Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছেন শুভাগত-তাইবুর; ঢাকার লিড


৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৪৬

সানজামুল-সাকলাইনের ঘূর্ণিতে দলীয় ১শ রানের কোঠা ছুঁতেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরলেন ঢাকা বিভাগের চার টপ অর্ডার; আব্দুল মজিদ (১৬), সাইফ হাসান (২৮), জয়রাজ শেখ (২১) ও রকিবুল হাসান (২৯)। ঠিক তখনই ব্যাকফুটে চলে যাওয়া দলটির ত্রাতার ভুমিকার অবতীর্ণ হলেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তাইবুর রহমান (৯৩) ও শুভাগত হোম (৯২)। হার না মানা ব্যাটে গড়লেন অনবদ্য ১৮০ রানে জুটি। তাতে জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডের দ্বিতীয় দিন শেষে স্কোর বোর্ডে ৪ উইকেটের বিনিময়ে যোগ হল ২৮৪ রান। প্রথম ইনিংসে রাজশাহী বিভাগের চাইতে ৬৪ রানে এগিয়ে গেল ঢাকা। প্রথম ইনিংসে রাজশাহী বিভাগের সংগ্রহ ছিল ২৩০ রান।

রোববার (৩ অক্টোবর) কক্সবাজারে ব্যাট হাতে দিনের শুরুটা করেছিলেন ঢাকার দুই ওপেনার আব্দুল মজিদ ও সাইফ হাসান। কিন্তু দুজনের কেউই আহামরি রকমের ভালো করতে পারেননি। দলীয় রান যখন ৩৩, তখন সানজামুলের ঘূর্ণিতে ব্যক্তিগত ১৬ রানে মজিদ ক্যাচ তুলে দিলেন জুনাইদ সিদ্দিকির হাতে। এরপর দলের স্কোরবোর্ডের সঙ্গে ১৫ রান যোগ হতেই মজিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন ‘মিস্টার সেঞ্চুরিয়ান’ -সা্ইফ হাসান। সাকলাইন ঘূর্ণিতে ব্যক্তিগত ২৮ রানে হলেন শাখির হোসেনের গ্লাভসবন্দি।

তৃতীয় উইকেটে জয়রাজ-রকিবুলের উইকেট কামড়ে থাকা ব্যাটিং মনোভাব কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছিলো ঢাকাকে। তবে সেখানেও বাধ সাধলেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম। দু’জনের ব্যাটে দল তখন মাত্রই পঞ্চাশ রানের (৫২) জুটি পেরিয়েছে। অমনি জয়রাজকে করলেন কট অ্যান্ড বোল্ড। আর ২৯ রানে রকিবুলকে ফেললেন এলবির ফাঁদে। লিড দূরে থাক বড় সংগ্রহের স্বপ্ন অনেকটাই ফিঁকে হতে শুরু করেছিল ঢাকার।

ঠিক তখন ঢাকার স্বপ্নের ত্রাতার ভুমিকায় অবতীর্ণ হলেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তাইবুর রহমান ও শুভাগত হোম। দু’জনের চোয়ালবদ্ধ ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ম উইকেটে নাদিফ চৌধুরীর দল পেল ১৮০ রান। দিনের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে দুজনই সেঞ্চুরির ঘ্রাণ পাচ্ছেন। দুই ব্যাটসম্যানই দিন শেষে অপরাজিত আছেন তাইবুর ৯৩ রানে আর নাদিফ চৌধুরী ৯২ রানে।

এদিকে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের অপর ম্যাচে মেহেদি হাসানের সেঞ্চুরির পরেও (১১৯) মুখ থুবড়ে পড়েছে খুলনা বিভাগের প্রথম ইনিংস। প্রতিপক্ষ রংপুর বিভাগের পেসার রবিউল হকের পেস তোপে ইনিংস গুটিয়ে গেছে মাত্র ২৩৩ রানে। রবিউল একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। বাকি ৫ উইকেটের মধ্যে মুকিদুল ইসলাম, সাজেদুল ইসলাম ২টি করে এবং অপরটি নিয়েছেন আরিফুল হক।

পরিতাপের বিষয় হলো, এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েস, তুষার ইমরান ও নুরুল হাসানের মতো তারকাবহুল ব্যাটসম্যানেরাও দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। ইমরুল ফিরেছেন ৬ রানে, এনামুল বিজয় ২১, তুষার ইমরান ১০, নুরুল হাসান সোহান ১ রানে।

তবে প্রথম ইনিংসে ২২৪ রানে গুটিয়ে যাওয়া রংপুর দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও করেছে দৃষ্টিকটু ভাবে। দিন শেষে ৬৭ রান তুলেছে ঠিকই কিন্তু খোয়াতে হয়েছে ৪টি উইকেট। যেখানে তিনটিই নিয়েছেন গতকাল ৬শ উইকেটের অনন্য চূড়া আহরণ করা আব্দুর রাজ্জাক। অপর উইকেটের শিকারি আব্দুল হালিম। দ্বিতীয় দিন শেষে খুলনার থেকে ৫৮ রানে এগিয়ে আছে রংপুর বিভাগ।

খুলনা বিভাগ বনাম রংপুর বিভাগ জাতীয় ক্রিকেট লিগ এনসিএল ঢাকা বিভাগ বনাম রাজশাহী বিভাগ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর