পুরোনো পাঞ্জাবিতেই রাহি’র ঈদ
২৫ মে ২০২০ ১১:১৯
বাংলাদেশ ক্রিকেটের গ্ল্যামার বয় ও তরুণ পেসার আবু জায়েদ রাহি গত ঈদে ছিলেন বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডে। সঙ্গত কারণেই পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়নি। তাই চেয়েছিলেন এবার এর ষোলকলা পূর্ণ করবেন। নতুন পাঞ্জাবি কিনবেন, মা, বাবা ভাই বোনকেও কিনে দেবেন। আর ঈদের দিনগুলোতে মীরবাজারের (সিলেট) পুরোনো বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে দেবেন চুটিয়ে আড্ডা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি তার সেই ভাবনার জায়গাটি বদলে দিয়েছে। চারপাশে অগণিত ক্ষুধাতুর মুখ দেখে ঈদের সামান্যতম আয়োজন তার নেই। নিজে নতুন কোনো জামা, প্যান্ট বা পাঞ্জাবি কেনেননি। পরিবারের অন্য সদস্যদেরও কিনতে বারণ করেছেন। নিজের পুরোনা দুই তিনটি পাঞ্জাবি আলমারি থেকে নামিয়ে রেখেছেন। সেগুলো ইস্ত্রি করে ঈদের দিনগুলোতে পরবেন। পরিবারের অন্য সদস্যদেরও তাই বলেছেন।
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানেই তো আনন্দ। প্রতিবছর এই ঈদকে ঘিরে সবারই অনেক পরিকল্পনা থাকে, থাকে অনেক আয়োজন। এবছরও এর ব্যতিক্রম হওয়ার কথা ছিল না। বিগত বছরের ধাবাহিকতায় এবারও বর্ণাঢ্য আয়োজনেই তা পালনের কথা ছিল। কিন্তু করোনা নামক এক অদৃশ্য শত্রু মুসলিমদের সবচেয়ে বড় এই উৎসবের সকল আয়োজন পণ্ড করে দিল! মার্চ থেকে শুরু হওয়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ছোবলে গোটা দেশই এখন বিবর্ণ আর ছন্নছাড়া। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের কোথাও এক চিলতে হাসির রেখা নেই। কেননা রাত পোহালেই বাড়ছে সংক্রমণ, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাটাও। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দারিদ্র। কোনোভাবেই যেন তার লাগাম টেনে রাখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে এবার কারোরই ঈদ বলে কিছু নেই। যারাও পালন করবেন তাতে স্বতস্ফুর্ততার লেশমাত্র থাকবে না। তাছড়া করোনায় সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অনেকের আবার ঈদ উদযাপনের সামর্থ্যটুকুও নেই। সেই ভাবনা ভেবেই এবারের ঈদ উদযাপন থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের বোলিং কাণ্ডারি আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি।
রাহির ক্রিকেটে হাতে খড়ি সেই ছোট বেলা থেকেই। জন্মস্থান সিলেট মীরাবাজারে ক্রিকেটের দারুণ এক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল। সকাল, দুপুর, বিকেল তিন বেলায় স্থানীয় মাঠে হরদম ক্রিকেট চলত। তাছাড়া নিজের মেঝ ভাই মেহেদি হাসান রাদীও ক্রিকেট খেলতেন। বাসায় বা বাসার সামনে যখন খেলতেন রাহিকে বল করতে বলতেন। মূলত তাকে দিয়েই বোলিংয়ে হাত পাকিয়েছেন রাহি। কিশোর রাহি তখই স্বপ্ন বুনেন, একদিন দেশের হয়ে খেলবেন।
শুনলে অবাক হবেন, আজ যে রাহি বাংলাদেশের হয়ে পেস বল করেন, সুইং ভেলকিতে বিশ্বের তাবৎ বাঘাবাঘা ব্যাটসম্যানদের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দেন সেই তিনি ছোট বেলায় করতেন অফস্পিন। তবে তাতে গতি একটু বেশি ছিল। পাড়ার গণ্ডি পেরিয়ে অনূর্ধ্ব-১৩ দলেও অফস্পিনার হিসেবে ঢুকলেন। পেস বোলিংটা শুরু হলো তার অনূর্ধ্ব-১৬ তে এসে। এরপর অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ ও ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে জাতীয় দলে।
