যেমন পরিবর্তন আসতে পারে রিয়ালে!
২৮ মার্চ ২০২০ ১৪:০৩
করোনায় থেমেছে গোটা বিশ্ব। বাধ্য হয়ে থামতে হয়েছে ফুটবলকেও। করোনা প্রতিরোধে একাধিক ক্লাব ও ফুটবলাররা নিচ্ছে দৃশ্যমান সব উদ্যেগ। পাশাপাশি পরিকল্পনাতেও আঁটছে ফুটবল মাঠে ফেরার পর তাদের করনীয়গুলো নিয়েও। রিয়াল মাদ্রিদ আপাতত ব্যস্ত করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। তাই বলে তাদের ফুটবল পরিকল্পনাগুলো থেমে নেই। সেই পরিকল্পনার বড় একটি অংশজুড়েই রয়েছে আসন্ন মৌসুমের খেলোয়াড়দের দলবদল নিয়ে। আসছে মৌসুমে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের ছেড়ে যাবে কারা আর দলে নতুন করে নাম লেখাবেই বা কারা? এসব নিয়ে ভাবছে রিয়াল মাদ্রিদ ম্যানেজমেন্ট। স্পানিশ বিভিন্ন দৈনিক থেকে দেখা মেলে নানান তথ্যের। তারই ভিত্তিতে রিয়াল মাদ্রিদের দলবদলের মৌসুমের ছক।
বয়সের ভারে কিংবা পারফরম্যান্সের ঘাটতিতে বেশ কয়েকজন ফুটবলারকেই পরবর্তী মৌসুমে ছাড়তে হতে পারে গ্যালাকটিকো শিবির। এর মধ্যে অন্যতম ২০১৮ সালের ব্যালন ডি অর জয়ী লুকা মদ্রিচ, প্রায় এক যুগ রিয়ালের হয়ে খেলা মার্সেলো ভিয়েরো, বিশ্বের প্রথম হান্ড্রেড মিলিয়ন ম্যান গ্যারেথ বেল, ২০১৪ বিশ্বকাপের সেনসেশন হামেস রদ্রিগেজসহ আরও বেশ কয়েকজন। চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক তাদের দিকে।
রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে পারেন যারা:
লুকা মদ্রিচ: একে তো বয়স হচ্ছে তার উপর মৌসুমের শুরুতেই ধুঁকছিলেন অফফর্মে । তবে সেখানে থেকে ফিরেছেন বেশ ভালোভাবেই। যদিও মাঝমাঠে এখনো তার জায়গা নিয়ে প্রায়ই টানাটানি করছে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ফেদেরিকো ভালভার্দে। ডিসেম্বরের আগ দিয়ে ডেভিড বেকহামের আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মায়ামি মদ্রিচকে দলে টানতে চেয়েছিল । বলা যায় আসছে মৌসুমের জন্যই আগেভাগে যেন জানিয়ে রাখার মতো। এখন সিদ্ধান্ত মদ্রিচ-মাদ্রিদ দু পক্ষেরই। সামনের মৌসুমটা মদ্রিচের জন্য আরও প্রতিযোগিতামূলক হবে বলাই যায়।
এর পেছনের কারণ ইতোমধ্যে সেখানে ভালভার্দে নিজের নাম জানান দিয়ে রেখেছেন। উপরন্তু দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লোনী মার্টিন ওডেগার্ডকেও ফেরানোর জোর সম্ভাবনা রয়েছে সঙ্গে গ্যালাকটিকদের রাডারে বেশ জোরালো ভাবেই আছে পল পগবা এবং ভ্যান ডি বিকের মতো নামগুলো । ওদিকে আরেক লোনী দানি সেবোয়োস ফেরত এসে ইস্কোর পাশাপাশি মাঝমাঠটা আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে বলাই যায়। আর তাই তো বয়সের ভারে ফর্ম হারানো মদ্রিচ নিশ্চয়ই ছাড়তে চাইবেন মাদ্রিদ।
হামেস রদ্রিগেজ: বায়ার্ন মিউনিখে লোনে যাওয়ার পর তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে অনেকেই ধরে নিয়েছিল সেখানেই হয়তো গাটছাট বেঁধে থেকে যাবেন কলম্বিয়ান এই তারকা মিডফিল্ডার। কিন্তু সহজ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বায়ার্ন প্রেসিডেন্ট, কোচ কেউই তেমন আগ্রহ দেখাননি এই কলম্বিয়ানকে ধরে রাখার। বার্নাব্যুতে নতুন করে হামেস ফিরলেও তার ভাগ্যটা আর ফেরেনি। জিদান যতটুকু সময় দিয়েছে তার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে না পারা এবং ক্রমাগত ইঞ্জুরি। ব্যস! গুজব অনুসারে আর্সেনাল বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই হামেসকে দলে টানার জন্য প্রস্তুত আছে।
গ্যারেথ বেল: ২০১৩ সালে টটেনহ্যাম হটস্পার্স থেকে ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লিখিয়েছিলেন গ্যারেথ বেল। তবে ২০১৬/২০১৭ মৌসুমের পর দিন যত গড়িয়েছে ততই যেন সান্তিয়াগো বার্নাব্যু নাখোশ হয়েছে হান্ড্রেড মিলিয়ন ম্যান গ্যারেথ বেলের ওপর। শেষ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঘরের মাঠে গোল করতে পারেননি এই লস ব্ল্যাঙ্কোস তারকা আর সেই সঙ্গে ইঞ্জুরির কারণে এক প্রকার রিয়ালের গলার কাঁটাতেই পরিণত হয়েছেন ওয়েলেশ উইজার্ড।
চলতি মৌসুমের শুরুতে এক প্রকার ক্লাব ছেড়েই দিয়েছিলেন তিনি। তবে মার্কো অ্যাসেনসিওর ইনজুরিতে মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর ক্লাব ছাড়েননি তিনি। তবে তাকে দলের অপরিহার্য অংশ বলে মনে করছেন না বর্তমান কোচ জিনেদিন জিদান। তাই তো তাকে আসন্ন মৌসুমে তাকে বিক্রির কথায় ভাবছে রিয়ালের ম্যানেজমেন্ট।
দানি সেবায়োস: রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদানের অনাগ্রহের তালিকার একজন প্রতিভাবান স্প্যানিয়ার্ড মিডফিল্ডার দানি সেবায়োস। যদিও এখনই রিয়ালে তার ক্যারিয়ারের শেষ বলা যায় না। তবে গুঞ্জনে যখন ওডেগার্ড, পগবা কিংবা বিকের মতো দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা এক একজন মিডফিল্ডার সেখানে নিজের জায়গা করে নেওয়াটা এক প্রকার অসম্ভবই। আর উদ্ভুত এমন পরিস্থিতিতে গেম টাইমের জন্য নিজের ইচ্ছাতেই ক্লাব ছাড়ার সম্ভবনা এই তরুণ স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের।
আলভারো অদ্রিওজোলা: প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেই নাম লিখিয়েছিলেন মাদ্রিদে। নইলে কি আর মাদ্রিদ এমনি এমনিই তার পিছনে ৩০ মিলিয়ন ঢেলেছে? তবে তার সামনেও ঘোর অমানিশা। দলে এখন পর্যন্ত চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী ড্যানিয়েল কার্ভাহাল অনড়। উপরন্তু মৌসুম শেষেই বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে দুই মৌসুমের লোন শেষ করে দলে ফিরবেন আশরাফ হাকিমি । যিনি কিনা বিশ্ব ফুটবলের এখন এক ব্যস্ততম, চর্চাশীল নাম । এখন বায়ার্ন থেকে লোন ফেরত অদ্রিওজোলাকে কি রাখবে মাদ্রিদ? নাকি মাদ্রিদের ইচ্ছে থাকলেও নিজের ঘর অন্য কোথাও খুঁজে নিবে এই তরুণ স্প্যানিয়ার্ড?
মার্সেলো: রোনালদো-জিদান পরবর্তী মুহুর্তে রামোস, ক্রুস,ক্যাসেমিরো, মদ্রিচ সবাই বাজে সময় কাটালেও তা অন একটা কাটিয়ে উঠেছেন সকলে। তবে এখনও কেবল ফেরা হচ্ছেনা মার্সেলোর। তার জায়গাটার দখলে নিয়ে নিয়েছেন অলিম্পিক লিও থেকে মাদ্রিদে নাম লেখানো ফারল্যান্ড মেন্ডি। আবার সেই সঙ্গে বয়সটাও মার্সেলোর কম হয়নি। মনে রাখা ভালো, সেভিয়ায় লোনে থাকা দুর্দান্ত ফর্ম থাকা সার্জিও রেগুইলনও ফেরত আসতে পারে পরের মৌসুমেই। স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা জানাচ্ছে জুভেন্টাস নাকি আবারও তাদের মনযোগ ঘুরিয়েছে মার্সেলোর দিকে । গুঞ্জন অনুযায়ী করোনা ব্রেক শেষ হওয়ার আগেই জুভে মার্সেলোর সাথে তাদের চার বছরের দেওয়া কন্ট্র্যাক্ট অফার নিয়ে দেখা করবে ।
মার্সেলো রিয়ালের অর্জনগুলোর অন্যতম বড় একজন কারিগর । অল হোয়াইটসদের ইতিহাসের অন্যতম সেরাও বটে। তবে সবাইকেই একটা সময় থামতে হয় বা থেমে যেতে হয় । দিনকে দিন ম্রিয়মান হতে থাকা মার্সেলো, মেন্ডি কিংবা রেগুলনদের মতো তরুণদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছেন বারবারই। তাই তো স্প্যানিশ ফুটবল বিশ্লেষকরা মার্সেলোর শেষ দেখে নিচ্ছেন এই মৌসুমেই।
আলফান্সো আরিওলা: কেইলর নাভাসের সঙ্গে সোয়াপ ডিলে মাদ্রিদে এসেছেন চলতি মৌসুমেই। তবে নাভাস যেখানে পার্মানেন্ট ট্রান্সফার হয়েছে, আরিওলা সেখানে মাত্র এক সিজনেরর জন্য ধারে খেলতে এসেছেন মাদ্রিদে। মৌসুম শেষেই পিএসজি তাকে ডেকে নিবে। সুতরাং বলাই যায় মৌসুম শেষ হতেই সে সোজা মাদ্রিদ থেকে প্যারিসের প্লেন ধরবে।
লুকা জোভিচ: মাদ্রিদে আসার আগের মৌসুমটা জার্মান বুন্দেস লিগার অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার ছিলেন। মৌসুম জুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স স্বরূপ পুরুষ্কার গায়ে চড়িয়েছেন মাদ্রিদের সাদা জার্সিটি। তবে নিজেকে সেভাবে প্রমাণই করতে পারছেন না এই সার্বিয়ান স্ট্রাইকার। যদিও পর্যাপ্ত সময়ই তাকে দেওয়া হয়নি নিজেকে প্রমাণ করার জন্য। কিন্তু সেই সঙ্গে মাঠের বাইরেও জোভিচের আচারণে ক্ষিপ্ত মাদ্রিদ ম্যানেজমেন্ট । সার্বিয়ায় সম্প্রতি হোম কোয়ারেনটাইন ভাঙ্গার পর মার্কা মাদ্রিদে জোভিচের পাঁচটি ব্ল্যাক মার্ক উল্লেখ করেছিল। যার মধ্যে একটি, দলে এখন পর্যন্ত কারো সঙেই মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে সখ্যতা গড়তে পারেনি এই সার্বিয়ান। তাই তো স্প্যানিশ পত্রিকাগুলো এখনই তার মাদ্রিদ ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছে। গুঞ্জন উঠেছে নাপোলিতে যেতে পারেন ধারে খেলতেও।
