সাকিব-তামিমদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে ফিকা
২২ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:০৬
সোমবার (২১ অক্টোবর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকে ক্রিকেটাররা। আর সেখান থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সামনে তুলে ধরা হয় ১১ দফা দাবি। সেখানে ক্রিকেটাররা তাদের বেতন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ম্যাচ ফি বাড়ানো, ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের নানা সুবিধা নিয়ে দাবি তুলে ধরেন।
এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কথা বলেছেন। তিনি জানান, বোর্ডের সঙ্গে না বসে ক্রিকেটারদের এমন সংবাদ সম্মেলনে হতাশ। ক্রিকেটারদের বেশ কয়েকটি দাবি যুক্তিহীন বলে মনে করেন পাপন। কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই দাবি আদায়ে ক্রিকেটাররা ধর্মঘটের পথ কেন বেছে নিলেন বিষয়টি বোধগম্য নয় পাপনের। বিসিবি সভাপতি তাই আক্ষেপও করেছেন।
এদিকে, ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ফিকা) সাকিবদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
ফিকার নিবার্হী প্রধান টনি আইরিশ এক বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশের পেশাদার ক্রিকেটাররা দাবি আদায়ের জন্য একত্র হয়েছে আমরা তার প্রশংসা করছি। প্রতিকূল পরিবেশ থাকা স্বত্বেও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের একত্র হওয়াটা চ্যালেঞ্জিং। এটা পরিস্কার যে, একটা ক্রিকেট প্রধান দেশে তাদের ক্রিকেটের পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। এটাও পরিস্কার যে, ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ারের উন্নতি হওয়া প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য কাজ করা কোয়াব (ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অব বাংলাদেশ) খেলোয়াড়দের জন্য কথা বলে না। খেলোয়াড়দের দু:সময়ে তারা পাশে দাঁড়ায় না। এটা আরও উদ্বেগের বিষয় যে কোয়াবের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পদেও রয়েছেন। ইস্যুগুলোর প্রেক্ষিতে আমরা বিশ্বাস করি যে, এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য সমর্থন এবং সহায়তা দেওয়া ফিকার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
নানাবিধ বৈষম্যের কথা মাথায় রেখেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। যেখানে বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের ক্রিকেটাররা অপেক্ষাকৃত কম বিত্তশালী বোর্ডের হওয়া স্বত্বেও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের থেকে বেশি বেতন এবং সুবিধা পেয়ে থাকেন। সেখানে বিশ্বের ৫ম ধনী ক্রিকেট বোর্ড হওয়ার পরও বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে উইন্ডিজ, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার থেকেও পিছিয়ে বাংলাদেশ।
আর এমন সব বৈষম্য দূর করার জন্য সব ধরনের ক্রিকেটে ধর্মঘট ডেকেছে জাতীয় দল এবং জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটাররা। ১১ দফা দাবির মধ্যে কেবল ক্রিকেটারদের বেতন ভাতার বিষয়টিই উঠে আসেনি, সেই সাথে ক্রিকেটের উন্নতির জন্যও কাজ করার কথা বলা হয়েছে। আর যতদিন পর্যন্ত ক্রিকেটারদের দাবি আদায় না হবে ততদিন পর্যন্ত ক্রিকেটে ফিরবেন না সাকিব-মুশফিকরা।