‘স্পোর্টসে সারভাইভ করতে মেয়েদের তিনটা জিনিস দরকার’
৭ এপ্রিল ২০২০ ০০:৩৪
ঢাকা: মরণব্যাধী করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বই স্থবির হয়ে আছে। বাংলাদেশেও এর ছোবলের দরুণ প্রিমিয়ার লিগ থেকে শুরু করে সকল ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বন্ধ। এমন থমথমে অবস্থায় দেশের ক্রীড়াবিদদের ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সারাবাংলাডটনেটের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার আয়োজনে আজকে থাকছেন জাতীয় নারী ফুটবলের দলের সাবেক ফুটবলার ও ফিফার স্বীকৃত রেফারি জয়া চাকমা।
জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার এখন বাংলাদেশের প্রথম ফিফা স্বীকৃত রেফারি। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ম্যাচ কাভার করার পাশাপাশি একজন কোচও তিনি। দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে কোচিং পেশায় আছেন রাঙামাটির সন্তান। কোচিংয়ে নামও কুড়িয়েছেন ইতোমধ্যে। ভারতে সুব্রত কাপে তার কোচিংয়ে টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিকেএসপি। তার ক্যারিয়ার ভাবনা, দেশের ফুটবল, ফুটবলে মেয়েদের ভূত-ভবিষ্যতসহ নানান প্রসঙ্গই উঠে এসেছে জয়া চাকমার সাক্ষাৎকারে।
সারাবাংলা: কীভাবে কাটাচ্ছেন এ সময়টা?
জয়া চাকমা: বিকেএসপিতেই আছি। বিকেল বেলা মাঠে যাই। একদিন পর পর কন্ডিশনিং ট্রেনিং করছি। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোও বন্ধ। করোনাক্রান্তি শেষে টুর্নামেন্ট শুরু হলে আবার ফিটনেস টেস্ট দিতে হবে। তাই ফিট থাকার চেষ্টা করছি।
সারাবাংলা: কীভাবে ওয়ার্কআউটগুলো করছেন?
জয়া: সপ্তাহে তিনদিন এন্ডুরেন্স করি আর দুইদিন আমার ট্রেনিং করি। এখন ব্যাসিক কাজগুলো করছি। ব্যাসিক এন্ডুরেন্স যেটা করছি ৬ থেকে সাড়ে ছয় হাজার মিটার দৌড়াতে হচ্ছে। যেদিন এন্ডুরেন্স হাই সেদিন ছয় হাজার মিটার দৌড়াই। এর মধ্যে এন্ডুরেন্স হিসেব করি। ৩৭-৩৮ মিনিটের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করি। যেদিন ইন্টেন্সিটি কম থাকে বা রিকভারি করতে হয় সেদিন ৪৫ বা ৫০ মিনিট সময় নিয়ে ছয় হাজার মিটার দৌড়াই।
সারাবাংলা: জাতীয় দল থেকে অবসরে যাওয়ার পর রেফারিংয়ে কীভাবে আসলেন?
জয়া: রেফারিং করবো ভাবিনি। ২০১২ সালে যখন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ি তখন একটু মন খারাপ ছিল। ভেবেছিলাম ফুটবলই ছেড়ে দিবো। তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম। ২০০৯-১০ সেশনের ছিলাম, থার্ড ইয়ারে পড়তাম। ভাবছিলাম যে এবার একটু পড়াশুনা করি। চাকরির জন্য পড়বো। কিন্তু মন দিতে পারছিলাম না। সারাজীবন দৌড়ে বেড়িয়েছি। তারপর থেকেই চিন্তা আসে রেফারিং করবো। ওই মুহূর্তেই শ্রীলঙ্কায় পাঠালো। ২০১০ সালে রেফারিংয়ের উপর একটা কোর্স করা ছিল। লঙ্কা ট্যুরেই মূলত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করি যে রেফারি হবো। শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার পর ফিফা রেফারিদের বিশেষ সম্মান দিচ্ছিল সবাই। বাংলাদেশের থেকে কোনো মেয়ের ফিফা রেফারি হওয়ার রেকর্ড নেই। তখন ভাবলাম যদি রেফারি হই তাহলে ফিফার রেফারি হবো। ফুটবলেই থাকবো।
সারাবাংলা: ফিফা রেফারি হতে কী কী করতে হয়েছে আপনাকে?
জয়া: ২০১৭ সালে ফিফা রেফারি হওয়ার জন্য পরীক্ষা দেই। টিকি নাই। ২০১৮ সালেও টিকি নাই। দুই দুইবার অনুত্তীর্ণ হওয়ার পর তৃতীয়বারে পাস করি। বাংলাদেশে প্রটোকল হলো রেফারিং শুরু হয় ক্লাস থ্রি (ক্যাটাগরি) থেকে। ন্যাশনাল হওয়া পর্যন্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। ফিফার ব্যাচ ছাড়া তখন বাইরে টুর্নামেন্টগুলোতে রেফারিং করতাম। তখন ফেডারেশন চিন্তা করলো জয়া জাতীয় দলে খেলেছে, রেফারিংয়ের কোর্সগুলো কমপ্লিটও করেছে। সুযোগ চলে আসে। ন্যাশনাল থেকে সরাসরি ফিফার পরীক্ষা দিয়েছিলাম। ফিফার পরীক্ষাটা অনেক কঠিন। কঠোর পরিশ্রম করেই পাস করতে হয়েছে।
সারাবাংলা: প্রথমবার কোন টুর্নামেন্টে রেফারিংয়ের আপনার অভিজ্ঞতা…
জয়া: ২০১২ সালে বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রথমবার ম্যাচে রেফারিং করেছি। আমি জানতাম নিয়মগুলো কি। তখন ফুটবল ফেডারেশনের রেফারিংয়ের কোর্স করা ছিল। কঠিন মনে হয়নি তেমন। নিজেও খেলোয়াড় ছিলাম। সেটা কাজে লেগেছে। ওই ম্যাচগুলোতে ম্যাচ কমিশনাররাও আমাকে প্রশংসা করেছেন। সবমিলে এগুলো অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে আমাকে। এছাড়া বলে না ‘বাইরে গেলে কলিজাটা বড় হয়!’? তখন ২০১৫ সালে নেপাল ও বার্লিনে ফেডারেশন পাঠালো। সেগুলো আরো বেশি মোটিভেট করেছে। এরপর ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলো কাভার করছিলাম। ছেলেদের ম্যাচগুলোও কাভার করেছি। উৎসাহ পেতাম।
সারাবাংলা: রেফারি হিসেবে কী স্বপ্ন দেখেন?
জয়া: বাংলাদেশ থেকে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে মাহবুব স্যার নামে একজন গিয়েছিলেন রেফারিং করতে। ছেলেদের থেকে মেয়েদের যাওয়া তুলনামূলক সহজ। তবে উচ্চতা একটা ব্যাপার। যে কারণে হয়তো বিশ্বকাপের ম্যাচে রেফারিং করা নাও হতে পারে আমার। তবে ফুটবল একটা এত সুন্দর খেলা যে বিশ্বকাপের মঞ্চে না যেতে পারলে কষ্ট পাবো। মনে মনে দৃঢ় মনোবল আছে কোনো না কোনোভাবে বিশ্বকাপের মঞ্চে যাবো। হয় ম্যাচ কমিশনার হিসেবে বা রেফারি অ্যাসেসিয়েট হিসেবে না হয় আমার বিকেএসপিতে যে শিক্ষার্থীরা আছে তাদের মাধ্যমেও হলে স্বপ্নপূরণ করতে চাই।
সারাবাংলা: রেফারি আর কোচিং দুটা এক সঙ্গে নেওয়ার পেছনে কোনো কারণ আছে?
জয়া: দুটা আলাদা মনে হলেও দুটাই আসলে ফুটবল নলেজ। আমি যখন বাইরে ম্যাচ কাভার করতে যাই তখন ম্যাচগুলো পর্যবেক্ষণ করি। প্রত্যেকটা দলের স্ট্র্যাটেজি বা প্রত্যেকটা দল কিভাবে খেলে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ হয় মাঠে থেকে। এগুলা কাজে লাগে রেফারিং আর কোচিংয়ে। সময়ের উপরে ছেড়ে দিতে হবে অনেক কিছু। মেয়েরা এখন এক দশক থেকে খেলছে। যারা রিটায়ার্ড হবে তারাই কেউ রেফারি হবে কেউ কোচ হবে কেউ সংগঠক বা কেউ বিশেষজ্ঞ হবে। তাদের সময় দিতে হবে। একদিনেই বিশেষজ্ঞ হবে না। এভাবেই দেশের ফুটবলে নারীরা এগিয়ে যাবে। ফুটবলটাও এগিয়ে যাবে।
সারাবাংলা: কোচ হওয়ার আত্মবিশ্বাসটা পেলেন কীভাবে?
জয়া: বিকেএসপির কোচ হওয়ার পর দিল্লীতে সুব্রত কাপে অংশ নিয়েছিলাম। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। তখনও বিশ্বাস হয়নি। দ্বিতীয়বার যখন যাই তখন চ্যালেঞ্জ ছিল। দ্বিতীয়বারও যখন হই তখন কোচিংয়ের উপর বিশ্বাস বাড়ে। এরপর সুব্রত কাপের ডায়মন্ড জুবিলিতেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে অনেক।
সারাবাংলা: কোচিংয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি করেন? ঘরোয়া ফুটবলে বা আন্তর্জাতিক পর্যায় নিয়ে কোনো স্বপ্ন আছে কিনা?
জয়া: এখনও ইচ্ছা আছে যতদিন পারি ততদিন দৌড়াবো। রেফারিং করবো। আর আপাতত ডেভেলপমেন্ট লেভেলে কাজ করতে চাই। বিকেএসপিতে গ্রাসরুটদের ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে হয়। এখনই পারফরম্যান্স লেভেলে কাজ করতে চাই না। আমি চাই না হঠাৎ করে সেখানে গিয়ে ঝরে যাই। আমি চাই আমার ভিতটা শক্ত হোক। আমি যেখানে যাবো যেন শক্ত ভিত নিয়েই যাই। সেজন্য বিকেএসপি এখন বেস্ট জায়গা আমার জন্য। এই জায়গাটাতে যদি আমি ১০ বছর কাজ করি তাহলেও মনে হবে বিকেএসপিতে কম দেওয়া হবে। অনেক কিছু শিখছি এখানে।
সারাবাংলা: কোচিং লাইসেন্সের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কীভাবে?
জয়া: এএফসির বি লাইসেন্স করা আছে এখন। ভাবছি এএফসির এ লাইসেন্সটা বাইরে থেকে করবো।
সারাবাংলা: কোচিংয়ে কোনো কোচকে অনুসরণ করেন কিনা?
জয়া: মারুফুল হক স্যারের সঙ্গে সেভাবে কাজ করা হয়নি। তবে ওনাকে আমি অনেক শ্রদ্ধা করি। জানি অনেক ভালো কোচ উনি। আর টিটু স্যারের (সাইফুল বারী টিটু) সঙ্গে ওয়ার্কশপ করার সুযোগ হয়েছে। ওনার দর্শন-ট্যাকটিক্স আমার খুব ভালো লাগে। টিটু স্যারের মতো কোচ হতে চাই। তবে যাকে দেখে সেরকম কোচ হওয়ার ইচ্ছা তিনি হলেন ছোটন স্যার (গোলাম রব্বানী ছোটন)। তিনি দেশের মেয়েদের ফুুটবল উত্থান-পতনের সময়টাতে ছিলেন। তিনি যেভাবে ফুটবলারদের সর্বোচ্চটুকু বের করে আনতেন সেটা খুব ভালো লাগতো। লাগে।
সারাবাংলা: কোচিং, রেফারিং আর ফুটবলে মেয়েদের আগ্রহ এখন কেমন দেখছেন?
জয়া: ফুটবলে মেয়েদের আগ্রহ বাড়ছে। বাংলাদেশের একটা সময় খেলতে পারতাম না। সেটাও বেশিদিন আগের কথা নয়। এখন বাবা-মায়েরা মেয়েদের ফুটবল খেলতে উৎসাহ দিচ্ছে এটা খুবই ইতিবাচক। এজন্য দেশের সরকারকে ধন্যবাদ দিতে হয়। এবং মিডিয়াকেও দিতে হবে। যদি তারা দুইয়ে মিলে সহায়তা না করতো এ দশ বছরে যে অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশ সেটা ২০ বছরেও সম্ভব হতো না। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সিনিয়র নারী দল একটা ফাইটিং টিম হবে। সাফে তো আমরা জিতবোই আমরা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের জন্যও ফাইট দিতে পারবো। যদি এ ধারাবাহিকতা থাকে। যেমন হঠাৎ করেই অপ্রত্যাশিতভাবে করোনা চলে আসলো। যার কারণে সাত বছর পর শুরু হওয়া মেয়েদের লিগটা বন্ধ হলো। যদি ধারাবাহিক থাকতে পারি তাহলে ছেলেদের থেকে মেয়েদের ফুটবল অনেক অর্জন দেখাতে পারবো। কোচিংয়ে মেয়েদের অংশগ্রহণ কিছু আছে। আবার রেফারিংয়ে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে প্রচুর মেয়েরা। অন্তত ৩ থেকে চারশ’ মেয়ে রেফারিংয়ের কোর্সে অংশ নিয়েছে। নন ফুটবল থেকেও আগ্রহ বাড়ছে। এখান থেকে যদি ৩০টা রেফারিও বের হয় তাহলে নারী ফুটবলে অনেক পরিবর্তন আসবে। ডেভলপমেন্ট মানে শুধু খেলোয়াড় তৈরি না। এটা একটা প্রসেস। একজন শিক্ষিত কোচ লাগবে। রেফারি লাগবে। সংগঠক হবে। সঙ্গে খেলোয়াড় তৈরি হবে। সবমিলিয়ে মেয়েদের ফুটবলটাই এগিয়ে যাবে।
সারাবাংলা: ফুটবলে মেয়েদের অবস্থান আরো দৃঢ় করতে কী কী প্রয়োজন হয় বলে মনে হয়?
