সাকিবের দুঃখ প্রকাশ, কাজ করবেন তরুণদের জন্য
২৯ অক্টোবর ২০১৯ ২০:০৪
ঢাকা: ম্যাচ ফিক্সিংয়ের তথ্য গোপন করায় সাকিব আল হাসানকে এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। দেশ সেরা এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে তিনটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ অভিভাবক। এ নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছেন সাকিব। দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন- ভবিষ্যতে তরুণ খেলোয়াড়দের সচেতন করতে আইসিসির সঙ্গে কাজ করবেন তিনি।
নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করে সাকিব আল হাসান আইসিসিকে বলেন, ‘আমার ভালোবাসার এই খেলা থেকে বিরত থাকতে হবে, এটি নিঃসন্দেহে চূড়ান্ত দুঃখজনক। তবে আমাকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে আইসিসিকে না জানানোর কারণে আমি সম্পূর্ণভাবে এই নিষেধাজ্ঞা স্বীকার করে নিচ্ছি। আইসিসি’র দুর্নীতি তদন্ত কমিশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খেলোয়াড়দের ওপরই নির্ভর করে থাকে। এ ক্ষেত্রে আমি আমার দায়িত্বটি পালন করতে পারিনি।’
তথ্য গোপন করায় এ নিষেধাজ্ঞার কারণে আপাতত আগামী একবছর কোনও ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না সাকিব। আগামী বছর ২৯ অক্টোবর থেকে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি। তবে এরপর পরবর্তী এক বছর আইসিসির নজরদারিতে থাকবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান টি-টুয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়ক। আইসিসি’র ওয়েব সাইটে এই ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।
আইসিসির এ রায় মেনে নিয়ে ভবিষ্যতে দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সাকিব। এ বিষয়ে আইসিসি’র জেনারেল ম্যানেজার (ইন্টেগ্রিটি) অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘সাকিব তার ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন এবং তদন্তের সময় সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তরুণ ক্রিকেটাররা যেন তার ভুল থেকে শিখতে পারেন, ভবিষ্যতে সে বিষয়েও তিনি ইন্টেগ্রিটি ইউনিটকে শিক্ষামূলক সেশনগুলোতে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার এই প্রস্তাবকে আমি স্বাগত জানাই।’
সাকিবকে তথ্য গোপনের যে তিনটি অভিযোগ এনেছে আইসিসি:
সাকিবকে তিনটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। সাকিবের বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ২.৪.৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৮ সালে তিনি তিনবার ক্রিকেট ম্যাচে দুর্নীতির প্রস্তাব পেয়েছিলেন, যেসবের তথ্য তিনি আইসিসিকে জানাননি।
১. ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের ত্রিদেশীয় সিরিজ কিংবা ২০১৮ সালের আইপিএলে সাকিবকে জুয়াড়িরা দুর্নীতির প্রস্তাব করেছিলেন। সে বিষয়ে আইসিসিকে জানাননি সাকিব।
২. ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের ত্রিদেশীয় সিরিজেই আরও একবার দুর্নীতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সাকিবকে। সাকিব সে বিষয়টিও আইসিসিকে জানাননি।
৩. ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচে জুয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। সে বিষয়ে আইসিসিকে না জানিয়ে তিনি ২.৪.৪ ধারা ভঙ্গ করেছেন।
আরও পড়ুন: সাকিবের ক্রিকেটে ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা আইসিসি’র
২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে মাঠে নামতে পারবেন সাকিব
সাকিবকে মিস করবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ!