কোচের নির্দেশনা মেনে ঘাম ঝড়াচ্ছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা
১৫ জুন ২০২০ ২২:৫৭
স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: করোনা মহামারিতে দেশের ব্যস্ত ফুটবল কোলাহল এখন স্থবির। সাত বছর পর মাঠে গড়ানো নারী ফুটবল লিগ বন্ধ। তাই নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে বসে বসে কাটছে নারী ফুটবলারদের সময়। এতে ফিটনেসের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে ফিটনেসে ঘাটতি পূরণ করে মাঠে নামানোর উদ্যোগ নিয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। ভার্চুয়াল জগতের সাহায্যে সাবিনা-কৃষ্ণাদের ফিটনেসের নানান নির্দেশনা দিচ্ছেন কোচ। তা মেনেই মাঠে ঘাম ঝড়াতে নেমে পড়েছেন ফুটবলাররা।
একটি ভিডিও বার্তায় নারী ফুটবলারদের ফিটনেস পরামর্শ নিয়ে ছোটন জানালেন, ‘মেয়েদের ফিটনেস নিয়ে সবসময় আমরা সিরিয়াস। ফোনে বা ভার্চুয়ালি সবসময় নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি। তারাও সেভাবে কাজ করছে। সবশেষ ১৭ ই মার্চ ক্যাম্প ছেড়েছে মেয়েরা। বাসায় থাকলে এমনিতেই ফিটনেস লেভেল কমে যায়। এটা স্বাভাবিক দুই মাসের উপরে অলরেডি হয়ে গেছে।’
করোনাকালীন ফুটবলাররা যাতে মানসিকভাবে ভেঙ্গে না যায় সেভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে চলছে কোচিং স্টাফ। তেমনটাই জানালেন এই কোচ, ‘বিশ্বব্যাপী মহামারি চলছে। খেলোয়াড়রাও মানসিক একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে। আমরা সবসময় তাদেরকে মোটিভেট করছি। তাছাড়া ঈদের পর থেকেই বাসায় বা আশেপাশে খোলা জায়গা তাদের ব্যাসিক ফিটনেসের ট্রেনিংগুলো নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি। ওয়ার্কআউটসহ কিছু রানিং সেশন করা যায় সেভাবে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আছে মেয়েদের। সেই লক্ষ্যে ঘরে বসেই প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে উদ্যোগী ছোটন, ‘আশা করছি তারা অনেকটাই নিজেদের গুছিয়ে নিবে। শিডিউল অনুযায়ী আপনারা জানেন যে আমাদের অ: ১৫ ও অ: ১৮ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আছে। যদিও আমরা নিশ্চিত না মহামারির জন্য শিডিউলটা ঠিকমতো থাকবে কি না। তবে আমরা আশাবাদী যে মেয়েরা মহামারির পরে ঠিকমতো ফিরে আসবে।’
তার নির্দেশনা মেনেই নারী ফুটবলাররা ঈদের পর থেকেই ঘাম ঝড়িয়ে যাচ্ছেন। ফিটনেসের মৌলিক বেয়ামগুলো করছেন। একেবারে সকালে উঠেই বারান্দায় বা বাসায় বা স্কুলের মাঠে কিংবা খোলা জায়গা ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা।
করোনা মহামারি কেটে গেলেই আবার মাঠে ফিরে ফুটবলাররা আবার সেই ফর্মে ফিরে সাফল্য আনবে বলে আশ্বাস ছোটনের, ‘আশা করছি মেয়েরা বিগত বছরগুলোতে যে সাফল্য দেখিয়েছে সেটা ধরে রাখতে পারবো।
সারাবাংলা/জেএইচ