রংপুরকে উড়িয়ে প্লে অফে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন
৮ জানুয়ারি ২০২০ ২১:৫৫
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ঢাকার শেষ পর্বে নিজেদের ১০ম ম্যাচেই প্লে অফ নিশ্চিত করেছে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন। রংপুর রেঞ্জার্সকে ৬১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই প্লে অফ নিশ্চিত করেছে মাশরাফি বিন মুর্ত্তজার দল। ঢাকার এই জয়ে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান আর অধিনায়ক মাশরাফি বুন মুর্ত্তজা।
মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা আর মেহেদী হাসানের আগুন ঝরা বোলিংয়ে রংপুর রেঞ্জার্সকে ৮৪ রানেই অল আউট করে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন। ১৪৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। আর এর পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা আর অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম আর শেন ওয়াটসনের উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান। এরপর দলীয় রান ৪০ এর আগেই পাঁচ ব্যাটসম্যানকে সাঁজ ঘরে পাঠায় প্লাটুনের বোলাররা। মেহেদী হাসানের সঙ্গে রংপুরের উইকেট গুঁড়িয়ে দিতে যোগ দেন মাশরাফি, সাদাব খান আর ফাহিম আশরাফও। প্রত্যেকেই দু’টি করে উইকেট নামের পাশে যুক্ত করলেও তিনটি উইকেটব তুলে নেন মেহেদী হাসান।
ঢাকার হয়ে ৩.৩ ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান, ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন মাশরাফি।
অন্যদিকে রংপুরের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান আসে আল আমিনের ব্যাট থেকে। তিনি করেন ২৩ রান। এছাড়া ক্যামেরুন ডেলপোর্ট ২০ আর মোহাম্মদ নবীর ১২ রান ছাড়া কেউই করতে পারেননি রান। আর তাতেই ২৭ বল বাকি থাকতেই মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় রংপুরের ইনিংস। আর তাতেই যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন জয় পায় ৬১ রানের।
এর আগে টস জিতে আগে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনকে ব্যাট করতে পাঠায় রংপুর রেঞ্জার্সের অধিনায়ক শেন ওয়াটসন। ঢাকার শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয়। তবে তৃতীয় ওভারে দলীয় ২৬ রানে বিজয় (১১) ফিরে যাওয়ার পর ভেঙে পড়ে ঢাকার ব্যাটিং লাইন আপ।
বিজয় ফেরার পর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন। তবে এক প্রান্ত ঠিকই আগলে রাখেন অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল। ইনিংসের ১৪তম ওভারে দলীয় ৯০ রানের সময় ব্যক্তিগত ৪০ রানে তামিম ফিরলে বড় সংগ্রহ গড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ঢাকার।
ব্যাট হাতে এদিন মেহেদী হাসান, আরিফুল হক, মুমিনুল হক ব্যর্থ হন সবাই। শেষ দিকে সাদাব খান (৩১) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লে ঢাকা প্লাটুনের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৫ রানের।
ঢাকার ব্যাটিংকে ঠিক যেন ব্যাট করতেই দেয়নি রংপুরের বাংলাদেশি বোলাররা। এর মধ্যে সব থেকে বেশি হিংস্র হয়ে উঠেছিলেন তাসকিন আহমেদ। নিজের কোঠার ৪ ওভারে ৩২ রানের বিনিময়ে তাসকিন নিয়েছেন তিনটি উইকেট। তাসকিনের সঙ্গে তিনটি উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। তিনি চার ওভারে ৩৪ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। আর দু’টি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নবী।