ঝুঁকিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অনুশীলনে নিরুৎসাহিত করছে বিসিবি
৯ জুন ২০২০ ১৩:০৬
দুই সপ্তাহ ধরে করোনাক্রান্তের সংখ্যা লাগামহীনভাবে বাড়তে শুরু করেছে এদেশে। এমন কোনো দিন নেই আক্রান্ত ২ হাজার ছাপিয়ে যায়নি এবং মৃত ৩০ এর নিচে নেমেছে। গতকাল তো মৃত্যুর রেকর্ড হলো! এক দিনেই ঝরে গেল ৪২টি প্রাণ। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের মিরপুর শের-ই-বাংলায় এসে অনুশীলনে নিরুৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। আর যদি কেউ আসেনও তাকে নিজ দায়িত্ব নিয়ে আসতে হবে।
সারাবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন বিসিবি’র ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান।
এদিকে দেশের ক্রমবর্ধমান করোনা আক্রান্ত রোধে সরকার নতুন করে লক ডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেক্ষেত্রে আক্রান্তের হার বিবেচনা করে ঢাকার এলাকাগুলো রেড, ইয়ালো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হবে। মিরপুর কোন জোনের অধীনে পড়বে সেটা এখনো জানা যায়নি। তবে যদি রেড জোনের আওতাধীন হয় তবে ক্রিকেটাররা চাইলেও হোম অব ক্রিকেটে এসে অনুশীলন করতে পারবেন না বলে জানালেন লাল সবুজের ক্রিকেটের সাবেক এই অধিনায়ক।
অন্যদিকে সরকারের নতুন লক ডাউনের সিদ্ধান্ত শুনে অনেক ক্রিকেটারই নাকি মিরপুরে এসে অনুশীলনের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন।
‘এখন যদি সরকার রেড জোন, ইয়োলো জোন, গ্রিন জোন ঘোষণা করে তাহলে তো আর সম্ভব না। তাছাড়া অনেক ক্রিকেটারও এই মুহুর্তে চাইছে না। আমরা কিন্তু উৎসাহিত করছি না। কেননা এটা অনুশীলনের জন্য সঠিক সময় নয়।’
প্রায় তিন মাস হতে চলল মাঠে খেলা নেই। খেলা দূরে থাক করোনাভাইরাস নামক মহামারির প্রকোপে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ঘর থেকেই বেরুতে পারছেন না। তাছাড়া দিনদিন দেশের করোনা পরিস্থিতি যে প্রকট আকার ধারণ করছে তাতে কবে মাঠে ফিরতে পারবেন সেটা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কেননা দেশের করোনা পরিস্থিতির সিকিভাগ উন্নতিও নেই। এদিকে টানা লক ডাউনে ঘরে বসে থাকতে থাকতে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থাও যাচ্ছেতাই রকমের হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কেউ কেউ বাসায় ফিটনেস নিয়ে কাজ করলেও অনেকের আবার সেই সুযোগটিও নেই। তাছাড়া বাসার ফিটনেস আর আউটডোর ফিটনেস তো আর এক বিষয় নয়। সেই ভাবনা থেকেই গত সপ্তাহে মিরপুরে এসে অনুশীলনের জন্য বিসিবিকে অনুরোধ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু সার্বিক নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে অনুমমিত দেওয়া হয়নি। শুধু মুশফিকই নন, আরো কয়েকজন ক্রিকেটার হোম অব ক্রিকেটে এসে অনুশীলনের আগ্রহ দেখিয়েছেন।
তাদের কথা মাথায় রেখেই করোনাকালীন পরিস্থিতিতেও অনুশীলনে ফেরানোর কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। এবং এই মর্মে তারা আইসিসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী মেডিকেল বিভাগকে ট্রেনিং মডিউল তৈরির নির্দেশনাও দিয়েছেন। বিসিবি মেডিকেল বিভাগও তদানুযায়ী তিনটি মডিউল তৈরি করে রেখেছে। এখন শুধু নির্দেশনার অপেক্ষা। দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণপূর্বক বিসিবি’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলেই তারা ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরাতে পারবেন। ক্রিকেটাররাও মনসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন।
কিন্তু হঠাৎ করেই করোনাভাইরাস বিরুপ আকার ধারণ করায় এই মুহুর্তে তাদের মাঠে এসে অনুশীলনে নিরুৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রশাসন।
অনুশীলন অনুশীলনে নিরুৎসাহিত করোনাভাইরাস বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল