তামিমের ক্যারিয়ারে টার্নিং পয়েন্ট জেমি সিডন্স
৯ মে ২০২০ ০১:৩৫
বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতিতে যে ক’জনের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে তার মধ্যে জেমি সিডন্স অন্যতম। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং লাইন আপটাই বদলে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ। ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা বরাবরই বলে থাকেন, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমদের আজকের অবস্থানে আসাতে জেমির বড় অবদান। তামিম ইকবাল অজি কোচকে ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্টই বলে দিলেন।
তামিমের আন্তর্জাতিক যাত্রাটা বেশ নজরকাড়াই ছিল। ক্যারিয়ার শুরুর সময়েই ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে কার্ডিফে ৫১ রানের সেই স্মরণীয় ইনিংস খেলেন। তবে ওই ইনিংসের পর সেভাবে সুবিধা করতে পারছিলেন না। কার্ডিফের ইনিংসের পর ১২ ওয়ানডেতে ফিফটি পাননি তামিম।
বলা হত বাঁ-হাতি ওপেনারের হাতে তখন সীমিত কিছু শট ছিল। যাতে প্রতিপক্ষের বোলাররা সহজেই বেঁধে ফেলতে পারতেন তাকে। সেখানে থেকে নিজেকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন যখন কিনা তাকে দেশের সেরা ব্যাটসম্যান মনে করেন অনেকে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ে প্রায় সব রেকর্ডই তামিমের দখলে। তারকা ক্রিকেটার বললেন, এই পরিবর্তনটা এসেছে সিডন্সের অধিনে।
করোনাভাইরাসের কারণে ক্রিকেটহীন সময়টাতে ফেসবুকে বিভিন্ন ক্রিকেটারের সঙ্গে লাইভ আড্ডার আয়োজন করে চলেছেন তামিম। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক শুক্রবার (০৮ মে) রাতে কথা বলেছেন জাতীয় দলের দুই পেস বোলার রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদের সঙ্গে। আড্ডার মাঝে রুবেলের প্রশ্ন ছিল তামিমের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট কোনটি।
জবাবে তামিম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার শুরুটাই আসলে দারুণ ছিল। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সেই ইনিংসটা। তবে ওই ম্যাচের পর আমি খুব একটা ভালো খেলছিলাম না। জাস্ট দলে টিকে থাকার মতো খেলছিলাম। আমি বলব আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট জেমি সিডেন্স। ওর অধিনে কাজ করা যখন শুরু করলাম, আমার যেগুলো সীমাবদ্ধতা ছিল সেগুলো কমে আসলো। আমার দুর্বলতা নিয়ে ভালো কাজ করতে পেরেছিলাম। সব মিলিয়ে আমি বলব জেমি সিডেন্সের সেই সময়টাই আমার কাছে টার্নিং পয়েন্ট।’