ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখা গেছে বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে। ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন সাকিব, আর বল হাতে ঘূর্ণি জাদুতে তুলে নিয়েছেন একের পর এক উইকেট। টুর্নামেন্ট জুড়ে দুই শতক আর পাঁচ অর্ধশতকে ৬শ ৬ রান এবং সেই সঙ্গে বল হাতে বা হাতের ঘূর্ণি জাদুতে ১১টি উইকেট। ঠিক যেন ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ শিখরে সাকিব, তখনই নেমে আসল দুর্যোগের ঘনঘটা। আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ দুই বছরের জন্য, যার মধ্যে এক বছরের স্থগিতাদেশ রয়েছে।
সাকিবের বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগ মেনে নেওয়ায় এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কমিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা। সে অনুযায়ী ২০২০ এর ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ সাকিব। তবে এরপরেই ব্যাট-বল হাতে নামতে পারবেন মাঠে। সম্প্রতি ডয়েচে ভেলে’তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ফেরার ব্যাপারে কথা বলেছেন সাকিব।
সাকিব জানান, ‘খেলায় ফিরতে চাই। কিভাবে এই সময়টা তাড়াতাড়ি যাবে সেটা নিয়েই চিন্তা করি। যেখান থেকে খেলাটা বন্ধ হয়েছে সেখান থেকে আবার যেন শুরু করতে পারি এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং নিজের ওপর নিজের প্রত্যাশা। যেখান থেকেই শেষ করেছি, সেখান থেকেই যেন শুরু করতে পারি। আমার কাছে চ্যালেঞ্জ ওই একটাই আর কোনো চ্যালেঞ্জ নাই। যেখানে থেমেছিলাম সেখানেই যেন শুরু করতে পারি।’
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর বিশ্রাম নিয়েছিলেন সাকিব, তাই তো শ্রীলংকা সফরও করেননি। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টির ত্রিদেশীয় সিরিজেও দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব। এরপর নেমে আসে নিষেধাজ্ঞা। তখন থেকেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দূরে রয়েছেন সাকিব।
অবশেষে নিজের ফেরার কথা জানান দিলেন টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সাকিব দু’টি শতকের সঙ্গে ৫টি অর্ধশতকও হাঁকিয়েছিলেন। বিশ্বকাপে সাকিব খেলেছিলেন ৮টি ম্যাচ আর যার মধ্যে ৭টিই অর্ধশতক পেরুনো ইনিংস। ৮৬ দশমিক ৫৭ গড়ে সাকিবের মোট রান ছিল ৬০৬। যেখানে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস ছিল অপরাজিত ১২৪।