ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ও হতে পারতেন মুশফিক
৩ মে ২০২০ ১৫:৩৬
দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা তো বটেই মুশফিকুর রহিমকে এশিয়ারই অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মনে করা হয়। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ওয়নডেতে তৃতীয়, টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ। কিন্তু একটু এদিক-ওদিক হলে ক্রিকেটার নাও হতে পারতে তিনি। একটা সময় ক্রিকেটের চেয়ে ব্যাডমিন্টন বেশি পছন্দ করতেন মি. ডিপেন্ডেবল। হতে চেয়েছিলেন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়।
বন্ধু তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভ আড্ডায় যুক্ত হয়ে এমন কথাই জানিয়েছেন মুশফিক। বিকেএসপিতে ব্যাডমিন্টনের সুযোগ সুবিধা খুব একটা ভালো ছিল না। ফলে ক্রিকেট ও ফুটবল বিভাগে পরীক্ষা দেন। টিকে যান দুই ক্যাটাগরিতেই। সেখান থেকে ক্রিকেট বেছে নেন মুশফিক।
অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বলেন, ‘আমার আসলে ক্রিকেটের চেয়েও বেশি প্রিয় ছিল ব্যাডমিন্টন। অনেক ভালো লাগত। কিন্তু তখন বিকেএসপিতে ব্যাডমিন্টন ছিল না। আমি ক্রিকেট-ফুটবল; দুটিতেই চান্স পেয়েছিলাম। পরে ক্রিকেটেই গেলাম। লারা আমার প্রিয় ছিল খুব, তার মতো ব্যাটিং করতে ইচ্ছে হতো। আমার ভাইরাও সব ক্রিকেট খেলত। সবমিলিয়ে ক্রিকেটেই গেলাম।’
ছোটখাটো গড়নের মুশফিক নাকি পেস বোলার হওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন, ‘বোলিং করতাম কারণ তখন চেষ্টা করতাম যতদিক থেকে অবদান রাখা যায়। কিপিং সেভাবে করতাম না। বিকেএসপির কোচরাও তখন আমাকে বলতেন, ‘এই উচ্চতা নিয়ে পেস বোলার হতে চাও, পাগল নাকি?’ পরে একটা ম্যাচে আমাদের মূল কিপার ছিল না ইনজুরির কারণে। আমি কিপিং করলাম, ভালোবেসে ফেললাম।’
তামিম ইকবাল জানান, মুশফিক বোলিং করতেন ইংল্যান্ডের দীর্ঘদেহী পেসার স্টিভ হার্মিসনের মতো করে। তামিম বলেন, ‘অনেকে এটা জানে না যে তুই (মুশফিক) পেস বোলিং করতি। তাও আবার তোর বোলিং স্টাইল ছিল স্টিভ হার্মিসনের মতো। ওর চেয়েও বড় রানআপ ছিল। আমার মনে আছে, খুব সম্ভবত অনূর্ধ্ব-১৫ এর এক প্র্যাকটিস ম্যাচে তুই পেস বোলিংও করেছিলি, বিকেএসপির ২ নম্বর মাঠে।’
ক্রিকেটার নয় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম