মাশরাফির কাঠগড়ায় মিডল অর্ডার
২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৯:২৩
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটিং অট্টহাসিতে দলের রানের চাকাও ঘুরছিল বনবন করে। তাদের বিদায়ে দলের হাল ধরেন টপ অর্ডারের আরেক প্রাণভোমড়া মুমিনুল হক। কিন্তু তিনি ক্রিজছাড়া হওয়ায় মিডল অর্ডারের কোন ব্যাটসম্যানই ঢাকার হাল ধরতে পারেননি। নূন্যতম দায়িত্বশীল ব্যাটিং দলকে উপহার দিতে পারেননি। ফলে চট্টগ্রামের কাছে ঢাকাকে মেনে নিতে হয়েছে ৬ উইকেটের বড় হার। আর এই হারের পেছনে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখছেন যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন দলপতি মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসকল কথা জানান।
তামিম ইকবাল ও এনামুলক হক বিজয়ের জুটি ছিল ৩২ রানের। ওভারকাস্ট কন্ডিশনের উইকেট বিবেচনায় ওপেনিং জুটির সংগ্রহটি মন্দ নয়। আরো কয়েকটি রান এলে হয়ত দলের রানের গতি আরো তরান্বিত হত। কিন্তু সেটা যেহেতু হয়নি বলে আর কথা বাড়িয়ে লাভ কি? ষষ্ঠ ওভারে চ্যাডউইক ওয়াল্টনের থ্রোতে ব্যক্তিগত ১৪ রানে বিজয় কাটা পড়লে আসেন সেদিন জহুর আহমেদে ঝড় তোলা তরুণ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান। কিন্তু আজ তাকে যেন তাকে ঠিক খুঁজে পাওয়া গেল না। ফিরে গেলেন রানের খাতা না খুলেই!
চারে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস মেরামতের কাজ সেরে চওড়া ব্যাটে চট্টগ্রামের বোলারদের বেশ সমিচীন জবাবই দিচ্ছিলেন মুমিনুল হক। কিন্তু দলীয় ৫০ রানে নাসুম ঘূর্ণিতে তামিম (২১) পা হড়কালে ঘোরতর বিপদে পড়ে ঢাকা। মিডল অর্ডারের কোন ব্যাটসম্যানই ঢাকার ত্রাতার ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেননি। শেষমেশ লোয়ার অর্ডারে ওয়াহাব রিয়াজের ১৫ বলে ২৩ ও মাশরাফির ১২ বলে ১৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৯ উইকেটে ১২৪ রানের সংগ্রহ তুলতে সক্ষম হয় ঢাকা।
কিন্তু মিডল অর্ডার কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পারলেই ম্যাচের গল্প ভিন্ন হতে পারত মনে করেন ঢাকার মাশরাফি।
‘আমার মনে হয় জেতা সম্ভব ছিল। বিশেষ করে পাওয়ার প্লের পরে যে পরিস্থিতি ছিল জেতা উচিত ছিল। যেহেতু রান কম ছিল টাইট বোলিং করার খুব দরকার ছিল। পাওয়ার প্লের পরে প্রায় দুই ওভারের একটা গ্যাপ হয়ে গিয়েছিল রানের সঙ্গে বলের। ওখানে চাপটা রাখা গেলে আমাদের ভালো সুযোগ ছিল। তবু ১৫-২০ রান আমরা করেছি। এই উইকেটে ১৪০-১৪৫ ভাল স্কোর। যেহেতু বৃষ্টি হয়েছে টস গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তামিম-বিজয় উইকেটের ভাল মূল্যায়ন করেছিল। দ্রুত দুই উইকেট পড়ে যাওয়াতে ১৫-২০ বলের গ্যাপ পড়ে যায়। টপ অর্ডার ঠিক ছিল কিন্তু মিডল অর্ডারে দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল।’
কিন্তু আদতে সেটা করে দেখাতে পারেনি যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন মিডল অর্ডার। তাতে চট্টগ্রামের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৫ রান। যা ৮ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটের খরচায়ই ছুঁয়ে ফেলে বন্দরনগরীর দলটি।
ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০১৯ যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন