Saturday 28 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জীবনের সেরা টেস্টের গল্প শোনালেন তামিম


১৪ মে ২০২০ ০২:৪৪ | আপডেট: ১৪ মে ২০২০ ০২:৪৫
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্পোর্টস ডেস্ক
টেস্টে তামিম ইকবালের অভিষেক ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে। ড্যানেডিনে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তারপর দেশের হয়ে ৬০ টেস্ট খেলা তামিম ব্যাটিংয়ের প্রায় সব রেকর্ডই নিজের নামে লিখে নিয়েছেন। দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি, সর্বোচ্চ হাফসেঞ্চরি, চার, ছয় সবখানেই তামিম সবার উপরে। গত ফেব্রুয়ারির আগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও ছিলেন। এই মুহূর্তে শীর্ষে থাকা মুশফিকুর রহিমের চেয়ে ৮ রান পিছিয়ে তামিম। এতো অর্জনের মাঝে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই খুলনা টেস্টটা আলাদাভাবে দাগ কেটেছে তামিমের মনে।

টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ (২০৬) স্কোর গড়েছিলেন ওই টেস্টেই। তবে সেই কারণে নয়, তামিম খুলনা টেস্ট মনে রেখেছেন অন্য কারণে। টেস্টের প্রথম তিনদিন বাংলাদেশকে সেভাবে পাত্তাই দেয়নি পাকিস্তান। স্বাগতিকদের ৩৩২ রানে গুটিয়ে দিয়ে রানের পাহাড় গড়ে ফেলে পাকিস্তান। মোহাম্মদ হাফিজের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৬২৮ রান তোলে সফরকারীরা। অর্থাৎ ২৯৬ রানের বিশাল লিড। এর মধ্যে ঘটে যায় বড় এক ঘটনা।

বিজ্ঞাপন

ইনজুরিতে পড়েন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। ফলে কিপিং গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়াতে হয় ওপেনার ইমরুল কায়েসকে। লম্বা সময় কিপিং শেষেই নামতে হয় ব্যাটিংয়ে। তারপর সেদিন ওপেনিংয়ে বীরত্বগাথা এক জুটি গড়ে সবাইকে বিষ্মিত করেছিলেন তামিম-ইমরুল।

ওপেনিংয়ে ৩১২ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানের জয় ঠেকিয়েছিলেন দুজন। দুজনের অবিস্মরণীয় জুটির দিনটা ছিল ১ মে, শ্রমিক দিবস। ক্লান্ত শরীরে পাকিস্তানের বিশ্বমানের বোলিং আক্রমণকে কী নিদারুণ শাসনটাই না করেছিলেন ইমরুল-তামিম। তামিম ইকবাল বলছেন, ওই ম্যাচটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ।

করোনাভাইরাস কালের এই ক্রিকেটহীন সময়টাতে ফেসবুক লাইভে মজেছেন তামিম। বিভিন্ন ক্রিকেটারের সঙ্গে লাইভ আড্ডা দিয়ে চলেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। আজ বুধবার (১৩ মে) রাতে তামিমের অতিথি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ক্রিকেটার ফাফ ডু-প্লেসি। সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়কের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে খুলনা টেস্টে গল্প শুনিয়েছেন তামিম।

তামিম বলেন, ‘আমার একটা টেস্টের কথা মনে পড়ে, পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্ট। আমার মনে হয় তুমি (ডু-প্লেসি) খুলনায় যাওনি। আমরা ওই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছিলাম। মুশফিক ইনজুরিতে পড়ে ফলে আমাদের ইমরুল কায়েসকে উইকেট কিপিং করতে হয়েছিল। এরপর আবার ব্যাটিং (ওপেনিংয়ে) করতে নামতে হয়েছিল তাকে। আমরা দুজন রেকর্ড ৩১২ রানের পার্টনারশিপ করেছিলাম ওপেনিংয়ে। ইমরুল সেদিন দেড়শ করেছিল। আমার কাছে আমার জীবনের সেরা টেস্ট ওটা।’

খুলনায় সেই টেস্টটি শেষ পর্যন্ত ড্র’তে নিষ্পত্তি হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে বীরত্বগাথা ডাবল সেঞ্চুরির কারণে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন তামিম ইকবাল।

সারাবাংলা/এসএইচএস/জেএইচ

খুলনা টেস্ট ডু প্লেসি তামিম ইকবাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর