রাসেল ডি ভিলিয়ার্সে তাসকিনের অস্বস্তি
৪ মে ২০২০ ১২:১৩
সম্প্রতি কয়েক বছরে আন্দ্রে রাসেল কত বোলারের রাতের ঘুম কেড়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। ইনিংসের শেষভাগে ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটার বিশ্বের যে কোনো বোলারের জন্যই দুঃস্বপ্ন। ফর্মে থাকা রাসেলের ব্যাটিং দেখলে মনে হয় ছক্কা হাঁকানো বুঝি দুনিয়ার সবচেয়ে সহজ কাজ!
পরিসংখ্যানও রাসেলের পেশিশক্তির পক্ষে কথা বলছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩৫৬ রান করেছেন রাসেল, তার মধ্যে চার-ছয় থেকেই এসেছে ৩ হাজার ৯৭৪। চার মেরেছেন ৩৫৬টি, ছক্কা তার চেয়ে বেশি ৪৩৫টি। সময়ের ভয়ঙ্কর এই ব্যাটসম্যানের সামনে অস্বস্তিতে থাকেন তাসকিন আহমেদও।
করোনাভাইরাসে কারণে অর্থনৈতিকভাবে বিপদে পড়া মানুষদের সহায়তার লক্ষ্যে নিজের হ্যাটট্রিক করা বলটি নিলামে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন তাসকিন। সৌম্য সরকার নিলামে তোলেন দেশের পক্ষে দ্রুততম টেস্ট শতক করা ব্যাটটি। রোববার (৩ মে) রাতে নিলামে তোলা হয় দুজনের দুই স্মরণীয় ক্রিকেটীয় স্মারক। অনলাইনে নিলাম আয়োজনে লাইভ আলোচনায় যোগ দেন তাসকিন-সৌম্যও। বিভিন্ন বিষয়ে আলাপচারিতায় উঠে এসেছে তাসকিনের অস্বস্তির কথা। রাসেলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের কথাও উল্লেখ করেছেন তাসকিন।
তারা কেন ভয়ঙ্কর? তাসকিনের ব্যাখ্যা, ‘সব মিলিয়ে চিন্তা করলে বলব আন্দ্রে রাসেল। যখন ও ব্যাটিং করে, আসলে ও এতো জোরে চালায় যে একটু উনিশ বিশ হলে বা এজ হলেও চার-ছয় হয়ে যায়। ফলে তাকে বোলিং করতে একটু অস্বাচ্ছন্দ লাগে। তবে ওর উইকেটও পেয়েছি আমি অনেক। তারপরও রাসেল, ডি ভিলিয়ার্সের মতো ক্রিকেটার যখন সেট থাকে তখন মনে হয় যে উনিশ বিশ হলেই চার ছয় হওয়ার সুযোগ থাকে।’
আর স্বাচ্ছন্দ লাগে কাকে বোলিং করতে? তাসকিন বললেন, উইকেট ভালো থাকলে যে কাউকে বোলিং করতেই স্বাচ্ছন্দ লাগে, ‘স্বাচ্ছন্দবোধ বলতে, এখন আসলে উইকেটগুলো বোলারদের অনুকূলে কম থাকে। ফলে বাজে বোলিং করা যায় না, নিচের সারির ব্যাটসম্যানরাও বাউন্ডারি মেরে দেয় বাজে বলে। ফলে পিচটা বোলিং ফেভার হলে স্বাচ্ছন্দবোধ করি। মন খুলে বোলিং করা যায় আর কি।’
ঠিক একই প্রশ্ন ছিল সৌম্য সরকারের কাছেও। কার বিপক্ষে ব্যাটিং করতে স্বাচ্ছন্দ লাগে আর কাকে ভয় লাগে। তরুণ বাঁ-হাতি টপ অর্ডারের জবাব, ‘আমি আসলে ওভাবে কাউকে চিন্তা করি না। কারণ ম্যাচের সময় কে ভালো কে খারাপ এসব চিন্তা করলে আগে থেকেই ব্যাকফুটে চলে যাব। ফলে আমি সেভাবে চিন্তা না করে নিজেকে সাহস দেওয়ার চেষ্টা করি। কঠিন বোলার হলেও নিজেকে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করি যে আমার সমস্যা হবে না। সবাইকে নরমাল ভাবে খেলতে চেষ্টা করি। ফলে ভয় আসলে সবাইকেই, আবার ইজিও সবাই।’