ভারতের ‘বাজিকরদের গুরু’ গ্রেফতার
৭ জুলাই ২০২০ ১৮:০৬
বাজিকরদের ‘গুরু’ হিসেবে পরিচিত ভারতীয় নাগরিক রাভিন্দর ডান্ডিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে মোহালি পুলিশ। ক্রিকেট ও টেনিসে বিস্তর ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত ডান্ডিওয়ালকে অনেক আগে থেকেই নজরে রেখেছিল আইসিসি ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সম্প্রতি মোহালির একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। মূলত এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ডান্ডিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে মোহালি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাজেশ গার্গ ও পঙ্কজ আরোরা নামের অপর দুই বাজিকরকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কদিন আগে শ্রীলঙ্কায় ভুয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের খবর জানা যায়। এই আয়োজনের মূল হোতা ছিলেন ডান্ডিওয়াল। টুর্নামেন্টটি আসলে আয়োজন হয় ভারতের চন্ডিগড়ের এক গ্রামে। কিন্তু অনলাইনে দেখানো হয় টুর্নামেন্ট হচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। বলা হয়েছিল সেই টুর্নামেন্টটিতে শ্রীলঙ্কার তারকা ক্রিকেটার তিলকরত্নে দিলশান, পারভেজ মাহরুফ, অজন্তা মেন্ডিসরা খেলছেন। করোনাভাইরাসের মধ্যে এই ভুয়া খবর প্রচারের প্রেক্ষিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছিল, ভারতের কোনো বাজিকরই হয়তো ভয়ঙ্কর এই কাজটা করেছেন। এসব নিয়ে বিভিন্ন আলোচনার মধ্যেই গ্রেফতার হলেন ডান্ডিওয়াল। গ্রেপ্তারের পর তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
রাজস্থানের হনুমানগড়ে জন্ম নেওয়া ডান্ডিওয়ালের বিরুদ্ধে অতীতে অনেক বড় বড় অভিযোগই উঠেছিল। অস্ট্রেলিয়া তাকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাতানোর ‘কেন্দ্রীয় চরিত্র’ হিসেবে চিহ্নিত করে। অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘সিডনি মনিং হেরাল্ড’ এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল থাইল্যান্ড, ব্রাজিল ও মিসরে টেনিস ম্যাচ পাতানোর সঙ্গেও জড়িত ডান্ডিওয়ার। এর আগে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজন করে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
খারার পুলিশের ডেপুটি সুপরিটেনডেন্ট পাল সিং গণমাধ্যমকে জানান, ম্যাচ পাতানোর এই ‘মাস্টার মাইন্ডকে’ নিয়ে বিস্তর তদন্ত করতে চায় তারা, ‘এই পুরো চক্রের মোড়ল হিসেবে উঠে আসা ডান্দিওয়ালকে সোমবার আটক করা হয়েছে। একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে আটক করা হয়েছে। পুরো চক্রে তার ভূমিকার আরও তদন্ত করা হবে।’
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মূল হোতাকে জিজ্ঞেসাবাদ করতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট-আকসুও। সংস্থাটির প্রধান অজিত সিং পিটিআইকে জানান, ‘আমাদের হাতে যে তথ্য আছে আমরা পুলিশকে জানাবো, সেগুলো তাদের তদন্তে কাজে লাগতে পারে। তারা যে তথ্য পেয়েছেন আমরা সেগুলো নেব। আমরা তার সঙ্গে কথা বলতে চাই। এটা নির্ভর করছে পাঞ্জাব পুলিশের ওপর। আশা করছি, আমরা সেই সুযোগ পাব।’