Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চার হাজারি ক্লাবের হাতছানিতে মাহমুদউল্লাহ


১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:৫৮

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে মাহমুদউল্লাহকে হাতছানি দিচ্ছে অনন্য এক মাইলফলক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নেমে মাত্র ৬ রান করলেই চতুর্থ বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে চার হাজারি ক্লাবে নিজের নাম লেখাবেন টাইগার এই দলপতি।

২০০৭ সালের জুলাইয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক ঘটে ৩৪ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের। সেই থেকে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১৮৫টি ওয়ানডে। ৩টি সেঞ্চুরি এবং ২১টি অর্ধশতকে ৩৩.৮৪ গড়ে করেছেন ৩ হাজার ৯৯৪ রান। সেই সাথে রয়েছে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১২৮ রানে অপরাজিত দুর্দান্ত এক ইনিংস।

বিজ্ঞাপন

বল হাতেও বেশ সফল এই টাইগার স্পিনার। ১৩৪ ইনিংসে বল করে ৫.১৭ ইকোনোমি রেটে উইকেট শিকার করেছেন ৭৬টি। ম্যাচ সেরা বোলিং ফিগার তাঁর ৩/৪।

মাহমুদউল্লাহের আগে আরও চার বাংলাদেশি ক্রিকেটার তাদের নাম লিখিয়েছেন এই চার হাজারির ক্লাবে। এরা হলেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম।

প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে চার হাজারি ক্লাবে ঢুকেছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তিনি ছুঁয়েছিলেন অনন্য এই মাইলফলক। গত বছর আইসিসির থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার (এক বছরের স্থগিতাদেশ) আগ পর্যন্ত খেলা ২০৬ ম্যাচে ৩৭.৮৬ গড়ে সাকিবের সংগ্রহ ৬ হাজার ৩২৩ রান। সেই সাথে নিজের ঝুলিতে পুরেছেন ৯টি সেঞ্চুরি এবং ৪৭টি হাফ সেঞ্চুরি। চার হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করতে তাকে খেলতে হয়েছিল ১৪২টি ওয়ানডে।

সাকিবের পর এই ক্লাবে নিজের জায়গা করে নেন তামিম ইকবাল। ২০১৫ সালের মার্চে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের ১৩৮তম ওয়ানডে ম্যাচে সাকিবের সঙ্গী হয়েছিলেন টাইগার এই ওপেনার। ২০০৭ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত তামিম খেলেছেন ২০৪টি ওয়ানডে। ১১টি শতক এবং ৪৭টি অর্ধশতকের ইনিংস খেলে ৩৫.৫২ গড়ে বর্তমানে ৬ হাজার ৮৯২ রানের মালিক ৩০ বছর বয়সী এই ওপেনার।

বিজ্ঞাপন

তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে চার হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ১৬৩ ওয়ানডে খেলে পৌঁছেছিলেন এই মাইলফলকে। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল টাইগার এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের। ২১৬ ওয়ানডে খেলা এই ক্রিকেটারের ঝুলিতে রয়েছে ৬ হাজার ১০০ রান। যেখানে রয়েছে ৭টি সেঞ্চুরি এবং ৩৭টি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস।

এই তিন জনের সাথে ৪র্থ ক্রিকেটার হিসেবে নাম লেখাতে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম চার হাজারি ক্লাবে নাম লিখিয়েছিলেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্যার ভিভ রিচার্ডস। ১৯৮৫ সালের ১৪ এপ্রিল প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে চার হাজার রানের মালিক হয়েছিলেন তিনি। এই ক্লাবে ঢুকতে তাঁর খেলতে হয়েছিল ৯৬টি ম্যাচ।

আর ওয়ানডেতে সবচেয়ে দ্রুত চার হাজার রান করার মালিকানা নিজের করে নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা। মাত্র ৮৪ ওয়ানডে খেলেই তিনি ঢুকে গিয়েছিলেন এই ক্লাবে। দ্রুত চার হাজার রানের মালিক হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্যার ভিভ রিচার্ডস। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ডের জো রুট। ইংলিশ এই ক্রিকেটারের চার হাজারি ক্লাবে ঢুকতে খেলতে হয়েছিল ৯৭টি ওয়ানডে ম্যাচ।

চার হাজারি ক্লাব তামিম ইকবাল বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মুশফিকুর রহিম সাকিব আল হাসান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর