থিতু হয়েও উইকেট বিলিয়েছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা
৭ নভেম্বর ২০১৯ ২০:৫১
দারুণ সুচনা করেও উইকেট বিলিয়ে দেওয়া টাইগারদের পুরনো অভ্যাস। সময় বদলালেও অভ্যাসটা যেন রয়েই গেছে। এক ওভারের ব্যবধানে পেলেন দু’টি জীবন। এরপরেও ব্যর্থ হলেন বড় ইনিংস খেলতে। লিটন দাস ফিরে গেলেন ২৯ রানেই। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দুই টাইগার ওপেনার লিটন দাস এবং মোহাম্মদ নাইম শেখ ঝড়ো শুরু করেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে আসেন খলিল আহমেদ। আর তার ওভারের প্রথম তিন বলেই তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ঝড়ো সুচনার শুরু করেন নাইম শেখ। এরপর লিটন দাসকে সঙ্গী করে শুরুটা ধরে রাখেন নাইম।
তবে পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে বল হাতে আসেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে যুজবেন্দ্র চাহালকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটিং সীমানা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন লিটন; আর মিস করে যান ব্যাটে বলে না হওয়ায়। লিটন মিস করে গেলেও মিস করেননি রিশব পন্ত। তবে টিভি আম্পায়ার দেখেন পন্ত উইকেটের আগেই গ্লাভস বাড়িয়ে ধরে ফেলেন বলটি। আর এতেই লিটন কেবল দ্বিতীয় জীবনই পাননি; সেই সঙ্গে পেয়েছেন ফ্রি হিটও।
এরপরের ওভারে বল হাতে আসেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ওভারের তৃতীয় বলে সুন্দরকে উড়িয়ে মারতে যান লিটন। তবে ব্যাটে বলে না হওয়ায় বল হাওয়ায় ভেসে যায়। ভারতের তিন ফিল্ডার ক্যাচ লুফে নিতে এগিয়ে আসলে কল দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে একি! মিস করে বসলেন ক্যাচটি স্বয়ং অধিনায়ক।
অষ্টম ওভারে আবারও আসলেন চাহাল। আবারও আবেদন। তবে আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। রান নেওয়ার চেষ্টা লিটনের। তবে উইকেটের সামনে থাকা বল ধরেই থ্রো করেন পন্ত। আর এতেই রান আউট হয়ে ফিরে যেতে হয় লিটনকে। ব্যক্তিগত ২৯ রানে দু’টি জীবনে পাওয়ার পরও বড় ইনিংস খেলতে না পেরেই ফিরে যেতে হয় লিটনকে।
টাইগারদের ব্যাটিং ইনিংসের অর্ধেক শেষে ১১তম ওভারে নিজের কোটার শেষ ওভার বল করতে আসেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ওভারের তৃতীয় বলে সুন্দরকে মিড অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল তুলে দেন শ্রেয়াস আইয়ারের হাতে। এবার আর ভুল করেননি ভারতীয় ফিল্ডাররা। ৩১ বলে ৩৬ রান করে ফিরে যেতে হয় নাইম শেখকে। দলীয় ৮৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
নাইমের ফেরার পর উইকেটে আসেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তবে বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি মুশি। চাহালকে সুইপ করে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে বল তুলে দেন ক্রুনাল পান্ডিয়ার হাতে। দলীয় ৯৭ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের। মুশফিক আউট হন ব্যক্তিগত ৪ রানে। একই ওভারের শেষ বলে স্ট্যাম্প ছেড়ে বেরিয়ে এসে মারতে যান চাহালকে। সৌম্য ব্যর্থ হন ব্যাটে বল ছোঁয়াতে; সঙ্গে সঙ্গে বল লুফে নেন রিশব পন্ত। এবারেও লিটনের মতো ভুল করতে বসেছিলেন পন্ত। তবে এবার ঠিকই মাঠ ছাড়তে হলো সৌম্যকে। দারুণ সুচনা করেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ সৌম্য, ফিরে গেলেন ২০ বলে ৩০ রান করে।
১০ ওভার শেষে যেখানে ৮৩ রানে ছিল মাত্র একটি উইকেট তিন ওভার পরে ১০৩ রানে সেই উইকেট সংখ্যা চারে।