Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোড টু চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল: বায়ার্ন মিউনিখ


২২ আগস্ট ২০২০ ১৩:৫০

লিসবনে আসন্ন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের আগে আরও ১০ বার ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের। আর সেই ১০ ফাইনালের মধ্যে বায়ার্ন শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পেরেছে মোট পাঁচবার। আর হারের মুখ দেখেছে পাঁচবার। রোববার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত একটায় অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটা তখন জানান দেবে বাংলাদেশে ছুঁয়েছে ২৪ আগস্ট, সে সময় মাঠে নামবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সম্মাননা জয়ের লক্ষ্যে। বায়ার্ন মিউনিখ এবার ইউরোপিয়ান জায়ান্ট এসি মিলানের গড়া ১১ ফাইনাল খেলার রেকর্ড স্পর্শ করতে যাচ্ছে। যদিও এসি মিলান এই ১১ ফাইনালের মধ্যে ৭টিতে জিতেছে আর বায়ার্ন আসন্ন ফাইনাল জিতলেও সমান সংখ্যাক ফাইনাল খেলেও শিরোপা জয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ছয়ে।

এদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিরোপা জয়ের রেকর্ড রিয়াল মাদ্রিদের (১৩টি), সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ সংখ্যক চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলার রেকর্ডটিও (১৬ বার) লস ব্ল্যাঙ্কোসদেরই দখলে।

পড়ুন: রোড টু চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল: পিএসজি

শেষবার অল জার্মান ফাইনালে ২০১২/১৩ মৌসুমে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে খেলেছিল বাভারিয়ানরা। আর সে ম্যাচে বুরুশিয়াকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের পঞ্চম ইউসিএল জয় করে বাভারিয়ানরা। এর আগে অবশ্য ২০০৯/১০ এবং ২০১১/১২ মৌসুমে যথাক্রমে ইন্টার মিলান এবং চেলসির কাছে ফাইনাল হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে বায়ার্ন। এবার শিরোপা জিতলে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক শিরোপাধারী দল হয়ে যাবে বায়ার্ন। যদিও এখন যৌথভাবে বার্সেলোনার সঙ্গে চতুর্থ সর্বোচ্চ শিরোপাধারী বায়ার্ন। বার্সার ইসিএল সংখ্যা পাঁচটি, আর লিভারপুলের ছয়টি। পিএসজিকে ফাইনালে হারাতে পারলে লিভারপুলের সঙ্গে যৌথভাবে ইউরোপের তৃতীয় সর্বোচ্চ সফল দলের কীর্তি গড়বে মুলার-লেভান্ডোফস্কিরা। আর তাদের সামনে থাকবে কেবল এসি মিলান (৭টি) এবং রিয়াল মাদ্রিদ (১৩টি)।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বায়ার্নের ফাইনালের রোড:

গ্রুপ পর্বে ‘গ্রুপ বি’ তে রেড স্টার, টটেনহাম হটস্পার্স এবং অলিম্পিয়াকোসকে নিয়ে যাত্রা শুরু জার্মান চ্যাম্পিয়নদের। আর চ্যাম্পিয়নস লিগের শুরুটাও তাদের চ্যাম্পিয়নদের মতোই। চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এ পর্যন্ত বায়ার্ন মিউনিখ ১০ ম্যাচের সবগুলোতে জিতে ২০১২-১৩ থেকে ২০১৩-১৪ মৌসুমে নিজেদের টানা সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড ছুঁয়েছে। ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৪-১৫ মৌসুমেও একই সংখ্যক টানা জয় পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। আর সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের মূল পর্বে ৪২টি গোল করে রিয়াল মাদ্রিদের এক মৌসুমে করা সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বাভারিয়ানরা। এর আগে ২০১৩/১৪ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ করেছিল ৪১টি গোল।

গ্রুপ পর্বের ম্যাচের ফলাফল:

শুরুটা ঘরের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায়। রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়নস লিগে রবার্ট লেভান্ডোফস্কির দুর্দান্ত মৌসুমের শুরুটাও সেই ম্যাচ দিয়েই। ঘরের মাঠে রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে যাত্রা শুরু বাভারিয়ানদের। এই ম্যাচে লেভান্ডোফস্কির সঙ্গে বাকি দুই গোল করেন কিনসলে কোম্যান এবং থমাস মুলার। প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলে জয়ের পর যেন আত্মতুষ্টি পায়নি বায়ার্ন তাই তো পরের ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পার্সের ঘরের মাঠে তাদের ৭-২ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় লেভান্ডোফস্কিরা।

স্পার্সের ঘরের মাঠে লেভান্ডোফস্কির থেকে এদিন আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন সার্জ গ্যানাব্রি। স্পার্সের জালে একাই জড়িয়েছিলেন চার গোল আর বাকি তিন গোলের দুটি এসেছিল লেভান্ডোফস্কির পা থেকে আর এক গোল আসে জশুয়া কিমিচের কাছ থেকে। শেষমেষ ৭-২ গোলের জয় নিয়ে ইংল্যান্ড ছাড়ে বাভারিয়ানরা।

প্রথম দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করা বাভারিয়ানরা কিছুটা প্রতিযোগিতা উপহার দেয় অলিম্পিয়াকোস। গ্রীসের ক্লাবটি প্রায় ড্র করে ফেলেছিল বাভারিয়ানদের বিপক্ষে। তবে শেষমেষ ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারতে হয় অলিম্পিয়াকোসকে। তবে রেড স্টার কিংবা স্পার্সের মতো বড় ব্যবধানের হার দেখতে হয়নি গ্রীসের ক্লাবটিকে। এদিন লেভান্ডোফস্কির জোড়া গোলের সঙ্গে কোরেন্টিন টোলিসো করেন একটি গোল।

ফিরতি লেগে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে অলিম্পিয়াকোস তবে লেভান্ডোফস্কি আর পেরিসিচের গোলে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হার নিয়েই অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় ছাড়তে হয় গ্রীসের ক্লাবটিকে।

এদিকে শেষ দুই ম্যাচে মাত্র পাঁচ গোল করে যেন মনঃক্ষুণ্ণ হয় বাভারিয়ানদের। আর তাই তো গোলের ফুলঝুরি ছোটায় রেড স্টারের বিপক্ষে। ঘরের মাঠে গুনে গুনে অর্ধ ডজন বল রেড স্টারের জালে জড়ায় লেভান্ডোফস্কিরা। এদিন লেভা একাই চারটি গোল করেন আর বাকি দুইটি আসে লিওন গোরেতজকা এবং কোরেন্টিন টোলিসোর পা থেকে।

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় আতিথ্য নেয় জোসে মোরিনহোর টটেনহাম হটস্পার্স। ঘরের মাঠে ৭-২ গোলের ব্যবধানে হারের স্মৃতি তখনও ভুলেনি স্পার্স। তবে অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় আর গোলোৎসব করতে পারেনি বাভারিয়ানরা। তবে ঠিকই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্পার্সের কাছ থেকে। কিনসলে কোম্যান, থমাস মুলার এবং ফিলিপ কুতিনহোর গোলে এদিন ৩-১ ব্যবধানে জয় পায় বায়ার্ন। স্পার্সের হয়ে একটি গোল করেন রায়ান সেসেগনন।

শেষ পর্যন্ত গ্রুপ পর্বে সব মিলিয়ে মোট ৬টি ম্যাচে ২৪টি গোল করে এবং সবগুলো ম্যাচ জিতে শীর্ষে থেকেই গ্রুপ পর্ব শেষ করে বাভারিয়ানরা। আর শেষ ষোলর ড্র’তে চেলসিকে পেয়ে যায় তারা।

রাউন্ড অব ১৬:

গ্রুপ পর্বের নিজেদের দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রাখে বায়ার্ন মিউনিখ। প্রতিপক্ষকে যেন এক চুল ছাড় দিতে নারাজ বাভারিয়ানরা আর তাই তো দেখা মিলল হিংস্রতার। চেলসিকে তাদেরই ঘরের মাঠে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দিল বায়ার্ন। স্টামফোর্ড ব্রিজে বাভারিয়ানদের আক্রমণের জবাবটাই যেন দিতে পারছিল না ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের চেলসি। এদিন চেলসির রক্ষণকে ছিঁড়ে খুঁড়ে খেয়েছে সার্জ গ্যানাব্রি এবং রবার্ট লেভান্ডোফস্কি। লেভা এক গোল করলেও গ্যানাব্রির করা বাকি দুই গোলেরই যোগান দাতা ছিলেন তিনি। আর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই এদিন অনেকাংশেই নিশ্চিত হয়ে যায় মুলারদের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা।

তবে সংশয়ের ঘনঘটা হয়ে আসে কোভিড-১৯। মহামারির কারণে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত স্থগিত থাকে ইউরোপিয়ান সব ধরনের ফুটবল। শঙ্কা জাগে বাতিলও হয়ে যাতে এবারের মৌসুম। তবে শেষ পর্যন্ত জুনে মাঠে গড়ায় বুন্দেস লিগা এবং আগস্টে মাঠে গড়ায় চ্যাম্পিয়নস লিগ। ৭ আগস্ট রাত একটায় বায়ার্ন এবং চেলসির মধ্যকার রাউন্ড অব ১৬’র দ্বিতীয় লেগের খেলা দিয়েই শুরু হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের বাকি থাকা মৌসুম।

তবে পাঁচ মাসের বিরতির পরেও ক্ষুরধার বায়ার্ন। সদ্যই বুন্দেস লিগা এবং জার্মান কাপ জিতে ফুরফুরে বায়ার্ন। তবে ক্ষিপ্রতা আর আক্রমণাত্ম ভঙ্গির একচুলও পরিবর্তন হয়নি বাভারিয়ানদের। ঘরের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় চেলসিকে এদিন ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারায় বায়ার্ন। আর প্রথম লেগের মতো এই লেগেও বায়ার্নের সবগুলো গোলে অবদান রাখেন রবার্ট লেভান্ডোফস্কি। এদিন দুই গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করান আরও দুটি গোল। লেভান্ডোফস্কির সঙ্গে বাকি দুই গোল করেন ইভান পেরিসিচ এবং কোরেন্টিন টোলিসো। শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের ব্যবধানের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বায়ার্ন।

কোয়ার্টার ফাইনাল:

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরিবর্তন আসে চ্যাম্পিয়নস লিগে। কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনাল দুই লেগের পরিবর্তে অনুষ্ঠিত হবে এক লেগে। এমনটাই জানিয়ে দেয় উয়েফা। এবং সেই সঙ্গে বাকি টুর্নামেন্টের পুরোটাই একটি শহরের দুটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই শহর হিসেবে বেছে নেওয়া হয় পর্তুগালের লিসবনকে। সেখানেই কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার মুখোমুখি হয় বায়ার্ন।

এ যেন ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল। তাই তো ম্যাচ শুরু আগে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ফুটবল বিশ্ব। লিওনেল মেসির বার্সেলোনার সামনে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রবার্ট লেভান্ডোফস্কির বায়ার্ন।

দুঃস্বপ্নও যেন এমন ভয়ংকর হয় না যেমনটা ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে প্রথম অর্ধেই দেখল। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের লিসবনে মুখোমুখি বার্সেলোনা এবং বায়ার্ন মিউনিখ। যেখানে ম্যাচের প্রথমার্ধেই লিওনেল মেসিদের জালে গোলের হালি উৎসব পূর্ণ করেন থমাস মুলার-রবার্ট লেভান্ডোফস্কিরা। আর দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ধারা অব্যাহত রেখে কাতালানদের ওপর চলে বাভারিয়ানদের টর্নেডো। শেষ বাঁশি বাজলেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে মেসিরা কেননা ম্যাচের সমাপ্তি যে হলো বায়ার্নের ৮-২ গোলের জয়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে নকআউট পর্বে এটিই আট গোলের প্রথম ইতিহাস।

বায়ার্নের মিউনিখের হয়ে এদিন যেন স্বংয় ফুটবল দেবতা ভর করেছিল থমাস মুলারের কাঁধে। ম্যাচের প্রথমার্ধে রীতিমত ছেলেখেলা করলেন লিওনেল মেসিদের নিয়ে। ম্যাচের তখন মাত্র ৪ মিনিট, রবার্ট লেভান্ডোফস্কির অ্যাসিস্ট থেকে প্রথম গোল করেন থমাস মুলার। এর ঠিক মিনিট সাতেক পর ডেভিড আলাবার আত্মঘাতি গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে বার্সা। তবে ওই শেষ। এরপর গুনে গুনে প্রথমার্ধেই আরও তিনবার টার স্টেগানকে বল খুটে আনতে গোলবারের ভেতরে পাঠায় মুলার-গ্যানাব্রিরা।

