ফিরেছেন ফিজ; রংপুর রেঞ্জার্সে স্বস্তির বাতাস
৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:৫৯
দেশসেরা পেসার হয়েও বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুরুটা নিদারুণ নিষ্প্রভতায় কেটেছে মোস্তাফিজুর রহমানের। বোলিংয়ে লেংথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না, মূল অস্ত্র কাটার এবং স্লোয়ারও কাজ করছিল না। গতি, বাউন্সার কাজে লাগিয়ে ম্যাচ প্রতি একটি, দুটি উইকেট পেয়েছেন সত্যি কিন্তু রানের হিসেবে ছিলেন ভীষণ খরুচে। এতে করে অনেকে এখানেই তার ক্যারিয়ারের শেষ দেখে দেখে ফেলেছিলেন।
কিন্তু মোস্তাফিজ যে ফুরিয়ে যাবার নন সে প্রমাণ দিয়েছেন প্রবল বিক্রমে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে। শুরুটা হয়েছে চট্টগ্রাম পর্ব দিয়ে, ঢাকাতেও তা অব্যাহত আছে। এবং তার উজ্জ্বলতার আভায় শুরুর সেই নিষ্প্রভতা দূরে সরে গেছে। যা রংপুর রেঞ্জার্সকে এনে দিয়েছে স্বস্তি।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে তার বারুদে বোলিংয়ে দলটি ১৩৩ রানেই গুটিয়ে গেছে। ৪ ওভারে ১০ রানের বিনিময়ে মোস্তাফিজ তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। জয়ের জন্য ১৩৪ রানের মামুলি লক্ষ্য রংপুর ছুঁয়েছে মাত্র ৩ উইকেটের খরচায় ১৭.২ ওভারেই।
এর আগে ৬ ম্যাচের মাত্র ১ জয়ে দলটির শেষ চারের আশা মাটির পিদিমের মতেই নিভু নিভু করছিল। কিন্তু উদ্ভাসিত এই জয়টি তা কিছুটা হলেও উজ্জ্বলতর করল। সিলেটের বিপক্ষে তাদের ৭ উইকেটের দাপুটে জয়ই এখন পরের ৫ ম্যাচ জয়ের জ্বালানি যোগাচ্ছে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সে কথাই জানালেন মোস্তাফিজের সতীর্থ আরাফাত সানি।
‘মোস্তাফিজ সবসময়ই ভালো বোলার ছিলো। মাঝখানে একটু খারাপ সময় যাচ্ছিলো। ও আবার ফিরেছে। শেষ দুইটা ম্যাচ ভালো বল করছে, চট্টগ্রাম থেকে মূলত শুরু হয়েছ ওর ভালো বল করা। স্বভাবগতভাবেই কিন্তু ও ওই রকমই বল করে। ভাল খবর যে ও ফিরেছে। ভাল একটা ফর্মে ফিরেছে। আমাদের জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট।’
ফিজ ফিরেছেন গেল ২৭ ডিসেম্বর এই শের-ই-বাংলায় খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। সেদিন ২৮ রানের বিনিময়ে তার শিকার ছিল ৩টি। তার আগের ম্যাচে জহুর আহমেদে ২ উইকেট নিয়েছেন ২৩ রানের খরচায়।