অল্পের জন্য আশরাফুলের রেকর্ড শচীনের হয়নি!
৩১ জুলাই ২০২০ ২১:১২
কলম্বোতে মুত্তিয়া মুরালিধরন, চামিন্দা ভাসদের নিয়ে গড়া শ্রীলঙ্কার দুর্দার বোলিং আক্রমনের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টেই ১১৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম ‘তারকা’র বয়স সেদিন মাত্র ১৭ বছর ৬১ দিন। অতো কম বয়সে টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করতে পারেননি আর কোন ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ডের সাবেক পেসার ও বর্তমানের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসন বলছেন, টেস্টে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরির সেই রেকর্ডটি আশরাফুল নয় হতে পারত শচীন টেন্ডুলকারের।
টেন্ডুলকার ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন অভিষেকের প্রায় দুই বছর পর। ম্যাচের হিসেবে ১৩ টেস্ট পর। মরিসন বলছেন একটু দেখে-শুনে খেললে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্টেই সেঞ্চুরি পেতে পারতেন শচীন। তেমনটা হলে আশরাফুলের চেয়েও কম বয়সে সেঞ্চুরি হতো ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তির।
১৯৯০ সালে ভারতের হয়ে নিউজিল্যান্ড সফর করেছিলেন শচীন। ভারতীয় কিংবদন্তির বয়স তখনও ১৭ বছর হয়নি। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানের দারুণ একটা ইনিংস খেলেছিলেন শচীন। সেঞ্চুরি থেকে ১২ রান দূরে সেদিন শচীনকে আউট করা মরিসন বলছেন. তাড়াহুড়া না করলে সেঞ্চুরিটা পেতে পারতেন টেন্ডুলকার।
মরিসন বলেন, ‘ওই বয়সেই সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছিল। কী দারুণভাবে বলের লাইনে যাচ্ছিল, মাঝে মাঝে এত দারুণভাবে রিচার্ড হ্যাডলির বল ছেড়ে দিচ্ছিল। ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে সবারই তো একটু-আধটু ভয় থাকে মনে! ও খেলছিল হ্যাডলির বিপক্ষে! হতে পারে হ্যাডলি তখন ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে চলে এসেছিলেন, কিন্তু তখনো তো কী দারুণ বোলার ছিলেন!’
নিউজিল্যান্ড তারকা বলেন, ‘নেপিয়ারে ওর ৮৮ রানের ইনিংসটার কথা মনে আছে। (সেঞ্চুরিতে যেতে) এত তাড়াহুড়ো করছিল ও! সম্ভবত আমাকে এক ওভারেই তিনটি চার মেরেছিল, ওর মধ্যে তারুণ্যের সেই চপলতাটা তখন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। ও এভাবেই চালিয়ে খেলতে চেয়েছিল, কিন্তু আমার বলে জন রাইটের হাতে (মিড অফে) ক্যাচ তুলে দিল।’
সেদিন শচীনকে আউট করা মরিসনের কণ্ঠে আক্ষেপও ঝড়ল, ‘ও তাড়াহুড়ো করছিল এ কারণেই বলছি যে, সেঞ্চুরিটা হলে ও সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হতো। ওকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল সেটা, এত ধীর পায়ে মাঠ ছাড়ছিল! ভারতের দর্শকেরা সেঞ্চুরিটা দেখতে পারলে খুব খুশি হতেন। ৮৮ রানেই আউট হয়ে গেল ও! তবে খেলাটা এমনই। যে শট খেলে আউট হয়েছে, এমন শট খেলে হয়তো দ্বিতীয় বলেই আউট হতে পারত। কিন্তু কী দারুণ ইনিংসই না খেলল! সত্যিকারের প্রতিভা ছিল ও, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই।’