আর ৮-২ গোলে বিশাল ব্যবধানের জয় নিয়ে সেমিফাইনালে উৎরে যায় বায়ার্ন।

সেমিফাইনাল:

বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে গোল মিসের খেসারত সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়ে দিতে হলো অলিম্পিক লিওঁ’কে। ম্যাচের শুরুর দিকে সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মেম্ফিস ডিপাই এবং কুকারেট। আর এমন ভুলে খেসারত দিতে হলো স্বপ্নের ফাইনাল থেকে স্পর্শসম দূরত্ব থেকে বিদায় নিয়ে। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল মাঠে গড়ানোর আগে অনেকটা অনুমেয়ই ছিল বেশ সহজেই অলিম্পিক লিওঁ’র বাধা টপকে ফাইনালে জায়গা করে নেবে বায়ার্ন মিউনিখ। বুধবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত একটায় পর্তুগালের লিসবনের এস্তাদিও হোসে আলভালাদে মাঠে নামে দুই দল। আর নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে লিওঁ’কে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় বায়ার্ন মিউনিখ।

আর আরেক সেমিফাইনালে জার্মান ক্লাব আরবি লেইপজিগকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উঠে আসে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পিএসজি। আর অপেক্ষা কেবল একটি ম্যাচের। ইতিহাস গড়তে পিএসজির প্রয়োজন আর একটি জয়। তবে সামনে যে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। গোল করার সময় যারা প্রতিপক্ষের দিকে করুনার দৃষ্টিও দেয়না। তাই তো ২৩ আগস্টের ফাইনাল যে জমজমাট হবে তা নিয়ে কোনো সংশয়ের অস্তিত্ব নেই। বায়ার্ন মিউনিখের ষষ্ঠ অথবা পিএসজির প্রথম!

টুকিটাকি তথ্য:  

  • চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে এক অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চার গোল করার কীর্তি গড়েছেন আতালান্তার ইয়োসিপ ইলিসিচ। শেষ ষোলোয় ভালেন্সিয়ার মাঠে দলের ৪-৩ ব্যবধানের জয়ে সবগুলো গোল করেন তিনি।
  • আর্লিং হালান্ড প্রথম টিনএজার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করার রেকর্ড গড়েন। গ্রুপ পর্বে মোট আট গোল করেন ওই সময় সালসবুর্কে খেলা এই ফরোয়ার্ড।
  • বার্সেলোনাকে কোয়ার্টার-ফাইনালে ৮-২ গোলে উড়িয়ে দেয় বায়ার্ন মিউনিখ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এটি নকআউট পর্বে সর্বোচ্চ গোলের ম্যাচ। ইউরোপিয়ান ম্যাচে বার্সেলোনারও প্রথমবারের মতো ছয় বা তার বেশি গোল খাওয়ার ঘটনা।
  • চলতি আসরে এরই মধ্যে রেকর্ড ১০টি হ্যাটট্রিক হয়েছে। এর মধ্যে সার্জ গ্যানাব্রি, লেভানদোভস্কি ও ইলিসিচ এক ম্যাচে চার গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
  • অলিম্পিক লিওঁর কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকে ছিটকে যায় ইউভেন্তুস। ফলে ১০ মৌসুমের মধ্যে এই প্রথম কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলতে পারলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
    এসি মিলানের ১১ বার ফাইনাল খেলার কীর্তি ছুঁতে যাচ্ছে বায়ার্ন। তাদের চেয়ে বেশি ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে কেবল রিয়াল মাদ্রিদের (১৬ বার)। শিরোপা জয়ের তালিকাতেও শীর্ষে রিয়াল (১৩টি)।

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০১৯-২০২০ টপ নিউজ ফাইনাল বায়ার্ন মিউনিখ বনাম পিএসজি রোড টু ফাইনাল স্পোর্টস স্পেশাল


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

আইভরি কোস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৪০

সম্পর্কিত খবর