ঢাকা: ভুটানের কাছে লজ্জ্বাজনক হারের পর প্রায় ১৭ মাস দেশের ফুটবল নির্বাসনে ছিল। পরে বিশ্বকাপ প্রাক বাছাই খেলে বাংলাদেশকে মূল বাছাইপর্বে যেতে হয়েছে। ফিফা র্যাঙ্কিং গিয়ে ঠেকে ১৯৭ তে। এখনও অবস্থার খুব উন্নতি হয়েছে বলা যাবে না। র্যাঙ্কিং ১৮৭। তবে ১২ বছর ধরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কাজী সালাউদ্দিনের মতে, বর্তমানের জাতীয় দল পরিসংখানে হার-জিত দিয়ে রেটিওতে অতীত থেকে ঢের এগিয়ে।
শুধু তাই নয় অতীতে যে সুযোগ সুবিধা ওই জাতীয় দল যা পেত না তার থেকে বেশি কিছুই পাচ্ছে বর্তমান দল বলে দাবি করেন তিনি।
আজ রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক পাঁচ তারকা হোটেলে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন কাজী সালাউদ্দিন।
জাতীয় দলে নিজের সময়ের কথা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এমনো সফর গেছে আমি এক জোড়া জুতা পাইনি, বুট পাইনি, একটা জার্সি দিয়ে খেলেছি। এখন সবাই বেশিই পায়। আমাদের খেলোয়াড়রা দুই থেকে তিন সেট জার্সি পায়, বুট পায়, ভাতা পায়। খেলতে যাওয়ার সাত-আট দিন আগে বিদেশে যায়, অনুশীলন করে। পাঁচদিন ছয়দিন আগে বিদেশে পাঠাই, স্থানীয় পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়। পাঁচতারকা হোটেলে রেখে তাদের ট্রেনিং করাই।’
‘আজকে প্লেয়াররা ৬০-৭০ লাখ টাকা পাচ্ছে। আমরা তো বুটও পাই নাই।’ যোগ করেন তিনি।
কাতার বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখানো কাজী সালাউদ্দিন এবার ইশতেহারে সামনের চার বছরে জাতীয় দলের র্যাঙ্কিং ১৫০তে লক্ষ্য করেছেন। এদিকে বিশ্বকাপে খেলার আশ্বাসের কথা একেবারে অস্বীকার করে বলেন, ‘বিশ্বকাপ খেলবো বলি নাই, বলেছি খেলার চেষ্টা করবো বলেছি। আমাদের ট্রাই করতে হবে। মক্কা যেতে হলে প্রস্তুতি শুরু করতে হয়। আমাদের দেশে কম্প্লাইড স্টেডিয়াম নাই।’
গেল ১২ বছরে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পেশাদার লিগের ফুটবলে দর্শকহীনতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘অতীতে ফুটবল ছাড়া কোন এন্টারটেইনমেন্ট ছিল না। তাই সবাই ফুটবল দেখতো। এখন দেশের ডেভলপমেন্ট যেভাবে হয়েছে সঙ্গে জ্যাম এসেছে। একটা জায়গা থেকে আরেকটা জায়গায় আসতে অনেক সময় লাগে। তাই
গণমাধ্যমসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজের আহ্বান জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা সবাই একসাথে কাজ করি, আমার ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন, আমি শুধরে নিব। বাফুফে একলা পারবে না, সরকার একলা পারবে না। সবাই একসঙ্গে কাজ করলেই একটা প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো সম্ভব।’