নানান পরিবর্তনে আগস্টে ইউএস, সেপ্টেম্বরে ফিরছে ফ্রেঞ্চ ওপেন
১৯ জুন ২০২০ ১৫:১৪
করোনাভাইরাসের মহামারিতে গোটা বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গন স্থবির হয়ে পড়ে। ফুটবল, ক্রিকেট থেকে শুরু করে এই থাবা পড়েছিল টেনিসেও। ফ্রেঞ্চ ওপেন, উইম্বলডন থেকে শুরু করে স্থগিত হয়ে যায় বড়-ছোট সকল টেনিস টুর্নামেন্ট। অবশেষে কোর্টে গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফেরার আশা দেখা দিয়েছে। ফিরছে ইউএস ওপেন। আগামি আগস্টের ৩১ তারিখ কোর্ট ফিরছে ইউএস ওপেন।
তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে টেনিসেও আসছে অনেক পরিবর্তন। ঠিক যেমন করোনা পরবর্তী ফুটবলে এসেছে, অনুমোদন মিলেছে ক্রিকেটের নানান পরিবর্তনেরও। এবার সেই ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন আসছে টেনিসেও। অগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন দিয়ে ফিরছে গ্র্যান্ড স্ল্যাম। আর সেখানে বেশির ভাগ কোর্টেই লাইন-বিচারকদের রাখা হবে না। তার বদলে প্রযুক্তির সাহায্যে লাইন-কল করা হবে।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের সব চেয়ে বড় দু’টি কোর্টে লাইন-কল করার জন্য বিচারকরা থাকবেন। বাকি কোর্টে শারীরিক দূরত্ব রক্ষার কারণে তাদের রাখা হবে না। সিঙ্গলসে কোনো যোগ্যতামান বাছাই পর্ব রাখা হচ্ছে না। থাকবে না মিক্সড ডাবলসও। বল-বয় বা বল-গার্লের সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ছ’জনের পরিবর্তে রাখা হবে তিন জন। সেই সঙ্গে হুইলচেয়ার প্রতিযোগিতাও বাতিল করা হয়েছে, যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
আর এ নিয়ে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে হুইলচেয়ার সিঙ্গলসে বিজয়ী ডিলান অ্যালকট ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেছেন, ‘’বিশ্বের এক নম্বর হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারতাম কিন্তু হাঁটতে পারি না বলে খেলার সুযোগ হারালাম।’ তবে নিজেদের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন আয়োজকরা। তারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘’এটা একটা নতুন যাত্রা। বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা।’
খেলার মাঝের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে থাকবে মাঠের বাইরেরও নানান প্রস্তুতি। ইউএস ওপেনে অংশগ্রহণের আগে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে দিতে হবে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা। কেবল সেখানেই উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই টিকিট মিলবে অংশগ্রহণের। আর গ্র্যান্ড স্ল্যাম চলাকালীনও হবে আরও এক ধাপ পরীক্ষা। সেই সঙ্গে কোর্টে থাকবে না কোনো দর্শকও। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে দর্শকশূন্য মাঠেই খেলা আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে আয়োজকরা।
আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেই, এর মধ্যেই নিউইয়র্ক সরকার টেনিসের গ্র্যান্ড স্ল্যাম করার অনুমতি দিয়েছে। এ ব্যাপারে সেরিনা উইলিয়ামস জানিয়েছেন, তিনি খেলবেন। কানাডার নতুন রাণী বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কু আসছেন। আবার নিক কিরিয়সের মতো কেউ কেউ সমালোচনায় মুখর। গতবারের চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদাল এবং নোভাক জোকোভিচ কী সিদ্ধান্ত নেন, সে দিকে তাকিয়ে টেনিস বিশ্ব। অন্যদিকে কিংবদন্তী রজার ফেদেরারের হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হওয়ায় এ বছরের মতো ছিটকে গিয়েছেন। এর মধ্যেই আবার ঘোষণা এসেছে ইউএস ওপেন শেষ হলেই মাঠে গড়াবে ফ্রেঞ্চ ওপেন। লাল কোর্টের এই মাঠে খেলা গড়াবে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে আর চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।
ইউএস ওপেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম টেনিস ফিরছে টেনিসের নিয়মে পরিবর্তন