শার্লের চলে যাওয়া বড় ধাক্কা নয়: সুজন
১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৫৫
কোর্টনি ওয়ালশের বিদায়ের পর গেল জুলাইয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেস বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট। মাত্র পাঁচ মাসে সাবেক এই প্রোটিয়া টিম বাংলাদেশকে দিতে পেরেছেন সামান্যই। নাতিদীর্ঘ্য এই সময়ে শিষ্যরাও যে গুরুর কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য হারে বোলিং দক্ষতা রপ্ত করতে পেরেছেন, বিষয়টি তাও নয়। তাছাড়া কোচ ও প্লেয়ারদের মধ্যে রসায়ন জমে উঠতে পাঁচ মাস আহামরি কোনো সময়ও নয়। ঠিক সেকারণেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের গেম ডেভেলপমেন্ট প্রধান ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের মনে হয়েছে তার চলে যাওয়াটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বড় কোনো ধাক্কা নয়।
আবার এমনও নয়, ল্যাঙ্গাভেল্টকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিয়োগ দেওয়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পেস বোলিং বিভাগ কোচ শূন্য ছিল। তিনি কোচ হয়ে আসার আগে মাশরাফি, রুবেল, মোস্তাফিজ, রাহিরা কিছু্ই শেখেননি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পথ চলা তো আর ৫ মাসের নয়! তাই হয়তো সুজনের এমন মন্তব্য।
‘এটা তো তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। হয়তো করবে না, হয়তো কারণ আছে। যদিও ল্যাঙ্গাভেল্ট খুব বেশি দিন হয়নি আমাদের জন্য। খুব যে বেশি বড় ধাক্কা, আমি বিশ্বাস করি না। কারণ, আমাদের ছেলেরা এখন অনেক কোচিং পেয়ে গেছে আসলে। অনেক কোচদের অধীনে ছিল। হয়তো বা ল্যাঙ্গাভেল্ট নতুন কিছু নিয়ে এসেছিল দলের মধ্যে। সেটা হয়তো বা এ কয়দিনে ওরা আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছে।‘
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ড এমনই এক সময়ে শার্লকে চেয়ে বিসিবিকে অনুরোধ করেছে যখন দরজায় কড়া নাড়ছে পাকিস্তান সিরিজ। আসছে বছরের শুরুতেই স্বাগতিক দেশটির বিপক্ষে দু’টি টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এমনিতেই সাদা পোষাকে এদেশের পেস বোলিং যাচ্ছেতাই রকমের। তার ওপর আবার তার শার্লের বিদায় ঘণ্টা! উদ্ভুত পরিস্থিতি সামলাতে কী পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড?
সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নে সুজনের চটপটে উত্তর। ‘আমার মনে হয় ওর জায়গায় খুব দ্রতই কাউকে নেবে বিসিবি। গ্যাপটা থাকবে না। দলের প্রধান কোচ আছে, বাকিরা সবাই তো আছেই। অবশ্যই একটা কোচ আসে চলে যায়, এটাই হয়। কিন্তু আমার মনে হয় হারানোর কিছু নেই আসলে। এটাই ক্রিকেটের নিয়ম। হয়তো বা কেউ অনেক দিন থেকে যায়, কেউ তাড়াতাড়ি চলেও যায়। তারপরও ছেলেরা এখন যথেষ্ট পরিণত। কিন্তু আমাদের অবশ্যই একটা কোচ লাগবে। আমি মনে করি, তাড়াতাড়িই চলে আসবে হয়তো বা।‘
বিসিবির কাছে শার্লকে চেয়ে পাঠানো মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের পরিবর্তনের একটি প্রভাব। দলটির সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান পরিচালক হওয়ার পর পাল্টে ফেলা হয়েছে জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনার আদ্যপান্ত। নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব নিয়েই সতীর্থ সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মার্ক বাউচারকে দায়িত্ব দিয়েছেন নতুন কোচের। বোলিং কোচ হিসেবেও সতীর্থ ল্যাঙ্গাভেল্টকেই চাইছেন স্মিথ।
দেশের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজ কর্মস্থলে ইতোমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন শার্ল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সাদরেই তা গ্রহণ করেছে।
খালেদ মাহমুদ সুজন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট