আইসিসি মিটিয়ে দিয়েছে আমাদের কারো হাত নেই: আকবর
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:৫৪
ঢাকা: অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচের শেষে আবেগপ্রবণ হয়ে ধাক্কাধাক্কিতে লিপ্ত হয়েছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। ফলস্বরূপ তাদের শাস্তি শুনিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। এ শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার ও ভারতের দুই ক্রিকেটারকে। ফলে এই বিষয়টি নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলার আবশ্যকতা দেখছেন না বাংলাদেশ দলের দলপতি আকবর আলী।
তিনি মনে করেন যেহেতু আইসিসি শাস্তি শুনিয়েছে সেহেতু বাংলাদেশ দলের কারোরই এখানে কোন হাত নেই।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি)সাউথ আফ্রিকা থেকে যুব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরার পর মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
আকবর বলেন, ‘আইসিসি মিটমাট করে দিয়েছে এটাতে আমাদের কারো কোনো হাত নেই। দুই দলই ভুল করেছি। আমাদের কিছু খেলোয়াড় ও ভারতের খেলোয়াড়রা ভুল করেছে। দুই দলই শাস্তি পেয়েছে, এটা সবাই মেনে নিয়েছে। আমার মনে হয় মীমাংসা হয়ে গেছে।’
সেদিন ম্যাচ শেষে ওই ধাক্কাধাক্কির ঘটনার বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশের হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন অধিনায়ক আকবর আলী। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। পুরো ঘটনা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আইসিসির ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রয় যে প্রতিবেদন দিলেন তাতে বাংলাদেশের সংখ্যাটাই বেশি। অথচ ভারতের ক্রিকেটারদের অপরাধ কোন অংশে কম ছিল না।
যা হোক, তার দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে যে তিন বাংলাদেশি শাস্তি পেয়েছেন তারা হলেন; তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও রকিবুল হাসান। আর ভারতের দুজন হলেন; আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণয়ই।
এদের সবাইকেই আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ ধারা ভাঙায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের তৌহিদ পেয়েছেন ১০টি সাসপেনশন পয়েন্ট, শামিমের সাসপেনশন পয়েন্ট ৮টি হলেও ডিমেরিট পয়েন্ট কিন্তু ৬টিই থাকছে। আর স্পিনার রকিবুল পেয়েছেন ৪টি সাসপেনশন পয়েন্ট যা ৫ ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। এ পয়েন্টগুলো আগামী দুই বছর তাদের ক্যারিয়ারের থেকে যাবে।
এদিকে, ভারতের আকাশ সিং ৮টি সাসপেনশনসহ ৬ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। আর রবি বিষ্ণয় প্রথম অপরাধের জন্য ৫ টি সাসপেনশন ও ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। আর ২৩তম ওভারে অভিষেক দাস আউট হওয়ার পর বাজে ভাষা ব্যবহার করায় পেয়েছেন আরও ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট।
বলে রাখা ভালো, ১টি সাসপেনশন পয়েন্ট মানেই একটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় বা এ দলের একটি ম্যাচ থেকে বঞ্চিত।
আইসিসির শোনানো এই শাস্তি অনুযায়ী আগামী দুই বছর জাতীয় দল বা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে এই পাঁচ ক্রিকেটারকে এই শাস্তি ভোগ করতে হবে।