ঘরোয়া লিগের দর্শক দেখে অভিভূত হয়েছিলেন ওয়াসিম আকরাম
২০ মে ২০২০ ০০:৪১
১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিলেন ওয়াসিম আকরাম। খেলেছেন আবাহনীর হয়ে। দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন সুইং অব সুলতান। প্রথমটি ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে। আর দ্বিতীয়টিতে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল মোহামেডান। সেই লিগের দর্শক উপস্থিতি এতটাই বেশি ছিল যে রীতিমত টাস্কি খেয়ে গিয়েছিলেন কিংবদন্তী এই পাকিস্তানি পেসার।
৯০’র দশকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ঘরোয়া ক্রিকেট কতটা জনপ্রিয় ছিল সেকথা বোধ হয় নতুন করে আর বলা প্রয়োজন নেই। তৎকালীন সময়ে আবাহনী ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের মধ্যকার ম্যাচেও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রায় ১৫ হাজার দর্শক উপস্থিতি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল। আর আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ হলে তো কথাই নেই। তিল ধারনের ঠাঁইও থাকত না।
পক্ষান্তরে পাকিস্তানে তখন ঘরোয়া ক্রিকেট ছিল না বললেই চলে। ক্লাবগুলোও সেভাবে গড়ে ওঠেনি। আন্তর্জাতিক ম্যাচের বাইরে ক্রিকেট বলতে সবাই কর্পোরেট লিগকেই বুঝত। এমন বাস্তবতায় ওয়াসিম আকরাম বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্মাদনা দেখে রীতিমত অভিভূতই হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (১৯ মে) তামিম ইকবালের ফেইসবুক পেইজে লাইভ আড্ডায় আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও খালেদ মাসুদ পাইলট অতিথি হয়ে এসেছিলেন। আর সেই সঙ্গে সারপ্রাইজ প্যাকেজ ছিলেন কিংবদন্তী পাকিস্তানি পেসার ওয়াসিম আকরাম। লাইভেই বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগে খেলতে এসে অভিভূত হওয়ার ঘটনা জানালেন সুলতান অব সুইং।
ওয়াসিম আকরাম বলেন, প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের দর্শক দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। এবং এখানকার মানুষের ক্রিকেট নিয়ে যে উন্মাদনা সেটাও আমাকে অভিভূত করেছিল। তাছাড়া আমিও তখন বাংলাদেশের কিছু কিছু মানুষের খুব কাছের ছিলাম। এদেশের মানুষ, খাবার সবকিছুকেই আমি নতুন করে আবিষ্কার করতে চাইতাম। আমি মাছের ঝোল এখনো মিস করি।’
কথোপকথনের এক পর্যায়ে ওই ম্যাচেরই একটি মজার স্মৃতি চারণও করেন ওয়াসিম। ব্রাদার্সের বিপক্ষে ইনিংসের শেষ বলে ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করেন আবাহনী পেসার। কিন্তু বলটি ছিল নো। স্ট্যাম্পে লেগে ফাইন লেগ অঞ্চল দিয়ে বল চলে যাচ্ছিল সীমানার বাইরে। অথচ ফিল্ডার বল না ধরেই উদযাপন শুরু করে দিলেন। তিনি ভেবেছিলেন ব্যাটসম্যান আউট তো আমরা জিতে গেছি। ভেবেই দৌঁড়ে ওয়াসিমের দিকে ছুটে আসছিল। বলছিলেন আর হো হো করে হাসছিলেন।
তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি তারা ব্রাদার্সের কাছে হেরে যায়। ওই ম্যাচে ৯ ওভার বল করে ৪০ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন ওয়াসিম আকরাম।
ওয়াসিম আকরাম তামিমের লাইভ শো তামিমের সঙ্গে লাইভ আড্ডায় পাকিস্তানি কিংবদন্তী পেসার