এসএ গেমস: স্বর্ণ স্বপ্নে হোঁচট, এবার প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ
২ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:৫৪
ঢাকা: ভারতের অনুপস্থিতিতে সবচেয়ে ফ্যাবারিট বাংলাদেশ দল দক্ষিণ এশিয়ান (এসএ) গেমসের মিশন শুরু করেছে ভুটানের কাছে হার দিয়ে। ৯ বছরের শিরোপা খরা ঘোচানোর স্বপ্নটা এখনও জিইয়ে আছে। থেমে থাকার সুযোগ নেই। পরপর টানা দুই দিন আরও দুটি ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশকে। স্বর্ণ জিততে পরের ম্যাচগুলো পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া ছাড়া বিকল্প নেই জামাল-ভূঁইয়াদের।
এমন সমীকরণ দেখার আগেই আরেকটি বড় পরীক্ষার মুখে জেমি ডে’র শিষ্যরা। আগামীকাল মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) দশরথ রঙশালা স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের সঙ্গে খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
১৯৯৯ সালে এই নেপালের কাঠমুন্ডুতেই সেবার নেপালকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ। ১১ বছর অপেক্ষার পর ২০১০ সালে দেশের মাটিতে দ্বিতীয় ও শেষবার স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ।
এই দেশেই দশরাত রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ভুটানের সঙ্গে ১-০ ব্যবধানে হেরেছে জেমি ডে’র শিষ্যরা।
এবার অবশ্য অন্যান্য বারের মতো প্রস্তুতি শুরু করতে পারেনি জেমি ডে। ক্লাব থেকে খেলোয়াড়দের আগেভাগে ছাড়তে না চাওয়ায় সরাসরি নেপালের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়েছে পুরো দলকে। জেমি ইংল্যান্ড থেকে সরাসরি নেপালে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। সেখানে মাত্র দু’দিন অনুশীলনের সময় পেয়েছে পুরো দল।
প্রস্তুতির অভাব দেখা গিয়েছে পুরো ম্যাচ জুড়েই। স্কোয়াডে ১৬জন জাতীয় দলের ফুটবলার। বলতে গেলে জাতীয় দল নিয়ে স্বর্ণের দাবিদাররা ভুটানের সঙ্গে পেরে উঠেনি কোনোভাবেই। প্রথমার্ধে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি মাঠে। অগোছালো ফুটবল উপহার দিয়ে প্রথমার্ধে গোলশূন্য থেকে দ্বিতীয়ার্ধেও তেমন পরিকল্পিত আক্রমণ করতে ব্যর্থ হয় ফুটবলাররা। উল্টো ম্যাচের দখল রেখে ৬৪ মিনিটে চেনচো গেইলসেনের গোলে লিড নেয় ভুটান।
পিছিয়ে থেকে কিছুটা জেগে উঠলেও গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। তাই ম্যাচে তিন পয়েন্ট খুইয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে জেমির শিষ্যদের।
তবে এখনই স্বর্ণ পদকের আশা নিভে যায়নি। সামনে আরও তিন ম্যাচ হাতে পাচ্ছে ফিরে আসার। তবে টানা দুটি ম্যাচে মাঠে নামতে হবে জামাল-সুফিলদের। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ও বুধবার (৪ ডিসেম্বর) যথাক্রমে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ৮ ডিসেম্বর শেষ ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশ দল।
২০ সদস্যের বাংলাদেশ দল:
গোলরক্ষক: আনিসুর রহমান জিকো, মোহাম্মদ পাপ্পু হোসেন ও মাহফুজুর রহমান প্রীতম।
রক্ষণভাগ: বিশ্বনাথ ঘোষ, রহমত মিয়া, ইয়াসিন খান, টুটুল হোসেন বাদশা, রিয়াদুল হাসান, ইয়াসিন আরাফাত ও সুশান্ত ত্রিপুরা।
মধ্যমাঠ: জামাল ভুঁইয়া (অধিনায়ক), বিপলু আহমেদ, রবিউল হাসান, মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও মোহাম্মদ আল আমিন।
আক্রমণভাগ: সাদ উদ্দিন, নাবীব নেওয়াজ জীবন, রাকিব হোসেন ও আরিফুর রহমান।