জয়া: একটা মেয়ের স্পোর্টসে সারভাইভ করার জন্য মেয়েদের তিনটা জিনিস করা দরকার। একটা হলো ডেডিকেশন যা হলো এটা আমাকে করতে হবে এবং করতেই হবে এই মানসিকতা রাখা। দ্বিতীয়ত, মেন্টাল স্ট্রেন্থ লাগবে। সেটা হলো কে কি বলছে সে ছেলে হোক বা মেয়ে ‘আই ডোন্ট কেয়ার’ এ মানসিকতা রাখা। আর তৃতীয়ত হলো ‘শিক্ষা’। শিক্ষাটাই নিজেদের আলোকিত করলেই তার নিজের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবে। সুতরাং শিক্ষাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটা যেভাবেই হোক। পরিবার থেকে হতে পারে। শিক্ষক থেকে হতে পারে। সেই পরিবেশটা তৈরি করাটাও দরকার। স্বশিক্ষিত হওয়াটা খুব বেশি প্রয়োজন। নিজেকে উপলব্ধী করাটা খুব প্রয়োজন।
সারাবাংলা: আপনার যদি কোনো বিশেষ ক্ষমতা থাকতো তাহলে কী করতেন মেয়েদের ফুটবল উন্নতি করতে?
জয়া: মেয়েদের মূল্যায়ন করা। উৎসাহ দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করা। বেশি কিছু করতে হয় না কিন্তু। মেয়েদের স্বীকৃতি দিন বা উৎসাহ দিন। সেই পরিবেশটা তৈরি করে দিন। আর কিছু লাগবে না। মেয়েরা নিজেরাই উন্নতি করবে।
সারাবাংলা: জীবনের সেরা অর্জন কী আপনার ক্যারিয়ারে?
জয়া: আমি অর্জনকে দুইভাবে দেখি। একটা বস্তুগত অর্জন আর আরেকটা মনস্তাত্ত্বিক অর্জন। বস্তুগত হলো জীবনে যে সব পুরস্কার পেয়েছি সেগুলো। আর মনস্তাত্ত্বিক হলো আমি বিকেএসপি যাদের শেখাই তাদের চোখে আমার স্বপ্নকে দেখতে পাওয়ার অনুভূতি। আপনার কথায় যখন দেখবেন সে নিজের জীবনকে অন্যভাবে দেখতে শিখে সেই অনুভূতিটা যখন আপনি আপনাদের শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে দেখবেন তখনই একটা যে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায় সেটাই সবচেয়ে বড় অর্জন আর হতে পারে না।
সারাবাংলা: অন্যের চোখে নিজের স্বপ্ন দেখার অনুভূতিটা কেমন?
জয়া: ওরাই কিন্তু আমার মোটিভেশন। ওদেরকে আমি তো বলিই। তোমরাও বড় হচ্ছো আমিও বড় হচ্ছি। যখন দেখি আমি বলছি ওরা সেভাবেই শুনছে আর কাজ করছে আমি কিন্তু আরো মোটিভেট হই।
সারাবাংলা: আপনার স্বপ্ন পূরণ হোক। ধন্যবাদ।
জয়া: আপনাকেও।
জয়া চাকমা দেশের প্রথম নারী রেফারি নারী রেফারি ফিফা বাফুফে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন রেফারি