শত মাইল গতির খোঁজে স্টার্ক
১৩ আগস্ট ২০২০ ১৪:২২
এক সময় পাকিস্তানের স্পিডস্টার শোয়েব আখতার নিয়মিতই গতির ঝড় তুলতেন ২২ গজে। আর বর্তমান সময়ে রাউয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেসের সেই গতির ঝড় তোলার দায়িত্ব বর্তেছে অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্কের কাঁধে। যা বেশ নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করে যাচ্ছেন স্টার্ক। তবে এখনও শোয়েবের ১০০ মাইলের রেকর্ড স্পর্শ করা হয়নি স্টার্কের। তবে এবার সেই শত মাইল গতির খোঁজেই নেমেছেন তিনি। নতুন লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চান এই অজি পেসার।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একটি ওয়ানডে খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর আর ক্রিকেটে ফেরা হয়নি অজিদের। তবে অবসরের এই সময়টাতে নিজেকে ফিট রাখার জন্য প্রাণান্ত পরিশ্রম করেছেন স্টার্ক। জিমে বাড়তি সময় ঘাম ঝরানোর পাশাপাশি নিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়েও কাজ করেছেন পুরোদমে। সবমিলিয়ে গতির ঝড় তুলতে আবারও নিজেকে প্রস্তুত করেছেন এই বাঁ-হাতি পেসার।
নিজের লক্ষ্য এবার ঠিক করেছেন শোয়েব আখতারের গড়া ১০০ মাইল গতিতে বল করাতে। ১০০ ছুঁতে না পারলেও এর আগে দুইবার তিনি ছুঁয়েছেন ৯৯ মাইল গতিতে বল করার রেকর্ড। কিন্তু স্বপ্নের শত মাইল প্রতি ঘণ্টা আর ছোঁয়া হয়ে ওঠেনি। এ ব্যাপারে স্টার্ক বলেন, ‘এর আগে দু’বার ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটারের (৯৯ মাইল) আশপাশে ছিলাম। দুবারই পায়ে চোট পেয়েছি। যখন সবকিছু ঠিক থাকবে, ছন্দে থাকব এবং কন্ডিশনও সহায়ক হবে তখন স্পিডগানের (গতি মাপার যন্ত্র) গতি বাড়াতে পারব। সম্ভবত এই বিরতিতে জিমে থাকা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ায় আমি আবারও সামর্থ্যের শেষ দেখার চেষ্টাটা করতে পারব।’
একজন পেসারের সবচেয়ে বড় অস্ত্র তার গতি, আর গতি আসে সঠিক বোলিং অ্যাকশনেই। স্টার্কের দুর্দান্ত বোলিং অ্যাকশনই তার গতির প্রধান উপাদান। তবে তাতে সন্তুষ্ট নন তিনি। তাই তো এই মহামারিকালে নিজের বোলিং অ্যাকশান নিয়েও কাজ করেছেন ৩০ বছর বয়সী এই পেসার।
স্টার্ক বলেন, ‘অ্যাকশনটা একটু ঘষামাজা করায় গতি ধরে রেখেই লাইন-লেংথে ধারাবাহিক থাকতে পারব। আমি এখনো জোরে বল করতে চাই এবং তা নিয়ে কোনো আপস করব না। তবে এটা করতে গিয়ে ব্যয়বহুল হওয়া যাবে। অ্যাকশনটা ঠিক করা এতে কাজে লাগবে।’
ক্রিকেট বিশ্বে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতিতে বোলিং করা পেসারের তালিকায় শীর্ষে আছেন পাকিস্তানের শোয়েব আখতার। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ১৬১.৩ কিলোমিটার (১০০.২২ মাইল) গতিতে বোলিং করে রেকর্ডবুকে নাম লেখান তিনি।