সেদিন বাংলোদেশ আমাদের চাইতে ভালো খেলেছিল: ওয়াসিম আকরাম
২০ মে ২০২০ ০১:৫৯
৯৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। ২২ গজের বিশ্বযুদ্ধের ওই আসরে পাকিস্তান মানেই মূর্তিমান ত্রাসের আরেক নাম। গ্রুপ পর্বের ৫টি ম্যাচের ৪টিতেই অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে ওয়াসিম আকরাম, সাঈদ আনোয়াররা। অপেক্ষো ছিল শেষ ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার সিক্সের। কিন্তু ওই ম্যাচেই খেই হারাল দাপুটে দলটি। সদ্যই বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া বাংলাদেশের কাছে ৬২ রানে হেরে হলো ভূপাতিত। পাকিস্তান অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামের মতে সেদিন বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে ভালো খেলেছিল বলেই ম্যাচটি জিততে পেরেছিল।
মঙ্গলবার (১৯ মে) তামিম ইকবালের ফেইসবুক পেজে লাইভ আড্ডায় আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও খালেদ মাসুদ পাইলট অতিথি হয়ে এসেছিলেন। আর সেই সঙ্গে সারপ্রাইজ প্যাকেজ ছিলেন ওয়াসিম আকরাম। সেখানেই তিনি একথা জানান।
ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে আমি বলব ওদিন বাংলাদেশ আমাদের চাইতে ভালো খেলেছিল। তখন আমরা আগে বল করতাম ও পরে ব্যাট করতাম। আইডিয়াটা ছিল রান তাড়া। তাছাড়া এভাবে আমরা জিততামও। সেটা একটা কারণ ছিল।’
এর বাইরে আরো একটি কারণ দেখালেন সুলতান অব সুইং। সেটা হলো বাংলাদেশের বোলিং। পুরো টাইগার বোলিং স্কোয়াডই সেদিন দপ করে জ্বলে উঠেছিল। বিশেষ করে খালেদ মাহমুদ সুজনের মিডিয়াম পেস এর সঙ্গে সুইংয়ের মিশেল। নর্দাম্পটনের শিশিরে ভেজা ঘাসে লাল সবুজের সুইংয়ের কাছে তারা পরাস্ত হয়েছিলেন বলেও মত তার।
‘তাছাড়া বাংলাদেশ ভালো বলও করেছিল। মিডিয়াম পেস বলে সুইং ভালো হচ্ছিল, ডিউ ফ্যাক্টরও ছিল। এটা আমাদের পাকিস্তানিদের জন্য হতাশার হলেও বাংলাদেশের জন্য ছিল দারুণ কিছু। এবং সেজন্য আমি তাদের প্রশংসাও করেছি।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটের আকাশে নতুন সূর্যদয়ের সেই ম্যাচটির স্কোর কার্ড ও ম্যাজিক বোলিং ফিগার নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। তবুও আরেকবার মনে করিয়ে দিচ্ছি। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আকরাম খানের ৪২, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুতের ৩৯ ও খালেদ মাহমুদ সুজনের ২৭ রানে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২২৩ রান সংগ্রহ করেছিল আমিনুল বুলবুল ও তার দল।
জয়ের জন্য ২২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ৪৪.৩ ওভারে মাত্র ১৬১ রানে। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন ৩টি, সাইফুদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ রফিক, মিনহাজুল আবেদীন ও নাঈমুর রহমান দুর্জয় ১টি করে উইকেট নিয়েছিলেন।