ক্রিকেট ভালোবাসলে কেউ ফিক্সিং করত না: তামিম
২২ মে ২০২০ ১৬:০২
পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ও দেশটির সাবেক অধিনায়ক এবং প্রধান কোচ ওয়াকার ইউনুস একবার বলেছিলেন, ম্যাচ ফিক্সিং ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেটে। এই ভাইরাস নির্মূলে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করে যাচ্ছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি ও বিভিন্ন ক্রিকেট বোর্ডগুলো। কিন্তু তাতেও নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে কই!
যুগের পর যুগ ধরে ক্রিকেটের বড় বড় তারকাদের নাম কলঙ্কিত করেছে ফিক্সিং ইস্যু। কদিন আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগের (এপিএল) ম্যাচ পাতানোর চেষ্টার অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৬ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেলেন আফগানিস্তানের শফিকুল্লাহ শফিক। তার কিছু আগে ফিক্সিং কাণ্ডে বড় নিষেধজ্ঞা পেয়েছেন পাকিস্তানের সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যান উমর আকমল। মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ, সালমান বাট, মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন, শ্রীশান্ত, অজয় জাদেজা, সেলিম মালিক বা মোহাম্মদ আশরাফুলদের ঘটনা তো প্রায় সবারই জানা। তামিম ইকবাল বললেন, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা থাকলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না।
সম্প্রতি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও সময়ের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজার ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তামিম। রমিজ বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ককে ম্যাচ ফিক্সিং বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন।
তামিমের উত্তর, ‘আমি মনে করি আইসিসি যথেষ্ট করছে। আইসিসি সবাইকেই শেখাচ্ছে। আমরা সবাই জানি, প্রতিটি সিরিজ আমরা খেলছি। আমাদের এই ব্যাপারে শিক্ষা দেয় আইসিসি ও দুর্নীতি দমন ইউনিট। সুতরাং ক্রিকেটারদের জানা উচিত কী করা উচিত আর কী করা উচিত না। এরপরও কেউ যদি জুয়াড়িদের কাছ থেকে টাকা নেয়, তাহলে বিষয়টা ওই ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। যদি সে ক্রিকেট ভালোবাসে, দেশকে ভালোবাসে, খেলাটার প্রতি আবেগ কাজ করে, তাহলে আমার মনে হয় না কেউই এই কাজ করবে।’
ফিক্সিং এড়াতে ক্রিকেটারদের জন্য দারুণ একটা বার্তাও দিয়েছেন তামিম, ‘আমরা সবাই জানি আমাদের চারপাশে এই রকম মানুষ আছে। ওরা যেভাবেই হোক ফাঁদে ফেলতে চাইবে। তবে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। আপনাকে বুঝতে হবে আপনি আপনার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
তিনি বলেন, প্রথম বিষয় হলো, আপনি খেলা শুরু করেছেন কিন্তু খেলাটা পছন্দ করেন বলে। আর্থিক দিকটা আসে পরের দিকে। এটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের তো পরিবারের দেখাশোনা করতে হয়। তবে প্রথমবার যখন ব্যাট ধরি, তখন টাকার কথা ভেবে ব্যাট ধরিনি। ব্যাট ধরেছি খেলার প্রতি ভালোবাসা থেকে। কোনো অনৈতিক কাজ করার আগে এটা মাথায় রাখলেই হবে।