সেদিন মনে হয়েছিল ভারতের হয়ে অনেকদিন খেলব: কোহলি
১৯ মে ২০২০ ০১:১৩
বিরাট কোহলি আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন বয়সভিত্তিক ক্রিকেটেই। তার নেতৃত্বে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দ্যুতি ছড়ানোর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যায় বইয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন জাতীয় দলে। তবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল বড্ডই নড়বড়ে।
শুরুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারটা হয়তো ধরতে পারেননি কোহলি। ২০০৮ সালের আগস্টে ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক। প্রথম তিন ম্যাচে তার রান ছিল যথাক্রমে ১২, ৩৭ ও ২৫। ওই সিরিজের পর দল থেকে বাদও পড়ে যান বর্তমান অধিনায়ক। আবার ফিরলেও প্রত্যাশা মতো পারফর্ম করতে পারছিলেন না। প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন অভিষেকের দেড় বছরেরও বেশি সময় পর। ২০০৯ সালে কলকাতায় সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই প্রথম সেঞ্চুরি করেন কোহলি। সেদিনই নাকি মনে হয়েছিল, ভারতের হয়ে অনেকদিন খেলতে পারবেন তিনি।
সোমবার বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ফেসবুকে লাইভ আড্ডায় যুক্ত হয়েছিলেন কোহলি। ভারতীয় অধিনায়ক গল্পটা শুনিয়েছেন সেখানেই।
তামিমের এক প্রশ্নের জবাবে কোহলি বলেন, ‘আপনি যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করবেন তখন মনে হবে কীভাবে ক্যারিয়ার গড়ব, কীভাবে এগিয়ে যাবো। আমার সঙ্গে যেটা হয়েছিল, আমি এক সিরিজ খেলার পর দল থেকে বাদ পড়ে যাই। ২০০৯ সালে আবারও দলে ফিরি, দুই-তিনটা ম্যাচ ভালো খেলি। তখন কিছুটা আত্মবিশ্বাস চলে আসে। তবে যেদিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি পেলাম সেদিন আমার মনে হয়েছিল যে ভারতের হয়ে আমি লম্বা সময় ধরে খেলতে পারি।’
ভাগ্যিস তখন সেঞ্চুরি করে আত্মবিশ্বাসী হয়েছিলেন বিরাট! তা না হলে ক্যারিয়ারটা তো অন্য রকমও হতে পারত। গত কয়েক বছর ধরেই তিন ফরম্যাটের ক্রিকেট হিসেবে বিরাট কোহলিকে বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইতোমধ্যেই ৭০টি সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
৮৬ টেস্টে ৫৩ দশমিক ৬২ গড়ে ৭ হাজার ২শ ৪০ রান করেছেন কোহলি। সেঞ্চুরি ২৭টি, হাফ সেঞ্চুরি ২২টি। ওয়ানডেতে ২৪৮ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ১১ হাজার ৮শ ৬৭। ওয়ানডেতে তার সেঞ্চুরি ৪৩টি, হাফ সেঞ্চুরি ৫৮টি, গড় ৫৯ দশমিক ২৫। ৮২ টি-টোয়েন্টিতে ৫০ দশমিক ৮০ গড়ে রান করেছেন ২ হাজার ৭শ ৯৪। সেঞ্চুরি নেই, তবে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ২৪টি।