বড় বাঁচা বেঁচে গেছেন লিটন দাসের স্ত্রী
৩০ মার্চ ২০২০ ১৩:৩৩
আরেকটু হলেই নব বিবাহিতা সঞ্চিতার প্রাণটাই যাচ্ছিল! গত পরশু রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে আঁতকা ফুলে ফেঁপে উঠে আগুন। পুড়ে যায় তার ডান হাতের কবজি থেকে কনুইয়ের কিছু ওপর পর্যন্ত। বাদ যায়নি ডান পায়ের পাতা, বাঁ হাতের দুই আঙুল ও বাঁ পায়ের চার আঙুল ও মাথার চুলও। তবে স্বস্তির খবর হলো তার বাঁ হাত ও বাঁ পায়ের অবস্থা এখন আগের থেকে অনেক ভালো। এবং চিকিৎসক জানিয়েছেন তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।
সোমবার (৩০ মার্চ) সারাবাংলারকে নিজেই খবরটি দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের দাপুটে এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। তিনি এও নিশ্চিত করেছেন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ ঘঠনা ঘটেনি। রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ করেই আগুন বেড়ে যায় এবং সঞ্চিতার শরীরের কিছু কিছু জায়গা পুড়ে যায়।
লিটনের মুখেই শুনুন, ‘গ্যাস সিলিন্ডির বিস্ফোরণ হয়নি। ও রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ আগুন বেড়ে গিয়ে ডান হাতের কবজি থেকে কনুইয়ের কিছু ওপর পর্যন্ত ভালোই পুড়েছে। ডান পায়ের পাতা, বাঁ হাতের দুই আঙুল ও বাঁ পায়ের চার আঙুল ও মাথার চুলও কিছু পুড়েছে। তবে বাঁ হাত হাত ও বাঁ পায়ের অবস্থা এখন আগের থেকে অনেক ভাল কিন্তু ডান হাতে চামড়া আগে লাল হয়েছিল এখন আসতে আসতে কালোর দিকে যাচ্ছে।’
সঞ্চিতা শঙ্কামুক্ত উল্লেখ করে লিটন দাস জানান, ‘ও শঙ্কামুক্ত। এখন আর তেমন কোনো সমস্যা নেই।’
শারীরিক সমস্যা তার প্রকট না হলেও সমস্যা হয়েছে অন্য জায়গায়। করোনাভাইরাসের কারণে স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে নিতে পারেননি। ফোনে নিয়েছেন চিকিৎসার পরামর্শ। ‘যেহেতু করোনাভাইরাসের কারণে হাসপাতালগুলো বন্ধ তাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারিনি। ফোনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করছে। অনেক বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেছি।’
আইসিসি বিশ্বকাপ শেষে গেল বছরের জুলাইয়ে দেবশ্রী বিশ্বাস সঞ্চিতার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন লিটন।