‘বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম কুশীলব ছিলেন মেজর জিয়া ও তার দোসররা’
১৮ আগস্ট ২০২০ ১৭:৫৮
ঢাকা: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনে কুশীলব হিসেবে কাজ করেছেন মেজর জিয়াউর রহমান ও তার দোসররা দাবি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রতিনিয়ত কর্মব্যস্ত থাকলেও খেলার মাঠের আমন্ত্রণ বঙ্গবন্ধু এড়াতে পারতেন না। ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে তাঁর অনেক পরিকল্পনা অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু খুনী জিয়া ও তার দোসরদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে সব থমকে যায়।’
তিনি আজ সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘যে মানুষটি সারা জীবন গরীর দুখী অসহায় মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেলেন, একযুগের বেশি সময় জেল খাটলেন। সেই মহান ব্যক্তিত্বকে সপরিবারে কী নির্মম ভাবে হত্যা করা হলো! পৃথিবীর ইতিহাসে এ এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।’
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের খুনীদের বিচারের রায় কার্যকর করার জোর দাবি জানান ক্রীড়া ও প্রতিমন্ত্রী, ‘আমি দেশে বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধু খুনিদের বিচারের রায় কার্যকরের জোর দাবি জানাই।’
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব ছিলেন মেজর জিয়া ও তার দোসররা। আমি মনে করি, বিশ্বের ইতিহাসে সংগঠিত এই নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারিগরদের বিচারের আওতায় আনার সময় এসেছে ।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি আজকের বিসিবি, বাফুফে ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গঠন করেছিলেন। তিনি ইন্সস্টিউট অব স্পোর্টস যা আজকের বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তার গৃহীত এ সকল যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণেই বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আজ সুদৃঢ় হয়েছে।’
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও কর্মময় জীবন নিয়ে সভাপতির বক্তব্যে প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আখতার হোসেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থার প্রধানগণ জাতির পিতার বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
ক্রীড়াঙ্গন খুনী জাহিদ আহসান রাসেল বঙ্গবন্ধু মেজর জিয়া যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার হত্যাকাণ্ড