বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ হলেও রাশিয়া খেলবে ইউরোতে
১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৫৫
আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা রাশিয়ান ক্রীড়াবিদদের শরীরে ড্রাগ হিসেবে স্বীকৃত মেলনাডিয়াম সাধারণ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আর এর ফলে সুইজারল্যান্ডে ওয়াডার কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সব ধরনের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট থেকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে রাশিয়াকে। অর্থাৎ ২০২০ টোকিও অলিম্পিক ও ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া। তবে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট ইউরোতে অংশগ্রহণ করতে পারবে রাশিয়া।
বিশ্ব অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা) সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাশিয়াকে চার বছরের জন্য আন্তর্জাতিক সব ধরনের টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ করে রাশিয়াকে। যদি কোনো রাশিয়ান অ্যাথলেট ব্যাক্তিগতভাবে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চায় তাহলে তাদেরকে ডোপ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে, কিন্তু শর্ত হিসেবে রয়েছে দেশ হিসেবে রাশিয়ার নাম ব্যবহার করতে পারবেন না অ্যাথলেটরা।
তবে এসব কিছুর বাইরে সব থেকে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও খেলবেন ২০২০ সালের ইউরোতে। অর্থাৎ বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট গুলোতেই কেবল নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে রাশিয়া আঞ্চলিক কোনো টুর্নামেন্টের নয়।
আবার অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির নিয়মানুযায়ী দেখা যায় আঞ্চলিক কোনো টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে তাদের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। আর ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবে না। যেহেতু এই সংস্থাটি কোনো বৈশ্বিক কোনো সংস্থা নয়।
আর তাই তো উয়েফা ইউরো ২০২০ সালে রাশিয়া অংশগ্রহণ করলে কোনো ধরনের নিয়ম ভঙ্গ হবে না। আর তাই তো ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়েছে রাশিয়ার। অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকছে রাশিয়ার সামনে। অবশ্য আপিল করার জন্য রাশিয়া ২১ দিন সময় পাচ্ছে। আর এর আগে ২০১৪ সালে ডোপ পজিটিভ হবার কারণে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিল রাশিয়া। যার ফলে ২০১৮ সালের শীতকালীন অলিম্পিকে রাশিয়ার ১৫০ এর বেশি অ্যাথলেট অংশগ্রহণ করেছিলেন রাশিয়ার পতাকা ব্যতীত।