সাফল্যের রহস্য জানালেন লিটন
১১ মার্চ ২০২০ ২৩:১৪
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন সংস্করণেই রানের ঝর্ণাধারা ঝরেছে লিটন দাসের ব্যাটে। টেস্টে ব্যাটিং পেয়েছেন এক ইনিংসে, সেখানে শতক হাঁকাতে পারেননি সত্যি, তবে করেছেন ফিফটি। তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডেতে তো রীতিমত চমকেই দিলেন। দুই ম্যাচেই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। এর একটিতে খেলছেন দেশসেরা ১৭৬ রানের ইনিংস। এখানেই শেষ নয়। সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছেন টি-টুয়েন্টি সিরিজেও। দুই ম্যাচের দুটিতেই ফিফটি! পুরো সিরিজের ছয় ইনিংসে তার রান ৪৮৩ রান। যা তাকে এনে দিয়েছে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের মুকুট। কি তার রহস্য? সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে লিটন তা উন্মোচন করলেন।
বুধবার (১১ মার্চ) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে লাল সবুজের ক্লাসিক এই ব্যাটসম্যান জানালেন, ‘এর আগেও আমি পারফর্ম করেছি। একটা ম্যাচ খেলার পর আমি শিথিল হয়ে যেতাম। মনোযোগ নষ্ট হয়ে যেত। একটা ম্যাচে তো রান করেছি পরের ম্যাচেও হয়ত রান হয়ে যাবে, এমন ভাবনা আসত। এই পুরো সিরিজটা যদি দেখেন, আমি চিন্তা করেছি প্রতিটি দিনই নতুন, খেলাটাও নতুন। একটা বলই আউট হওয়ার জন্য যথেষ্ট।’
‘প্রতিটা বলেই অনেক বেশি মনোযোগী ছিলাম। যে কারণে আমার শটস সিলেকশন থেকে শুরু করে… খুব যে উপরে মেরে খেলেছি এই সিরিজে তা কিন্তু না। বলের গুন বিচার করেই বুঝে খেলার চেষ্টা করেছি আর মনোযোগ একটু বেশি ছিল। যে কারণে আজকের এই ফল,’ যোগ করেন লিটন।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে লিটন যেভাবে খেলেছেন তা সন্দেহাতীতভাবেই এদেশের ক্রিকেটের জন্য দৃষ্টান্ত-স্থাপনকারী। যতদিন এদেশের ক্রিকেট থাকবে ততদিন সবার চক্ষুগোচরে এই চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স ভেসে উঠবে। সঙ্গত কারণেই আগামীর সিরিজগুলোতে তার কাছে সতীর্থ, ভক্তদের প্রত্যাশা থাকবে আকাশচুম্বি। সেটা আবার দাঁড়াবে না তো?
না, তেমনটি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানালেন লাল সবুজের অদম্য এই পারফর্মার । ‘আপনি যখন একটা জিনিস হাতে পাবেন, ফেলে দেওয়াটা খুব সহজ। ধরে রাখাটা কষ্টকর। এখন আমার জন্য চ্যালেঞ্জ হবে পারফরম্যান্স কতটুকু ধারাবাহিকভাবে করতে পারছি। অনুশীলন লেভেল থেকে শুরু করে ম্যাচ, সবকিছুতেই অনেক কষ্ট করতে হবে। চেষ্টা করব যে এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য। জানি না কতটুকু হবে তবে অনুশীলন মন-প্রাণ দিয়ে করতে চাই।’