মাহমুদউল্লাহর আক্ষেপ
১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:০৯
আর ৩৭টি রান! মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছুঁতে পারতেন ক্রিকেটের যাদুকরী তিন সংখ্যা। হতে পারতেন জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডের সেঞ্চুরিয়ানদের একজন। না, সেটি তার করা হয়ে উঠেনি। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে রনি চৌধুরীর বলে ফিরে গেছেন মুমিনুল হকের তালুবন্দি হয়ে। আর এতেই যত আক্ষেপ ঢাকা মেট্রোর এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারের। সেঞ্চুরিটি করতে পারলে যে আরও ভালো লাগত!
ব্যাট হাতে ১৩৪ বল খেলে করেছেন ৬৩ রান। ইনিংসটি গড়তে ৫টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্য নিয়েছেন। তবে তিন অঙ্ক ছুঁতে তার চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না।
রোববার (১৩ অক্টোবর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ড শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে তিনি সে কথাই জানালেন রিয়াদ।
অতৃপ্ত মাহমুদউল্লাহ আক্ষেপ করে জানান, ‘যদি তিন অঙ্ক ছুঁতে পারতাম তাহলে আরেকটু ভালো লাগতো। আমি চেষ্টাও করছিলাম। কারণ পিচ থেকে দ্বিতীয় দিন, এমনকি তৃতীয় দিনও সুবিধা বোলারদের জন্য ছিল। স্পিনার এবং পেস বোলার সবার জন্য। আমিও চেষ্টা করছিলাম। আমি ক্রিজে টিকে থাকতে চেষ্টা করছিলাম এবং পরে যেন আমি আমার সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারি সেটাই চেষ্টা করছিলাম।’
পুরস্কার বিতরণীতে মাহমুদউল্লাহ এসেছিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে। চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ড্র’র ম্যাচে ব্যাট হাতে একটি ইনিংসে নামা হয়েছিল তার। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, ব্যাটিংয়ে দলকে দিয়েছেন ৬৩ রান। পাশাপাশি বল হাতেও ছিলেন বেশ উজ্জ্বল। দুই ইনিংসে তার উইকেট সংখ্যা ৬টি।
প্রথম ইনিংসে ২৬ ওভার বল করে ৫৫ রানে ৩ উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটিংয়ে নেমে খেলেন ৬৩ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভার বল করে ২৫ রানে নেন আরও ৩ উইকেট।
অথচ কাঁধের চোটে বিশ্বকাপ ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে প্রিয় বোলিংটা করতেই পারছিলেন না। সে চোট কাটিয়ে বল তো করেছেনই, ব্যাটসম্যানদের ক্রিজ ছাড়া করেছেন, নিয়েছেন উইকেট। মাহমুদউল্লাহর সন্তুষ্টি তাই সব দিক থেকেই। এরপরে এক মজার কথা শোনালেন জাতীয় দলের নিয়মিত এই মুখ। বোলিংই নাকি তাকে ব্যাটিংয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগায়।
তিনি যোগ করেন, ‘সত্যি কথা বলতে মাঝখানে আমার কাঁধের ইনজুরি থাকায় সাত মাসের মতো বোলিং করতে পারিনি। আমি কিছু ওভার বোলিং করতে চাইছিলাম। বোলিং করতে হয়েছে আমাকে, আমার বোলিং প্র্যাকটিসটাও ভালো হলো। আমিও চাচ্ছিলাম যেন যত বেশি ওভার বোলিং করা যায়। এটাই আসলে মূল উদ্দেশ্য ছিল। আমি বোলিংটা সবসময় করতে চাই। আমার মনে হয় এটা আমাকে অতিরিক্ত একটি সুবিধা বা আত্মবিশ্বাস দেয় আমার ব্যাটিংয়ে।’