার খেলেছেন ১৩৪ ম্যাচ। সবশেষ রবিন ফন পার্সি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। বেলজিয়ামের জান ভার্তোঘেন ১১৭ ম্যাচ খেলেছেন। এডেন হ্যাজার্ড আর অ্যাক্সেল উইসেল খেলেছেন ১০৩ ম্যাচ।
বলে রাখা ভালো, আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার দিক দিয়ে বুফন আর রামোস ছাড়া বাকি কিংবদন্তিরা কিন্তু শীর্ষ দশে নেই। সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডে শীর্ষে মিশরের আহমেদ হাসান। তিনি খেলেছেন ১৮৪ ম্যাচ। দুইয়ে থাকা সৌদি আরবের মোহামেদ আল দাইয়া খেলেছেন ১৭৮ ম্যাচ। তিনে আছেন মেক্সিকোর ক্লাউদিও সুয়ারেজ (১৭৭) আর চারে আছেন ইতালির বুফন (১৭৬)। পাঁচ আর ছয়ে থাকা কুয়েতের বাদের আল মুতাওয়া এবং ওমানের আহমেদ মুবারক খেলেছেন ১৭৩ ম্যাচ। সাতে থাকা মিশরের হোসাম হাসান খেলেছেন ১৭০ ম্যাচ। আট এবং নয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ইকুয়েডরের ইভান হুরতাদো (১৬৮) এবং স্পেনের সার্জিও রামোস (১৬৮)। দশে আছেন ১৬৭ ম্যাচ খেলা লাটভিয়ার আসতাভজেভস।
** ইউরো মূল পর্বে ইতালি নিশ্চিত, অপেক্ষায় স্পেন