মারিয়ানো দিয়াজ: দুর্দান্ত পারফর্ম করেই লিও থেকে আবারও মাদ্রিদে ফিরেছিলেন এই লা ফ্যাব্রিকা একাডেমি গ্র্যাজুয়েট। মৌসুমের শুরুতেই তাকে বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভেবেছিল মাদ্রিদ তবে তার এজেন্ট জানাচ্ছে মারিয়ানো শুরু থেকেই রিয়ালে নিজের জায়গার জন্য লড়াই করতে চেয়েছে। তবে পরের মৌসুমে রিয়ালের স্কোয়াডে যোগ হবে আরও এক তরুণ স্প্যানিশ স্টড়াইকার বোর্হা মায়োরাল। এমন পরিস্থিতিতে রিয়াল মাদ্রিদ চাইছে ক্লাব ছাড়ুক মারিয়ানো। অন্যদিকে মারিয়ানো নিজের জায়গার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর।
মোট ৯ জন ফুটবলারের রিয়াল ছাড়ার গুঞ্জন বেশ চাড়াও হয়ে উঠেছে সেখানে খালি হওয়া জায়গাগুলো পূরন করতে নতুন খেলোয়াড়দের ভেড়ানোর গুঞ্জনও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। নিজেদের লোনে থাকা ফুটবলারদের বাদ রেখেই ৭ জন ফুটবলারের সঙ্গে ছড়িয়েছে রিয়ালের গুঞ্জন। আয়াক্স থেকে মিডফিল্ডে ভ্যান ডি বিক, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে পল পগবা, ডর্টমুন্ড থেকে স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড, ইন্টারের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লটারো মার্টিনেজ, লিভারপুলের ফরোয়ার্ড সাদিও মানে, বায়ার্ন মিউনিখের ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা এবং সুপার স্টার কিলিয়ান এমবাপে।
ভ্যান ডি বিক: চলতি মৌসুমের দলবদলের মৌসুমেও আয়াক্সের মিডফিল্ডার ভ্যান ডি বিকের নাম জড়িয়ে গুঞ্জন উঠেছিল মাদ্রিদে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে আয়াক্সের সঙ্গে এই মিডফিল্ডারকে নিয়ে মৌখিক চুক্তিও হয়ে আছে ফ্লোরিন্তিনো পেরেজবাহিনীর। মদ্রিচ ক্লাব ছাড়লে আর জিদান পগবাকে না পেলে ভ্যান ডি বিকের আসার প্রবল সম্ভাবনা থাকছে ।
পল পগবা: জিনেদিন জিদানের ২০১৮ সালে রিয়ালের দায়িতে ছাড়ার আগেই ক্লাবকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তার দলে বিশ্বকাপজয়ী পল পগবাকে ভাড়ানো চাইই চাই। এ যেন জিজুর দীর্ঘ দিনের খায়েশ! তবে আকাশ সমান দাম চেয়ে বারবারই জিদানকে আশাহত করে আসছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে জিদানও হাল ছাড়ছেন না। আসন্ন দলবদলের মৌসুমে তার পছন্দের তালিকায় পল পগবার আসার সম্ভবনাও রয়েছে বেশ।
