কোহলিকে সাহায্য করেন মুশফিকও
১৯ মে ২০২০ ০০:০৯
বর্তমান সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিকে একেক জন একেক কিংবদন্তির সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। মনে করা হয় শচিন টেন্ডুলকারের একশ সেঞ্চুরির রেকর্ড কোহলিই ভেঙে দেবেন। তবে একটা জায়গায় কোহলি অতুলনীয়, ভারতীয় তারকা সকলের সেরা। আর তা হলো রান তাড়া করে দলকে জেতানোয়।
করোনাভাইরাসের কারণে ক্রিকেটহীন সময়টাতে তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফেসবুকে লাইভ আড্ডা দিয়ে চলেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সোমবার (১৮ মে) তামিমের অতিথি হয়ে আসেন বিরাট কোহলি। আড্ডায় অবিশ্বাস্য রান তাড়ার রহস্য জানতে চান তামিম।
জবাবে মজার ছলে বলেছেন, মুশফিকুর রহিমরা (উইকেটরক্ষকরা) উইকেটের পেছন থেকে স্লেজিং করে তার মনোযোগ বাড়িয়ে দেন! বিস্তারিত বলেছেন, রান তাড়ার বিষয়টি ছোট থেকেই ধারণ করে আসছেন তিনি। আত্মবিশ্বাসও এতে বড় ভূমিকা রাখে।
রান তাড়ার পরিসংখ্যানে শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং, স্টিভ ওয়াহ, স্যার ভিভ রিচার্ডসন কিংবা মহেন্দ্র সিং ধোনি কেউই কোহলির ধারে কাছে নেই। ওয়ানডেতে ভারতীয় তারকার সেঞ্চুরি ৪৩টি, তার মধ্যে ২২টি সেঞ্চুরিই করেছেন রান তাড়া করতে নেমে। ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং গড় ৫৯ দশমিক ৩৩, রার রান তাড়া করতে নামলে তার ব্যাটিং গড় বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬ দশমিক ২১’এ! রান তাড়া করতে নেমে ৮৬ ইনিংসে রান করেছেন ৫ হাজার ৩শ ৮৮। অথচ তার পুরো ক্যারিয়ারের রান ২৪৮ ম্যাচে ১১ হাজার ৮শ ৬৭। পরিসংখ্যানই বলছে রান তাড়ায় কতটা অবিশ্বাস্য, অদ্বিতীয় ভারতীয় কোহলি। ‘দ্য চেজার’ বলা হয় ভারতীয় অধিনায়ককে। কীভাবে সম্ভব হয় এসব?
নিজের রান তাড়া করার এমন দুর্দান্ত পরিসংখ্যান সম্পর্কে কোহলি বলেন, ‘কখনো কখনো মুশফিকরাও তো সহযোগিতা করে। স্ট্যাম্পের পেছনে এটা ওটা বলে, আমি তা শুনে অনুপ্রাণিত হই! দেখুন আমি তরুণদেরকেও এটা বলি যে আপনার আত্মবিশ্বাস থাকা জরুরী। আপনাকে মনে করতে হবে যে এটা আমি করতে পারব। ছোটবেলায় টিভিতে খেলা দেখতাম। যখন দেখতাম ভারত কোন ম্যাচ তাড়া করে জিততে পারত না তখন মনে করতাম যে আমি থাকলে ম্যাচ জেতাতে পারতাম। ওটা এক স্বপ্নের মতো। মাঠে যখন এমন পরিস্থিতি আসে তখন আসলে মনে হয় যে আমি জেতাতে পারব।’
রান তাড়া বিষয়টিকে সুযোগও মনে করেন কোহলি, ‘দেখুন রান তাড়া এমন একটা বিষয় যেটাতে কী করতে হবে তা একেবারে পরিস্কার। কত রান করতে হবে এবং আপনাকে কী কী করতে হবে সব পরিস্কার। আমার কাছে এর চেয়ে পরিস্কার পরিস্থিতি আর কিছু নেই। আমি রান তাড়ায় কখনো চাপ অনুভব করি না। আমি এটাকে সুযোগ মনে করি। আমার মনে হয়, এটা এমন এক পরিস্থিতি যেখানে আপনি জিতিয়ে অপরাজিত থেকে আসতে পারবেন। ৩৭০-৩৮০ রান তাড়া করতে হলেও আমার মনে হয় না যে পারব না।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোবার্টের সেই ম্যাচের কথাও উদাহরণ হিসেবে টানলেন কোহলি, ‘আমার মনে আছে ২০১২ সালে হোবার্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের খেলা ছিল, যে ম্যাচে আমাদের কোয়ালিফায়ারের জন্য ৩৪০ এর বেশি রান করতে হতো ৪০ ওভারে। তখন পরামর্শ করছিলাম যে প্রথম ২০ ওভারে উইকেট না হারিয়ে আমরা যতটা পারি রান তুলব। পরের ২০ ওভার একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হিসেবে খেলব। আমরা সেটা পেরেছিলাম। আত্মবিশ্বাসটা সাধারণত আমার স্বাভাবিকভাবেই আসে।’
তামিম ইকবাল তামিমের লাইভ শো তামিমের সঙ্গে লাইভ আড্ডায় বিরাট কোহলি মুশফিকুর রহিম