জহুরুল-আসিফে গাজীর টানা দ্বিতীয় জয়
১০ মার্চ ২০১৮ ১৮:০৪
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ২৫৮ রানের লক্ষ্য কোনোভাবেই সহজ বলা যাবে না। সেটা তাড়া করে ৬৩ রানেই যখন একটা দল ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে, সেটা হয়ে যায় আরও কঠিন। তবে জহুরুল হক ও আসিফ আহমেদের সৌজন্যে সেই কঠিন কাজটাই করল গাজী গ্রুপ। ৭ বল হাতে রেখেই আজ তারা প্রাইম ব্যাংককে হারিয়েছে ৭ উইকেট।
অবনমনের শঙ্কাটা আরেকটু এড়াল গাজী, ৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ৮, সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে ওপরে আছে প্রাইম ব্যাংক।
জয়টা অবশ্য যত সহজে এসেছে মনে হচ্ছে, ততটা সহজ ছিল না মোটেই। ৪৫ রানে মাহেদী হাসান আউট হওয়ার পর ক্রিজে এলেন মুমিনুল। কিন্তু আরও একবার ফর্ম খুঁজে পেতে ব্যর্থ মুমিনুল, আজ আউট হয়ে গেলেন মাত্র ৪ রান করে। খানিক পরেই ফিরে গেলেন শফিউল হায়াত।
জহুরুল ও আসিফ মিলে এরপর হাল ধরলেন। শুরুতে একটু স্লথ ছিলেন দুজন, প্রথম ২০ ওভারে গাজীর রান ছিল ৯১। সেখান থেকে রান রেটটা বাড়াতে শুরু করেন, পরের ১০ ওভারে এলো ৫৭ রান। ফিফটির জন্য জহুরুল খেলেছেন ৫৬ বল, এরপর তা আরও বাড়ালেন। ৩০ ওভারের পর রান রেট সামান্য কমে গেলেও তা নাগালের বাইরে যেতে দেননি দুজন।
শেষ ১১ ওভারে যখন ৭৪ রান দরকার, তখনই একটা ধাক্কা খেল গাজী। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে আহত হয়ে অবসরে (রিটায়ার্ড) যান জহুরুল, ১০৩ রানের ইনিংসটা তার ক্যারিয়ার সর্বোচ্চও। এরপরও শেষ ১০ ওভারে গাজীর দরকার ছিল ৭০ রান। তবে দায়িত্বটা এরপর নিজের কাঁধে তুলে নেন আসিফ। ৮০ বলে করেছিলেন ফিফটি, পরের ৪১ রান করার জন্য খেলেছেন মাত্র ২৫ বল। শেষ পর্যন্ত ১০৫ বলে ৯১ রান করে অপরাজিত ছিলেন, অন্য পাশে ফাওয়াদ অপরাজিত ছিলেন ৩১ বলে ২৯ রান করে।
তার আগে প্রাইম ব্যাংকের ২৫৭ পর্যন্ত যাওয়ার মূল কৃতিত্ব ভারতীয় তারকা ইউসুফ পাঠানের। শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে শুরু করে প্রাইম, একটা সময় ১৩৭ রানেই হারিয়ে ফেলেছিল ৬ উইকেট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছিলেন পাঠান, ৬০ বলে অপরাজিত ৭২ রানে দলকে এনে দিয়েছিলেন লড়াই করার পুঁজি। এছাড়া, ওপেনার মেহেদি মারুফ ৩২, জাকির হাসান ৪৪, আল আমিন ৩৭, দেলোয়ার হোসেন ২৭ রান করেন। গাজীর হয়ে ৫৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান।
সারাবাংলা/এএম/এমআরপি