লাল সবুজের জার্সিতে রাহির প্রথম অভিষেক হয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠ সিলেটে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যাত্রা। ওই বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সিরিজে মাথায় উঠে টেস্ট ক্যাপ। আর ৫০ ওভারের ক্রিকেটের মিশন শুরু করেছেন ২০১৯ সালের মে মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে।
রঙিন পোষাকের চাইতে সাদা পোষাকের ক্রিকেটে তিনি ঢের নিয়মিত। অবশ্য নিয়মিত বলার চাইতে অপরিহার্য্য বলাটাই বোধ হয় শ্রেয়তর হবে। অসাধারণ ফিটনেস, লম্বা স্পেলেও এক জায়গায় ধারাবাহিকভাবে বল ফেলার সামর্থ্য, ইন সুইং এবং আউট সুইংয়ের সমাহারে হয়ে উঠেছেন টাইগার টিম ম্যানেজন্টের ভরসার প্রতীক। সাদা পোষাকে বল হাতে দলের গোড়াপত্তন করতে কোচ, অধিনায়ক তার কাঁধেই ভরসা রাখেন।
অনেকেরই ধারণা রাহি বুঝি টেস্টেই থিতু হতে চান। ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি’র প্রতি আগ্রহটা খুবই নগণ্য। বিষয়টি মোটেও সেরকম নয়। ওয়ানডের প্রতি আগ্রহটা সামান্য কিন্তু কিন্তু টি-টোয়েন্টি তার ভীষণ পছন্দ।
আজ অব্দি মাত্র তিনটি টি-টোয়েন্টি থেকে তার প্রাপ্ত উইকেট সংখ্যা ৪টি, ২টি ওয়োনডেতে শিকার ৫ উইকেট। আর ৯ টেস্টে পেয়েছেন ২৪টি উইকেট। এই ৩৩ট উইকেটের মধ্যে তার সবচেয় প্রিয় বিরাট কোহলির উইকেটটি। গত নভেম্বরে ইনদোরে যার দেখা পেয়েছিলেন। আর টেস্ট ম্যাচের তালিকায় পছন্দের শীর্ষে আছে গেল ফেব্রুয়ারিতে হোম অব ক্রিকেটে খেলা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি।
সিলেট থেকে মুঠোফোনে সারাবাংলার সঙ্গে একান্তে আলাপকালে কথাগুলো জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের তরুণ তুর্কি এই পেসার। জানিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে আরো অনেক কিছুই। সারাবাংলার পাঠকদের উদ্দেশ্যে তা তুলে ধরা হলো-
সারাবাংলা: আপনার ক্রিকেটে আসার গল্পটা যদি বলতেন।
রাহি: ছোট বেলায় দেখেছি আমাদের এলাকায় প্রচুর ক্রিকেট খেলা হত। আগ্রহটা মূলত ওখান থেকেই জন্মেছে। এরপর আমার মেঝ ভাইকে দেখেছি ক্রিকেট খেলতে। বেশিরভাগ সময়ই তাকে বাসার সামনে বল করতে হত। ওই যে শুরু। এরপর অনূর্ধ্ব-১৩ দলে গেলাম। ভাইয়া বললেন স্পিনার হিসেবে যা পেস বোলার হিসেবে এই মুহুর্তে বাংলাদেশ দলে ঢোকা খুব কঠিন। অনূর্ধ্ব-১৩ অফস্পিনার হিসেবে গেলাম। তখন অনেক জোরে অফস্পিন করতাম বলতে পারেন পেস বোলারদের মতোই। অনূর্ধ্ব-১৬ তে এসে পেস বোলিং শুরু করলাম। অনেক জোরে বল করতাম। অনূর্ধ্ব-১৬ এর পরে সিলেটে একটি ক্যাম্প হলো। অনেক দিন করার পরে অনূর্ধ্ব-১৬ দলে ডাক পেলাম। ওখানে বল করার পরে বাবুল স্যার (মিজানুর রহমান বাবুল) আমাকে অনূর্ধ্ব-১৭ দলে নিয়ে গেলেন। এরপর আমার বোলিং অ্যাকশনটা অল্প বদলে দিলে আউট সুইং চলে এল। তখন থেকেই শুরু হলো, সুইং করাতে পারতাম। এবং এটা পারতাম বলেই সবাই পছন্দ করত। এরপর অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ইংল্যান্ডে দুটি চার দিনের ম্যাচ ছিল। নান্নু স্যার (মিনহাজুল আবেদীন) বললেন আমাদের সুইং বোলার দরকার। তো দলের হয়ে ইংল্যান্ডে খেলতে গেলাম। এরপর থেকে আস্তে আস্তে ক্যারিয়ার শুরু হলো।
সারাবাংলা: বাংলাদেশের টেস্ট দলের বোলিংয়ের গোড়াপত্তন করেন আপনি। এটা ভেবে নিজেকে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়?