আর্লিং হলান্ড: গেল কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইতালিয়ান এবং স্প্যানিশ মিডিয়াগুলো উঠে পড়ে লেগেছে এই দুইয়ের মাঝে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রিয়াল ছাড়ার পর গোলের দায়িত্ব এসে পড়েছে সব করিম বেঞ্জেমার ওপর। যার সিকি ভাগও পূরণ করতে পারছেন না এই ফ্রেঞ্চ তারকা। তাই তো আরও এক গোলদারা খুজছে গ্যালাকটিকোরা। তবে মাদ্রিদ তার প্রতি এখনো হাত বাড়িয়ে দেয়নি। যা নিশ্চিত করেছে হলান্ডের এজেন্ট মিনো রাইওলা। তবে তিনি বলেছেন এবার মাদ্রিদে একটা বিগ ফিশ পাঠাতে জোর চেষ্টা করবেন। সেটা হতে পারে পগবা, হতে পারে নরওয়েজিয়ান হলান্ডও ।
লটারো মার্টিনেজ: ইংলিশ আর ইতালিয়ান স্পোর্টস গসিপে এসেছে এই আর্জেন্টাইনের ফরোয়ার্ডের নাম । তবে তার নেই তেমন কোনো ভিত্তি। তার দিকে কড়া নজর রাখছে বার্সেলোনাও।
সাদিও মানে: স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা বলছে সাদিও মানে জিদান ঠিক যেমন খেলোয়াড় চায় সাদিও ঠিক সেই ঘরানারই । পরিশ্রমী, নিবেদিত এই উইঙ্গারের গুঞ্জন ছেপেছে খোদ মার্কা। সাবেক ফরাসী ফুটবলার এবং সাদিও মানের সতীর্থ সিসোকো ক’দিন আগে বলেছে- আমার মনে হচ্ছে সাদিও মাদ্রিদে যোগ দিতে যাচ্ছে ।
ডেভিড আলাবা: বায়ার্নের দীর্ঘদিনের এই সঙ্গীকে নিয়েও এসেছে রিউমার । মাদ্রিদ-বার্সা দুদলই লড়াইতে নেমেছে এই ভার্সেটাইল ফুটবলারকে দলে ভেড়াতে। আলাবা দীর্ঘদিন লেফট ব্যাকে খেললেও এখন বায়ার্নে খেলছেন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে । আবার চাইলে খেলতে পারেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবেও।
কিলিয়ান এমবাপে: এই মুহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তারকাদের মধ্যে অন্যতম কিলিয়ান এমবাপে। জিদান, মাদ্রিদ এবং এমবাপে তিন পক্ষই অতীতে তাদের আগ্রহ জানিয়ে এসেছে একাধিকবার । তবে আসছে মৌসুমে একরকম অসম্ভবই তার বার্নাব্যুতে পা রাখার। এর কারণ, পিএসজি প্রেসিডেন্ট, স্পোর্টিং ডিরেক্টর, কোচ সকলেই এমবাপেকে এই মুহুর্তে ছাড়তে একদমই অপারগ । এই মুহুর্তে তারা নেইমারের চেয়ে তাকেই দলে বেশি প্রয়োজনীয় মনে করছে। ওদিকে গেল দলবদলের মৌসুমে বার্সাকে বারবার ফিরিয়ে দেওয়া পিএসজি এবার নেইমারের দাম কমিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথায় ভাবছে। তবে রিয়াল সমর্থকদের আশারবাণী হতে পারে এমবাপের পিএসজির নতুন চূক্তি ফিরিয়ে দেওয়া। বার বার তাকে নতুন চুক্তির জন্য আহ্বান করা হলেও বারবারই নাকোচ করে আসছেন এই তারকা।
আলোচিত তথ্য সম্পূর্ণই সংগৃহীত বিভিন্ন সময়ের ইতালিয়ান, ইংলিশ, স্প্যানিশ দৈনিক আর ম্যাগাজিন হতে। এর মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ ভিত্তিক খেলাধূলা ভিত্তিক দৈনিক স্প্যানিশ মার্কা, এবং মুন্দো দেপোর্তিভো উল্লেখ্য।
আর্লিং হলান্ড কিলিয়ান এমবাপে গুঞ্জন ট্রান্সফার রিউমার পল পগবা রিয়াল মাদ্রিদ