টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বলেই এতো প্রচেষ্টা
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:৫১
এক কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে যে টানপোড়েন চলছে তাতে স্রেফ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হলে হয়ত শেষ পর্যন্ত বহুল প্রতীক্ষিত এই সিরিজটি আলোর মুখ দেখতোই না। কিন্তু যেহেতু টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপের অংশ তাই শেষ পর্যন্ত সিরিজটি হবে বলেই আশা করা যায়। এবং এই মর্মে দুই বোর্ডই প্রানান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে সবশেষ তথ্য হল সিরিজটি নিয়ে এখনো আয়োজক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) দেশটির কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রন টাস্কেফোর্সসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তুপক্ষের সঙ্গে জোর আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এবং চেষ্টা করছে বিসিবির দাবী দাওয়া অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি কতটা শিথিল করা যায়। টাইগার ক্রিকেট প্রশাসন অবশ্য আশা করছে অনতিবিলম্বেই আয়োজক বোর্ড থেকে এতদসংক্রান্ত বিষয়ে জানাবে।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চত্বরে সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানালেন বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন।
তিনি বললেন,‘যেহেতু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ও বিসিবি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজটি আয়োজনের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা অংশ নিব এবং এটা আমরা এগিয়ে নিতে চাই। সেক্ষেত্রে আমাদের দুই বোর্ডেরই চেষ্টা চলছে সিরিজটি আয়োজনের ব্যাপারে। তারা স্বাস্থ্যবিষয়ক যে হেলথ গাইডলাইন পাঠিয়েছিল সেখানে কিছু বাধ্যবাধকতা ছিল যেগুলো তারা যদি অব্যাহত রাখে তাহলে আমাদের জন্য সফরটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। । এ বিষয়গুলো আমাদের মধ্যে কিছুদিন ধরে যোগাযোগ হয়েছে। সর্বশেষ যে পরিস্থিতি সেটা হচ্ছে আমরা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় জানিয়েছি তাদের। এ জিনিসগুলো জানার পর তারা বলেছে তাদের যে কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্স আছে বা অন্যান্য যে অথরিটি আছে তাদের সাথে কথা বলে হেলথ গাইডলাইন কতটুকু শিথিল করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছে। আশা করছি খুব দ্রুতই তারা আমাদের বিষয়গুলো নিয়ে জানাবে।’
পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী ২৩ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠেয় সিরিজটিকে সামনে রেখে টিম বাংলাদেশের ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল ২৭ সেপ্টেম্বর। কিন্তু বিসিবির প্রধান নির্বাহী আজ যা বললেন তাতে ওই সময়ে বাংলাদেশের লঙ্কাগমন চ্যালেঞ্জিংই হবে।
‘এখন পর্যন্ত যেহেতু আমরা সিদ্ধান্ত পাইনি, যদিও আমরা অবশ্য ২৭ তারিখকে ধরেই আমাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি, সবকিছু এগোচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বিষয়টি একটু চ্যালেঞ্জিং হবে ২৭ তারিখে ভ্রমণ করা। ভিসা ও অন্যান্য জটিলতা তো রয়েছেই। সেক্ষেত্রে কোন এডজাস্টমেন্টের প্রয়োজন হয় আমরা করে নিব।’
কিন্তু যদি শেষ পর্যন্ত সিরিজটি আলোর মুখ না দেখে তখন কি হবে? সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নে নিজাম উদ্দিনের বক্তব্য হল, ‘আমাদের কিছু অভ্যন্তরীণ কিছু পরিকল্পনা তো অবশ্যই আছে। এই সিরিজ যদি না করি সেক্ষেত্রে আমাদের অন্য পরিকল্পনা আছে। প্লেয়ারদের অনুশীলনটা আমরা অব্যাহত রাখবো এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত। আমাদের অনুশীলন বা অন্যান্য যে বিষয়গুলো যেভাবে চলছে সেগুলো অব্যাহত রাখবো। এরপর সিরিজ সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে কোন পরিবর্তন আসলে আসবে।’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশ ক্রিকেট বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ বিসিবি