রাহি: সত্যি বলতে পাকিস্তান সিরিজটা আমরা ভালো করতে পারিনি। তবে তারপরে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আমরা যেমন বল করেছি এবং যে উইকেটে খেলা হয়েছে অনেকটা স্পোর্টিং উইকেটই ছিল। তখন মনে হয়েছে অন্যান্য যে কোনো দল হলেও আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতাম। আমারও মনে হয়েছে, না দলের জন্য কিছু করতে পারছি। সত্যি বলতে এক সময় খারাপ লাগত। কেননা পেস বোলার ছাড়াই বাংলাদেশ ম্যাচ খেলত। তো এখন পরিস্থিতি বদলেছে। আমরাও চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি। নিজের ক্ষেত্রে বলতে গেলে ছোট বেলা থেকে আমি টেস্ট ক্রিকেট পছন্দ করতাম। ওই হিসেবে সাত বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ভালো খেলে যখন টেস্ট দলে ঢুকেছি তখন মনে হয়েছে যে টেস্ট যেন অনেকদিন খেলতে পারি ওভাবেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেখা যাক কি করতে পারি।
সারাবাংলা: এবারের ঈদ নিশ্চয়ই বিগত বছরগুলোর মতো হবে না। বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে আছেন কিন্তু ঈদ উদযাপন করতে পারছেন না। কতটা কষ্টদায়ক?
রাহি: কষ্টাদায়ক না। সত্যি কথা বলতে গেলে পরিস্থিতিটা আগে দেখতে হবে। এর আগেও পরিবারের সঙ্গে আমি ঈদ করেছি। তবে শেষ দু’টি ঈদ দেশের বাইরে করেছি। গতবার ইংল্যান্ডে করেছি। এবারের ঈদটা সবাইকেই মেনে নিতে হবে। কিছু করার নেই। বাসার সবাইকে বলেছি শপিং করব না। কিছু পুরাতন পাঞ্জাবি আছে সেগুলো বের করেছি। এগুলো ইস্ত্রি করে ঈদের দিন পরব। আম্মাকেও বলেছি বাসার পুরাতন শাড়ি বের করতে। পুরাতন কাপড় দিয়ে ঈদ উদযাপন করব।
সারাবাংলা: আপনার প্রধান অস্ত্রই সুইং। এটা রপ্ত করতে কতটা কষ্ট করতে হয়েছে?
রাহি: আমার যখন আউট সুইং ছিল তখন কোচের বলতেন এটাকেই কাজে লাগাতে। যখন হাই পারফরম্যান্স ক্যাম্পে ছিলাম আউট সুইং বেশি কাজে লাগত। ইন সুইং মারতাম মাঝে মাঝে। সত্যি বলতে তখন চেষ্টা করতাম কিন্তু হত না। তখন আমার কোচেরা বলতেন তোমার নিয়ন্ত্রণ নেই। এরপর আমার এক বছর লেগেছে ইনসুইং আয়ত্তে আনতে।
সারাবাংলা: আপনি কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে কাজ করেছেন এখন ওটিস গিবসনের সঙ্গে করছেন। দুজনের মধ্যে পর্থক্যটা কী দেখছেন?
রাহি: ওটিস গিবসনের ক্ষেত্রে যেটা ভালো লেগেছে ও আমাকে প্রথমেই বলেছে আমার যেমন তোমাকে বুঝতে হবে তেমনি তোমাকেও আমাকে বুঝতে হবে। আমি যখন পাকিস্তানের সঙ্গে বল করলাম তখন বললেন আমি তোমার বল দেখেছি। ঠিক আছে। বাংলাদেশে গিয়ে তোমার সঙ্গে কাজ করব। তো ঢাকায় এসে যখন অনুশীলন করলাম আমাকে বললেন তোমার ইচ্ছেমত বল কর। যখন ইচ্ছে ইনসুইং মারবে যখন ইচ্ছে আউটসুইং মারবে। তার আরো একটি বিষয় ভালো লেগেছে কোনো চাহিদা নেই। সবসময় বলে জায়গায় বল করবে। ওয়ালশের ক্ষেত্রেও একই ছিল।
সারাবাংলা: ওয়ানডে দলে নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে?
রাহি: ইচ্ছে আছে। কিন্তু তারচেয়ে বেশি ইচ্ছে টি-টোয়েন্টিতে।
সারাবাংলা: এই পর্যন্ত যেক’টি উইকেট পেয়েছেন সেরা উইকেট কোনটি?
রাহি: অবশ্যই বিরাট কোহলির উইকেট।
সারাবাংলা: সেরা টেস্ট ম্যাচ ছিল কোন দলের বিপক্ষে?
রাহি: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, মিরপুরে।
সারাবাংলা: ক্যারিয়ার শেষে নামের পাশে কয়টা উইকেট দেখতে চান?
রাহি: আমার ওইরকম কোনো চাহিদা নেই। তাছাড়া আমি চাইলেও ওই জায়গায় যেতে পারব না। কেননা বাংলাদেশ বছরে সর্বোচ্চ টেস্ট খেলে ৪টা কি ৫টা। আমার আপাতত ইচ্ছে হলো ১শ উইকেট।
সারাবাংলা: বোলিংয়ের ক্ষেত্রে জুটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে আপনি মনে করেন?
রাহি: অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। জুটি ভালো হলে প্রতিপক্ষের ওপর প্রভাব বিস্তার করা যায়। ওদের ভুল করার চান্স বেশি থাকে। তবে তার আগে আমার জুটিকে যেমন আমাকে বুঝতে হবে তেমনি তাকেও আমার বুঝতে হবে।
সারাবাংলা: জুটি হিসেবে এবাদত হোসেন কেমন?
রাহি: অবশ্যই ভালো। আমার মনে হয় ও ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সেরা পেসার হবে।
সারাবাংলা: করোনার সময়টা নিজেকে কি করে ফিট রাখছেন। বিসিবি থেকে ফিটনেসের যে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে তা অনুসরণ করছেন তো?
রাহি: বিসিবি থেকে গত বুধবারও দুটি শিট পাঠিয়েছে। ওই অনুযায়ী নিয়মিতই কাজ করছি। এর আগেও পাঠানো হয়েছিল। সেভাবেই কাজ করেছি।
সারাবাংলা: আমরা জানতে পেরেছি করোনার সময় আপনি নানভাবে দুঃস্থদের সাহায্য করেছেন। যদি আমাদের বলতেন।
রাহি: প্রথম দিকে অনেকেই চাপ দিয়েছে ফেইসবুকে এমনকি ফোনেও বলেছে কেন আমি মানুষকে সাহায্য করেও জানাচ্ছি না। এমনকি অনেক সাংবাদিকও আমার কাছে জানতে চেয়েছে। কিন্তু আমি বলেছি না আমি চাই না কেউ এটা জানুক। কেননা মানুষকে না জানালেই সওয়াব বেশি পাওয়া যায়। করোনার শুরু থেকে প্রতি সপ্তাহে ১০ জনকে সাহায্য দিয়েছি। আপনি হয়ত জানেন আমাদের ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা আছে। তো যেহেতু এখন সেগুলো চলছে না ড্রাইভারদের দিয়ে প্রতি সপ্তাহে দুঃস্থ পরিবার খুঁজে বের করছি। এছাড়াও গত সপ্তাহে ১শ পরিবারকে সাহায্য দিয়েছি। যাদের টাকা পয়সা বেশি প্রয়োজন টাকা দেই। যাদের খাদ্য প্রয়োজন দেই। ঈদ উপলক্ষ্যে গত শুক্রবার পর্যন্ত সাহায্য দিয়েছি। মোট ৮-৯ আইটেমের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি। প্রতিদিন ১০ জন করে মানুষকে দিচ্ছি। তবে এখন অনেক মানুষকে দিলে হবে না। করোনার যে অবস্থা সামনে হয়ত আরো খারাপ পরস্থিতি আসবে তখন তো দিতে হবে। তাছাড়া রোজা উপলক্ষ্যে এখন অনেকেই দুঃস্থদের সাহায্য করছে। দোয়া করবেন যেন সামনের দিনগুলোতেও তাদের পাশে থাকতে পারি।
সারাবাংলা: আপনাকে ধন্যবাদ।
রাহি: আপনাকেও।